বুধবার | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুবির ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এসোসিয়েশন (এনটিএ) এর বিবৃতি Logo মহান বিজয় দিবসে চাঁদপুর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের মিলাদ ও দোয়া Logo বিজয় দিবসে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেন ধানের শীষের এমপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo চাঁদপুরে গণফোরামের বিজয় দিবসের আলোচনা সভা এ বিজয় কোনো একক দলের নয়, এটি জাতির ঐতিহাসিক অর্জন-এডভোকেট সেলিম আকবর Logo মহান বিজয় দিবসে চাঁদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণ করল সর্বস্তরের মানুষ Logo কয়রায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত Logo সাতক্ষীরা–খুলনা মহাসড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে মাহেন্দ্রা উল্টে মা–ছেলে নিহত, আহত ৮ Logo খুবিতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস উদযাপণ Logo মহান বিজয় দিবসে ইবির জুলাই ৩৬ হলের শ্রদ্ধাঞ্জলি

হরিণাকুন্ডুর চেয়ারম্যান ছমিরের দুর্নীতির ও লুটপাটের বিরুদ্ধে ৯ মেম্বরের সাংবাদিক সম্মেলন

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৩১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ  ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছমির উদ্দীনের আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে মেম্বরদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান। তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছমির উদ্দীন মাসিক মিটিং না করে সন্ত্রসী কায়দায় পরে সাক্ষর করিয়ে নিয়ে গোপনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। ইউপি সদস্যদের ভাষ্যমতে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এলজিএসপির ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকার কাজ কোন সদস্যদের না জানিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। সরকারী ৫০টি টিউবওয়ের এক হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়ে দরিদ্র মানুষদের দিয়েছেন। ভিজিডর ২০৩টি কার্ড মেম্বরদের ৫টি করে দিয়ে বাকিটা বিক্রি করে দিয়েছেন। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুচের ১৪৮টি কার্ড মেম্বরদের ৩টি করে দিয়ে বাকী কার্ড কার্ড প্রতি ২/৩ হাজার টাকা করে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। কর্মসৃজনের টাকা ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে আত্মসাৎ করেছেন। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কোন জব কার্ড দেওয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মাতৃত্বকালীন ভাতার র্কা ৩ হাজার করে বিক্রি করেছেন চেয়ারম্যান ছমির উদ্দীন।

১০ কেজি চালের ৬৪১টি কার্ডের মধ্যে মেম্বরদের দিয়েছেন মাত্র ২০টা করে। বাকী কার্ড অবস্থাশালী ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, ৫১৬, ৫২১, ৫২৪, ৫২৬, ৫৩৯, ৫৪২, ৫৪৫, ৫৪৬, ৫৫০, ৫৩১ সহ ৩০টি ১০ কেজি চালের কার্ড দালান বাড়ি ও সচ্ছল ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে, যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে পড়বে। এছাড়া একই পরিবারের ৫ ভাইকে ১০ কেজি চালের কার্ড দেওয়া হয়েছে। যাদের কার্ড নং ৫৫৬, ৫৬৭, ৫৫৮, ৫৫৯ ও ৫৬০। এছাড়া হরিণাকুন্ডুর কালীশংকরপুর গ্রামে ৫৯৪ থেকে ৬৩৪ নং কার্ড প্রদানের তথ্য খাতা কলমে থাকলেও বাস্তবে নাই। এই কার্ডের চাল চেয়ারম্যান ছমির নিজেই লুটপাট করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে হাট ইজারা ও ওয়ান পার্সেন্টের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। টিআর প্রকল্প আসলে মেম্বরদের জানানো হয় না। প্রকল্প শেষে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মেম্বরদের সাক্ষর করিয়ে নেন চেয়ারম্যান ছমির। সাংবাদিক সম্মেলনে মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন, জেসমিন, ফাতেমা খাতুন, তরিকুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, টিটো মোল্লা, বদরুজ্জামান ও নাসির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা ছমির উদ্দীন জানান, মেম্বরা তার কাছে সরকারী টাকার ৪০% ভাগ চায়। আমি তাদের কথায় রাজি হয়নি বলে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। তিনি বলেন, আমি নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান। আমি কোন দুর্নীতিকে পশ্রয় দিই না। মেম্বরা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে, তার কোন ভিত্তি নেই বলেও তিনি দাবী করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুবির ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এসোসিয়েশন (এনটিএ) এর বিবৃতি

