শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

প্রেমিকা হারানোর বিরহে ৬০ বছর পানি স্পর্শ করেননি যে ব্যক্তি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমু হাজি। বয়স ৮০, দক্ষিণ ইরানের বাসিন্দা।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রচুর গরম আবহাওয়ার মধ্যে টানা ৬০ বছর ধরে গোসল না করেও দিব্যি সুস্থ আছেন তিনি। তবে তার এই গোসল না করার পেছনে রয়েছে অদ্ভূত একটি কারণ।

জানা গেছে, তরুণ বয়সে এক মেয়েকে পছন্দ করতেন আমু। ওই মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম-ভালবাসাও হয়। কিন্তু বিশ বছর বয়সে তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যায়। আর ওই প্রেমের বিরহে তিনি গোসল করা বন্ধ করে দিয়ে গত ৬০ বছর ধরে এক অদ্ভুত জীবনযাপন করছেন।

যে গ্রামে আমু হাজির ২০ বছর কেটেছে সেই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পরই একটি মেয়েকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিল আমু। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে সেই মেয়েটি তাকে ছেড়ে চলে যায়। সেই যন্ত্রণায় সারা জীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন আমু হাজি। সেই থেকেই তার বাস জঙ্গলে জঙ্গলে। গোসল খাওয়া-দাওয়া বন্ধ।

তবে এমন জীবনকে উপভোগ করছেন আমু। তার মতে, যারা বড় বড় অট্টালিকায় থাকে তাদের অনেক কিছু হারানোর ভয় থাকে। তবে তার কাছে হারানোর মতো কিছু নেই , যা ছিল তা অনেক আগেই তিনি হারিয়ে ফলেছেন। তাই এই পৃথিবীতে তার থেকে খুশি মানুষ আর দ্বিতীয় কেউ নেই।

এদিকে ডাক্তাররা ভেবেছিলেন নোংরাভাবে থাকতে থাকতে, নোংরা খাবার এবং পানি খেতে খেতে আমুর শরীরটা নিশ্চয় বিষাক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু আজব ব্যাপার, বাস্তবে এমনটা হয়নি। চিকিৎসক আমুর শরীর পরীক্ষা করে দেখেন এত অত্যাচারের পরেও তার শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধেনি। শুধু তাই নয়, সবদিক থেকে মানুষটা বেজায় সুস্থও আছেন। কিভাবে যে এমনটা সম্ভব হল, সে উত্তর আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি।

আমুর খাওয়া-দাওয়াও সাধারণ মানুষদের মতো নয়। তার খিদে পেলে ভাত-রুটি খান না। সজারু তার পছন্দের খাবার। আর এমনটা তিনি ১-২ বছর নয় টানা ৬০ বছর ধরে খেয়ে আসছেন। এছাড়া তার দাঁড়ি যখন বড় হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত অংশটা তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতেই ভালবাসেন। তিনি জানান, স্নান না করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে সবসময়ই তার মন চায়। তাই তো তিনি এমনটা করে থাকেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

প্রেমিকা হারানোর বিরহে ৬০ বছর পানি স্পর্শ করেননি যে ব্যক্তি !

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমু হাজি। বয়স ৮০, দক্ষিণ ইরানের বাসিন্দা।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রচুর গরম আবহাওয়ার মধ্যে টানা ৬০ বছর ধরে গোসল না করেও দিব্যি সুস্থ আছেন তিনি। তবে তার এই গোসল না করার পেছনে রয়েছে অদ্ভূত একটি কারণ।

জানা গেছে, তরুণ বয়সে এক মেয়েকে পছন্দ করতেন আমু। ওই মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম-ভালবাসাও হয়। কিন্তু বিশ বছর বয়সে তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যায়। আর ওই প্রেমের বিরহে তিনি গোসল করা বন্ধ করে দিয়ে গত ৬০ বছর ধরে এক অদ্ভুত জীবনযাপন করছেন।

যে গ্রামে আমু হাজির ২০ বছর কেটেছে সেই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পরই একটি মেয়েকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিল আমু। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে সেই মেয়েটি তাকে ছেড়ে চলে যায়। সেই যন্ত্রণায় সারা জীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন আমু হাজি। সেই থেকেই তার বাস জঙ্গলে জঙ্গলে। গোসল খাওয়া-দাওয়া বন্ধ।

তবে এমন জীবনকে উপভোগ করছেন আমু। তার মতে, যারা বড় বড় অট্টালিকায় থাকে তাদের অনেক কিছু হারানোর ভয় থাকে। তবে তার কাছে হারানোর মতো কিছু নেই , যা ছিল তা অনেক আগেই তিনি হারিয়ে ফলেছেন। তাই এই পৃথিবীতে তার থেকে খুশি মানুষ আর দ্বিতীয় কেউ নেই।

এদিকে ডাক্তাররা ভেবেছিলেন নোংরাভাবে থাকতে থাকতে, নোংরা খাবার এবং পানি খেতে খেতে আমুর শরীরটা নিশ্চয় বিষাক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু আজব ব্যাপার, বাস্তবে এমনটা হয়নি। চিকিৎসক আমুর শরীর পরীক্ষা করে দেখেন এত অত্যাচারের পরেও তার শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধেনি। শুধু তাই নয়, সবদিক থেকে মানুষটা বেজায় সুস্থও আছেন। কিভাবে যে এমনটা সম্ভব হল, সে উত্তর আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি।

আমুর খাওয়া-দাওয়াও সাধারণ মানুষদের মতো নয়। তার খিদে পেলে ভাত-রুটি খান না। সজারু তার পছন্দের খাবার। আর এমনটা তিনি ১-২ বছর নয় টানা ৬০ বছর ধরে খেয়ে আসছেন। এছাড়া তার দাঁড়ি যখন বড় হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত অংশটা তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতেই ভালবাসেন। তিনি জানান, স্নান না করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে সবসময়ই তার মন চায়। তাই তো তিনি এমনটা করে থাকেন।