বুধবার | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুবির ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এসোসিয়েশন (এনটিএ) এর বিবৃতি Logo মহান বিজয় দিবসে চাঁদপুর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের মিলাদ ও দোয়া Logo বিজয় দিবসে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেন ধানের শীষের এমপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo চাঁদপুরে গণফোরামের বিজয় দিবসের আলোচনা সভা এ বিজয় কোনো একক দলের নয়, এটি জাতির ঐতিহাসিক অর্জন-এডভোকেট সেলিম আকবর Logo মহান বিজয় দিবসে চাঁদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণ করল সর্বস্তরের মানুষ Logo কয়রায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত Logo সাতক্ষীরা–খুলনা মহাসড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে মাহেন্দ্রা উল্টে মা–ছেলে নিহত, আহত ৮ Logo খুবিতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস উদযাপণ Logo মহান বিজয় দিবসে ইবির জুলাই ৩৬ হলের শ্রদ্ধাঞ্জলি

ঝিনাইদহে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন হলিধানি-কাতলামারি রাস্তায় সন্ধ্যা হলেই ডাকাতি শুরু, আতংকে পথচারী!

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৪২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৪১ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানি ইউনিয়নের হলিধানি-কাতলামারি সড়ক ও তাঁর আশে পাশের কাতলা মারি বাজার, গাগান্না, বেড়াদি ও কাশিমপুর এই ৪ গ্রামে অবাধে চলছে ডাকাতি ও ছিনতাই। গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, হলিধানি-কাতলামারি সড়ক টি সন্ধ্যা হলেই ডাকাত এবং ছিনতাইকারীদের দখলে চলে যায়। বিগত রমাজন মাসের ২৭সের রাতে ১০ টার দিকে গাগান্না গ্রামের আমির বিশ্বাসের ছেলে রাশেদের আলমসাধু হলিধানি-কাতলামারি সড়কের জামতলা নামক স্থান থেকে ডাকাতরা রাস্তার গাছ কেটে ফেলে ডাকাতি করে। সে সময় আলমসাধু চালককে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ ঘটনার পর গত রমজানের ঈদের ২ সপ্তাহ পরে হালিধানি বাজারের ভাই ভাই ঔষধের দোকানদারের নিকট থেকে রাত ৮ টার দিকে একই স্থান থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেই। একই স্থান থেকে প্রায় ২ সপ্তাহ আগে হরিনাকুন্ডুর ভালকি গ্রামের রমজানের নিকট থেকে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ৭৫০ টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর কোরবানির ঈদের ১ সপ্তাহ পরে রাত ২ টার দিকে গাগান্না গ্রামের আব্বাস বিশ্বাসের বাড়িতে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল মুখস পরা অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে ১ টি স্বর্ণের চেইন ১ জোড়া কানের দুল ও হাতের চুড়ি নিয়ে যায়। গত সোমবার ১৬ তারিখে রাত ২ টার দিকে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল হলিধানী এলাকার কাশিমপুর গ্রামে তাহাজউদ্দিন মন্ডলের ছেলে সোবাহান মন্ডলের বাড়িতে কাপড়ে মুখ বেঁধে ঢুকে বাড়ির সদস্যদের বেঁধে বাড়িতে থাকা নগদ ১০,৫০০ টাকা একটি স্বর্ণের চেইন, ২ জোড়া হাতের চুড়ি, ১ জোড়া কানের দুল নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির মালিক সোবাহানকেউ মারধর করে। এই ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার হলিধানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের উপস্থিতে কাতলা মারি বাজারে কয়েক গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে চোর ডাকাতদেও আতঙ্কে গ্রাম পাহারা দেবার জন্য ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠনের জন্য আলোচনা সভা করে। এ আলোচনা সভার পরের রাতেই কাতলা মারি বাজারে জৈনিক বীরেনের স্বর্ণের দোকানে চুরি হয়। একই এলাকার সোবাহান জানায়, তাঁর বাড়িতে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার মাত্র ৫ মিনিট পর পুলিশ ঘটনা স্থানে উপস্থিত হলেও ডাকাত দল কে ধরতে পারেনি।

