শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

প্রেমিকা হারানোর বিরহে ৬০ বছর পানি স্পর্শ করেননি যে ব্যক্তি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমু হাজি। বয়স ৮০, দক্ষিণ ইরানের বাসিন্দা।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রচুর গরম আবহাওয়ার মধ্যে টানা ৬০ বছর ধরে গোসল না করেও দিব্যি সুস্থ আছেন তিনি। তবে তার এই গোসল না করার পেছনে রয়েছে অদ্ভূত একটি কারণ।

জানা গেছে, তরুণ বয়সে এক মেয়েকে পছন্দ করতেন আমু। ওই মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম-ভালবাসাও হয়। কিন্তু বিশ বছর বয়সে তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যায়। আর ওই প্রেমের বিরহে তিনি গোসল করা বন্ধ করে দিয়ে গত ৬০ বছর ধরে এক অদ্ভুত জীবনযাপন করছেন।

যে গ্রামে আমু হাজির ২০ বছর কেটেছে সেই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পরই একটি মেয়েকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিল আমু। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে সেই মেয়েটি তাকে ছেড়ে চলে যায়। সেই যন্ত্রণায় সারা জীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন আমু হাজি। সেই থেকেই তার বাস জঙ্গলে জঙ্গলে। গোসল খাওয়া-দাওয়া বন্ধ।

তবে এমন জীবনকে উপভোগ করছেন আমু। তার মতে, যারা বড় বড় অট্টালিকায় থাকে তাদের অনেক কিছু হারানোর ভয় থাকে। তবে তার কাছে হারানোর মতো কিছু নেই , যা ছিল তা অনেক আগেই তিনি হারিয়ে ফলেছেন। তাই এই পৃথিবীতে তার থেকে খুশি মানুষ আর দ্বিতীয় কেউ নেই।

এদিকে ডাক্তাররা ভেবেছিলেন নোংরাভাবে থাকতে থাকতে, নোংরা খাবার এবং পানি খেতে খেতে আমুর শরীরটা নিশ্চয় বিষাক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু আজব ব্যাপার, বাস্তবে এমনটা হয়নি। চিকিৎসক আমুর শরীর পরীক্ষা করে দেখেন এত অত্যাচারের পরেও তার শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধেনি। শুধু তাই নয়, সবদিক থেকে মানুষটা বেজায় সুস্থও আছেন। কিভাবে যে এমনটা সম্ভব হল, সে উত্তর আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি।

আমুর খাওয়া-দাওয়াও সাধারণ মানুষদের মতো নয়। তার খিদে পেলে ভাত-রুটি খান না। সজারু তার পছন্দের খাবার। আর এমনটা তিনি ১-২ বছর নয় টানা ৬০ বছর ধরে খেয়ে আসছেন। এছাড়া তার দাঁড়ি যখন বড় হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত অংশটা তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতেই ভালবাসেন। তিনি জানান, স্নান না করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে সবসময়ই তার মন চায়। তাই তো তিনি এমনটা করে থাকেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

প্রেমিকা হারানোর বিরহে ৬০ বছর পানি স্পর্শ করেননি যে ব্যক্তি !

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমু হাজি। বয়স ৮০, দক্ষিণ ইরানের বাসিন্দা।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রচুর গরম আবহাওয়ার মধ্যে টানা ৬০ বছর ধরে গোসল না করেও দিব্যি সুস্থ আছেন তিনি। তবে তার এই গোসল না করার পেছনে রয়েছে অদ্ভূত একটি কারণ।

জানা গেছে, তরুণ বয়সে এক মেয়েকে পছন্দ করতেন আমু। ওই মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম-ভালবাসাও হয়। কিন্তু বিশ বছর বয়সে তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যায়। আর ওই প্রেমের বিরহে তিনি গোসল করা বন্ধ করে দিয়ে গত ৬০ বছর ধরে এক অদ্ভুত জীবনযাপন করছেন।

যে গ্রামে আমু হাজির ২০ বছর কেটেছে সেই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পরই একটি মেয়েকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিল আমু। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে সেই মেয়েটি তাকে ছেড়ে চলে যায়। সেই যন্ত্রণায় সারা জীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন আমু হাজি। সেই থেকেই তার বাস জঙ্গলে জঙ্গলে। গোসল খাওয়া-দাওয়া বন্ধ।

তবে এমন জীবনকে উপভোগ করছেন আমু। তার মতে, যারা বড় বড় অট্টালিকায় থাকে তাদের অনেক কিছু হারানোর ভয় থাকে। তবে তার কাছে হারানোর মতো কিছু নেই , যা ছিল তা অনেক আগেই তিনি হারিয়ে ফলেছেন। তাই এই পৃথিবীতে তার থেকে খুশি মানুষ আর দ্বিতীয় কেউ নেই।

এদিকে ডাক্তাররা ভেবেছিলেন নোংরাভাবে থাকতে থাকতে, নোংরা খাবার এবং পানি খেতে খেতে আমুর শরীরটা নিশ্চয় বিষাক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু আজব ব্যাপার, বাস্তবে এমনটা হয়নি। চিকিৎসক আমুর শরীর পরীক্ষা করে দেখেন এত অত্যাচারের পরেও তার শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধেনি। শুধু তাই নয়, সবদিক থেকে মানুষটা বেজায় সুস্থও আছেন। কিভাবে যে এমনটা সম্ভব হল, সে উত্তর আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি।

আমুর খাওয়া-দাওয়াও সাধারণ মানুষদের মতো নয়। তার খিদে পেলে ভাত-রুটি খান না। সজারু তার পছন্দের খাবার। আর এমনটা তিনি ১-২ বছর নয় টানা ৬০ বছর ধরে খেয়ে আসছেন। এছাড়া তার দাঁড়ি যখন বড় হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত অংশটা তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতেই ভালবাসেন। তিনি জানান, স্নান না করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে সবসময়ই তার মন চায়। তাই তো তিনি এমনটা করে থাকেন।