শিরোনাম :
Logo রায়গঞ্জে প্রতিবন্ধী কার্ডের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ Logo পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটির অনুমোদিন Logo ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভাণ্ডারীর ইন্তেকাল Logo রাজধানী উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে টেকনাফ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত: Logo আল্লামা মামুনুল হকের আগমন উপলক্ষে কচুয়ায় জনসভা বাস্তবায়নের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন Logo ইবি-মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত Logo রাজধানীতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে টেকনাফ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা Logo বাংলাদেশি না বাঙালি : আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায় Logo শিশুদের ঝলসানো শরীর যেন ঝলসানো বাংলাদেশ Logo বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় কচুয়ায় ওয়ার্ড যুবদলের আয়োজনে দোয়া মাহফিল

প্রেমিকা হারানোর বিরহে ৬০ বছর পানি স্পর্শ করেননি যে ব্যক্তি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমু হাজি। বয়স ৮০, দক্ষিণ ইরানের বাসিন্দা।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রচুর গরম আবহাওয়ার মধ্যে টানা ৬০ বছর ধরে গোসল না করেও দিব্যি সুস্থ আছেন তিনি। তবে তার এই গোসল না করার পেছনে রয়েছে অদ্ভূত একটি কারণ।

জানা গেছে, তরুণ বয়সে এক মেয়েকে পছন্দ করতেন আমু। ওই মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম-ভালবাসাও হয়। কিন্তু বিশ বছর বয়সে তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যায়। আর ওই প্রেমের বিরহে তিনি গোসল করা বন্ধ করে দিয়ে গত ৬০ বছর ধরে এক অদ্ভুত জীবনযাপন করছেন।

যে গ্রামে আমু হাজির ২০ বছর কেটেছে সেই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পরই একটি মেয়েকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিল আমু। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে সেই মেয়েটি তাকে ছেড়ে চলে যায়। সেই যন্ত্রণায় সারা জীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন আমু হাজি। সেই থেকেই তার বাস জঙ্গলে জঙ্গলে। গোসল খাওয়া-দাওয়া বন্ধ।

তবে এমন জীবনকে উপভোগ করছেন আমু। তার মতে, যারা বড় বড় অট্টালিকায় থাকে তাদের অনেক কিছু হারানোর ভয় থাকে। তবে তার কাছে হারানোর মতো কিছু নেই , যা ছিল তা অনেক আগেই তিনি হারিয়ে ফলেছেন। তাই এই পৃথিবীতে তার থেকে খুশি মানুষ আর দ্বিতীয় কেউ নেই।

এদিকে ডাক্তাররা ভেবেছিলেন নোংরাভাবে থাকতে থাকতে, নোংরা খাবার এবং পানি খেতে খেতে আমুর শরীরটা নিশ্চয় বিষাক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু আজব ব্যাপার, বাস্তবে এমনটা হয়নি। চিকিৎসক আমুর শরীর পরীক্ষা করে দেখেন এত অত্যাচারের পরেও তার শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধেনি। শুধু তাই নয়, সবদিক থেকে মানুষটা বেজায় সুস্থও আছেন। কিভাবে যে এমনটা সম্ভব হল, সে উত্তর আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি।

আমুর খাওয়া-দাওয়াও সাধারণ মানুষদের মতো নয়। তার খিদে পেলে ভাত-রুটি খান না। সজারু তার পছন্দের খাবার। আর এমনটা তিনি ১-২ বছর নয় টানা ৬০ বছর ধরে খেয়ে আসছেন। এছাড়া তার দাঁড়ি যখন বড় হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত অংশটা তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতেই ভালবাসেন। তিনি জানান, স্নান না করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে সবসময়ই তার মন চায়। তাই তো তিনি এমনটা করে থাকেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রায়গঞ্জে প্রতিবন্ধী কার্ডের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ

প্রেমিকা হারানোর বিরহে ৬০ বছর পানি স্পর্শ করেননি যে ব্যক্তি !

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমু হাজি। বয়স ৮০, দক্ষিণ ইরানের বাসিন্দা।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রচুর গরম আবহাওয়ার মধ্যে টানা ৬০ বছর ধরে গোসল না করেও দিব্যি সুস্থ আছেন তিনি। তবে তার এই গোসল না করার পেছনে রয়েছে অদ্ভূত একটি কারণ।

জানা গেছে, তরুণ বয়সে এক মেয়েকে পছন্দ করতেন আমু। ওই মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম-ভালবাসাও হয়। কিন্তু বিশ বছর বয়সে তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যায়। আর ওই প্রেমের বিরহে তিনি গোসল করা বন্ধ করে দিয়ে গত ৬০ বছর ধরে এক অদ্ভুত জীবনযাপন করছেন।

যে গ্রামে আমু হাজির ২০ বছর কেটেছে সেই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পরই একটি মেয়েকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিল আমু। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে সেই মেয়েটি তাকে ছেড়ে চলে যায়। সেই যন্ত্রণায় সারা জীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন আমু হাজি। সেই থেকেই তার বাস জঙ্গলে জঙ্গলে। গোসল খাওয়া-দাওয়া বন্ধ।

তবে এমন জীবনকে উপভোগ করছেন আমু। তার মতে, যারা বড় বড় অট্টালিকায় থাকে তাদের অনেক কিছু হারানোর ভয় থাকে। তবে তার কাছে হারানোর মতো কিছু নেই , যা ছিল তা অনেক আগেই তিনি হারিয়ে ফলেছেন। তাই এই পৃথিবীতে তার থেকে খুশি মানুষ আর দ্বিতীয় কেউ নেই।

এদিকে ডাক্তাররা ভেবেছিলেন নোংরাভাবে থাকতে থাকতে, নোংরা খাবার এবং পানি খেতে খেতে আমুর শরীরটা নিশ্চয় বিষাক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু আজব ব্যাপার, বাস্তবে এমনটা হয়নি। চিকিৎসক আমুর শরীর পরীক্ষা করে দেখেন এত অত্যাচারের পরেও তার শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধেনি। শুধু তাই নয়, সবদিক থেকে মানুষটা বেজায় সুস্থও আছেন। কিভাবে যে এমনটা সম্ভব হল, সে উত্তর আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি।

আমুর খাওয়া-দাওয়াও সাধারণ মানুষদের মতো নয়। তার খিদে পেলে ভাত-রুটি খান না। সজারু তার পছন্দের খাবার। আর এমনটা তিনি ১-২ বছর নয় টানা ৬০ বছর ধরে খেয়ে আসছেন। এছাড়া তার দাঁড়ি যখন বড় হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত অংশটা তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতেই ভালবাসেন। তিনি জানান, স্নান না করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে সবসময়ই তার মন চায়। তাই তো তিনি এমনটা করে থাকেন।