উল্লেখ্য, হলিধানী ইউনিয়নে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কাতলামারি বাজারে একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। এ অঞ্চলে যত গুলো ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় ক্যাম্প থেকে বড় জোর দেড় কি.মির ভিতরেই ঘটছে। এত গুলো ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলার চরম অবউন্নতি সাধারন জনগণ পুলিশের ব্যর্থতাকেই চরম ভাবে দায়ী করছে। হলিধানি বাজারে চায়ের দোকানে বসা গাগান্না গ্রামের জামাল, বিনোদপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, এখন আমাদের এই রাস্তা দিয়ে চলতে ভীষণ ভঁয় লাগে। ডাকাতির ভঁয়ে সন্ধ্যার পরে আর কেউ এই রাস্তা দিয়ে যায় না। জরুরী কাজে এখন জীবনের ঝুকি হয়ে দাড়ায়েছে। তাঁর পরে মানুষকে জীবন হাতে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে হলিধানি ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, পুলিশ যদি একটু পরিশ্রম করে তাহলে এদের ধরতে পারে। মোজাম নামের একজন সন্ত্রাসী জেল খানার বাহিরে থাকার কারনেই এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে গেছে। দুর্দ্ধর্ষ সন্ত্রাসী মোজাম গত রমজান মাসের আগে নাটা বাড়িয়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী লক্ষণ ও সাগান্না বাওড়ের সভাপতি কোলা গ্রামের শাহাজউদ্দিনকে চাঁদা ধরে। সে সময় কাতলা মারি ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই নবাবের তৎপরতার কারনে এই চাঁদা নিতে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে সে পালাতক আছে। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেই এলাকায় শান্তি ফিরে আসতে পারে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। তাছাড়া আরেকজন সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন ঝিনাইদহ জেল খানায় আছে বলে জানাযায়। এ প্রসঙ্গে কাতলা মারি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এই পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জন কে গ্রেফতার করে জেল হাজাতে প্রেরন করা হয়েছে। এঘটনা গুলোর সাথে যারা জড়িত আছে আমরা জানতে পেরেছি। তাছাড়া মোজাম একজন আলোচিত সন্ত্রাসী, সে পালাতক আছে। আমরা জানতে পেরেছি সে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবস্থান করছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুবির ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এসোসিয়েশন (এনটিএ) এর বিবৃতি

ঝিনাইদহে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন হলিধানি-কাতলামারি রাস্তায় সন্ধ্যা হলেই ডাকাতি শুরু, আতংকে পথচারী!