হরিণাকুন্ডুর চেয়ারম্যান ছমিরের দুর্নীতির ও লুটপাটের বিরুদ্ধে ৯ মেম্বরের সাংবাদিক সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৩১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ  ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছমির উদ্দীনের আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে মেম্বরদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান। তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছমির উদ্দীন মাসিক মিটিং না করে সন্ত্রসী কায়দায় পরে সাক্ষর করিয়ে নিয়ে গোপনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। ইউপি সদস্যদের ভাষ্যমতে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এলজিএসপির ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকার কাজ কোন সদস্যদের না জানিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। সরকারী ৫০টি টিউবওয়ের এক হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়ে দরিদ্র মানুষদের দিয়েছেন। ভিজিডর ২০৩টি কার্ড মেম্বরদের ৫টি করে দিয়ে বাকিটা বিক্রি করে দিয়েছেন। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুচের ১৪৮টি কার্ড মেম্বরদের ৩টি করে দিয়ে বাকী কার্ড কার্ড প্রতি ২/৩ হাজার টাকা করে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। কর্মসৃজনের টাকা ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে আত্মসাৎ করেছেন। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কোন জব কার্ড দেওয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মাতৃত্বকালীন ভাতার র্কা ৩ হাজার করে বিক্রি করেছেন চেয়ারম্যান ছমির উদ্দীন।

১০ কেজি চালের ৬৪১টি কার্ডের মধ্যে মেম্বরদের দিয়েছেন মাত্র ২০টা করে। বাকী কার্ড অবস্থাশালী ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, ৫১৬, ৫২১, ৫২৪, ৫২৬, ৫৩৯, ৫৪২, ৫৪৫, ৫৪৬, ৫৫০, ৫৩১ সহ ৩০টি ১০ কেজি চালের কার্ড দালান বাড়ি ও সচ্ছল ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে, যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে পড়বে। এছাড়া একই পরিবারের ৫ ভাইকে ১০ কেজি চালের কার্ড দেওয়া হয়েছে। যাদের কার্ড নং ৫৫৬, ৫৬৭, ৫৫৮, ৫৫৯ ও ৫৬০। এছাড়া হরিণাকুন্ডুর কালীশংকরপুর গ্রামে ৫৯৪ থেকে ৬৩৪ নং কার্ড প্রদানের তথ্য খাতা কলমে থাকলেও বাস্তবে নাই। এই কার্ডের চাল চেয়ারম্যান ছমির নিজেই লুটপাট করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে হাট ইজারা ও ওয়ান পার্সেন্টের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। টিআর প্রকল্প আসলে মেম্বরদের জানানো হয় না। প্রকল্প শেষে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মেম্বরদের সাক্ষর করিয়ে নেন চেয়ারম্যান ছমির। সাংবাদিক সম্মেলনে মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন, জেসমিন, ফাতেমা খাতুন, তরিকুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, টিটো মোল্লা, বদরুজ্জামান ও নাসির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা ছমির উদ্দীন জানান, মেম্বরা তার কাছে সরকারী টাকার ৪০% ভাগ চায়। আমি তাদের কথায় রাজি হয়নি বলে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। তিনি বলেন, আমি নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান। আমি কোন দুর্নীতিকে পশ্রয় দিই না। মেম্বরা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে, তার কোন ভিত্তি নেই বলেও তিনি দাবী করেন।