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৪২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানি ইউনিয়নের হলিধানি-কাতলামারি সড়ক ও তাঁর আশে পাশের কাতলা মারি বাজার, গাগান্না, বেড়াদি ও কাশিমপুর এই ৪ গ্রামে অবাধে চলছে ডাকাতি ও ছিনতাই। গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, হলিধানি-কাতলামারি সড়ক টি সন্ধ্যা হলেই ডাকাত এবং ছিনতাইকারীদের দখলে চলে যায়। বিগত রমাজন মাসের ২৭সের রাতে ১০ টার দিকে গাগান্না গ্রামের আমির বিশ্বাসের ছেলে রাশেদের আলমসাধু হলিধানি-কাতলামারি সড়কের জামতলা নামক স্থান থেকে ডাকাতরা রাস্তার গাছ কেটে ফেলে ডাকাতি করে। সে সময় আলমসাধু চালককে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ ঘটনার পর গত রমজানের ঈদের ২ সপ্তাহ পরে হালিধানি বাজারের ভাই ভাই ঔষধের দোকানদারের নিকট থেকে রাত ৮ টার দিকে একই স্থান থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেই। একই স্থান থেকে প্রায় ২ সপ্তাহ আগে হরিনাকুন্ডুর ভালকি গ্রামের রমজানের নিকট থেকে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ৭৫০ টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর কোরবানির ঈদের ১ সপ্তাহ পরে রাত ২ টার দিকে গাগান্না গ্রামের আব্বাস বিশ্বাসের বাড়িতে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল মুখস পরা অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে ১ টি স্বর্ণের চেইন ১ জোড়া কানের দুল ও হাতের চুড়ি নিয়ে যায়। গত সোমবার ১৬ তারিখে রাত ২ টার দিকে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল হলিধানী এলাকার কাশিমপুর গ্রামে তাহাজউদ্দিন মন্ডলের ছেলে সোবাহান মন্ডলের বাড়িতে কাপড়ে মুখ বেঁধে ঢুকে বাড়ির সদস্যদের বেঁধে বাড়িতে থাকা নগদ ১০,৫০০ টাকা একটি স্বর্ণের চেইন, ২ জোড়া হাতের চুড়ি, ১ জোড়া কানের দুল নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির মালিক সোবাহানকেউ মারধর করে। এই ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার হলিধানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের উপস্থিতে কাতলা মারি বাজারে কয়েক গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে চোর ডাকাতদেও আতঙ্কে গ্রাম পাহারা দেবার জন্য ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠনের জন্য আলোচনা সভা করে। এ আলোচনা সভার পরের রাতেই কাতলা মারি বাজারে জৈনিক বীরেনের স্বর্ণের দোকানে চুরি হয়। একই এলাকার সোবাহান জানায়, তাঁর বাড়িতে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার মাত্র ৫ মিনিট পর পুলিশ ঘটনা স্থানে উপস্থিত হলেও ডাকাত দল কে ধরতে পারেনি।

উল্লেখ্য, হলিধানী ইউনিয়নে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কাতলামারি বাজারে একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। এ অঞ্চলে যত গুলো ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় ক্যাম্প থেকে বড় জোর দেড় কি.মির ভিতরেই ঘটছে। এত গুলো ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলার চরম অবউন্নতি সাধারন জনগণ পুলিশের ব্যর্থতাকেই চরম ভাবে দায়ী করছে। হলিধানি বাজারে চায়ের দোকানে বসা গাগান্না গ্রামের জামাল, বিনোদপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, এখন আমাদের এই রাস্তা দিয়ে চলতে ভীষণ ভঁয় লাগে। ডাকাতির ভঁয়ে সন্ধ্যার পরে আর কেউ এই রাস্তা দিয়ে যায় না। জরুরী কাজে এখন জীবনের ঝুকি হয়ে দাড়ায়েছে। তাঁর পরে মানুষকে জীবন হাতে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে হলিধানি ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, পুলিশ যদি একটু পরিশ্রম করে তাহলে এদের ধরতে পারে। মোজাম নামের একজন সন্ত্রাসী জেল খানার বাহিরে থাকার কারনেই এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে গেছে। দুর্দ্ধর্ষ সন্ত্রাসী মোজাম গত রমজান মাসের আগে নাটা বাড়িয়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী লক্ষণ ও সাগান্না বাওড়ের সভাপতি কোলা গ্রামের শাহাজউদ্দিনকে চাঁদা ধরে। সে সময় কাতলা মারি ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই নবাবের তৎপরতার কারনে এই চাঁদা নিতে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে সে পালাতক আছে। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেই এলাকায় শান্তি ফিরে আসতে পারে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। তাছাড়া আরেকজন সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন ঝিনাইদহ জেল খানায় আছে বলে জানাযায়। এ প্রসঙ্গে কাতলা মারি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এই পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জন কে গ্রেফতার করে জেল হাজাতে প্রেরন করা হয়েছে। এঘটনা গুলোর সাথে যারা জড়িত আছে আমরা জানতে পেরেছি। তাছাড়া মোজাম একজন আলোচিত সন্ত্রাসী, সে পালাতক আছে। আমরা জানতে পেরেছি সে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবস্থান করছে।