শিরোনাম :
Logo দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা Logo জাকসু প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন  বাগছাসের জিএস প্রার্থীর Logo শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টার সুস্থতা ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সভাপতির রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo লস্কর সিনেমার গানে জীবন ওয়াসিফ ও শেরপুরের কলি সাহা Logo সিরাজগঞ্জে এতিমদের জমি দখলে প্রভাবশালীদের টানাটানি Logo চাঁদপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo সাংবাদিক কবির হোসেন মিজি সম্পাদিত ছোট কাগজ জানালা’র মোড়ক উন্মোচন Logo একসময়ের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী সফিউল্লাহ এখন রিক্সা–সাইকেল মেকানিক Logo শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিল নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে: বদরুদ্দীন উমরের জবানবন্দি Logo ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব

কর্মক্ষেত্রে সকলের ‘প্রিয়’ হয়ে উঠতে করণীয় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:১৪:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অফিসের আদব-কায়দা বুঝিয়ে দেয় আপনার পেশাদার জীবনের পরিচয়। কীভাবে নিজেকে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন, এমন আরও অনেক কিছু বিষয় কাজের জগতে বেশ চ্যালেঞ্জিং।

আপনার বিনয় এবং শ্রদ্ধাপূর্ণ ব্যবহারই আপনাকে দেবে মর্যাদা।

কর্মক্ষেত্রে অন্যান্য কর্মীদের থেকে যোগ্য সম্মান আদায় করে নেওয়াটা আপনার ব্যবহারেই লুকিয়ে থাকে। তাই অফিসে ঠিক কী কী করবেন, আর কী কী করবেন না, তা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই কিছু পরামর্শ-

১। প্রথম দর্শন-

প্রথমদিনই আপনার স্বভাব, আচরণ অন্যদের পছন্দ হয়ে গেলে পুরনোদের সঙ্গে মিশে যাওয়াটা বেশ সহজ হয়ে যায়। কখনই অফিসে চিউইং গাম খাবেন না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে অফিসে আসুন। কাজের জায়গা পরিষ্কার রাখুন। শুরুতেই অযথা তর্কে-বিতর্কে জড়াবেন না।

২। সততা ও মর্যাদা-

সততা ও মর্যাদা নিয়ে কাজ করতে হবে। তার ফল নিশ্চয়ই ইতিবাচক হবে।

৩। অফিসে উপযোগী পোশাক পরুন-

আপনি কোন পেশায় আছেন, সেই অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করুন। ক্যাজুয়াল ওয়্যার নৈব নৈব চ। আর পোশাক পরিষ্কার হওয়া বাঞ্ছনীয়। কুঁচকে থাকা জামা-কাপড় একেবারেই পরবেন না। অবশ্যই ইস্ত্রি করবেন। এতেও আপনার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে।

৪। সুগন্ধী ব্যবহার-

বেশি উগ্র নয়, হালকা পারফিউম ব্যবহার করুন। এমন পারফিউম ব্যবহার করবেন না, যাতে অন্যদের অসুবিধে হয়। হাঁচি বা কাশতে গেলে অবশ্যই টিস্যু পেপার দিয়ে মুখ ঢেকে নিন।

৫। সহকর্মীকে সম্মান-

পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অন্য সবাইকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন। অন্য কেউ কথা বললে তার মাঝে কথা না বলার চেষ্টা করুন। যদি বলতেই হয়, অবশ্যই নিজেকে এক্সকিউজ করে নেবেন। স্পষ্ট করে নম্রভাবে কথা বলুন। কখনওই চেঁচামেচি করবেন না। সহকর্মীর সঙ্গে তর্ক হলেও কখনওই ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। পাশাপাশি অন্য কারও ঘরে ঢোকার আগে দরজায় অবশ্যই জিজ্ঞেস করে ঢুকবেন।

৬। বাকিদের প্রশংসা-

আপনার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন, সারাদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে তাঁরাও ধীরে ধীরে বন্ধু স্থানীয় ও আপন হয়ে ওঠেন। তাই মাঝেমধ্যে তাঁদের কাজের প্রশংসা করলে ভাল লাগবে। তবেই তাঁরাও আপনার প্রশংসা করবেন।

৭। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন-

শুধু অফিস ম্যানার্স বলে নয়, মানবিকতার খাতিরেও সবসময় সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকা ভাল। চেষ্টা করুন কো-অপারেটিভ হতে।

৮। সহকর্মীদের সমালোচনা-

এ বিষয়ে অত্যন্ত করুন সতর্ক থাকবেন, সমবেদনার সঙ্গে সমালোচনা করুন। সহকর্মীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা করবেন না। কোনও সহকর্মী ফোনে ব্যস্ত থাকাকালীন কিছু বলার থাকলে, তাঁর ঘাড়ের কাছে না দাঁড়িয়ে একটা নোট রেখে দিন।

৯। ভুল স্বীকার-

নিজের ভুলের দায়িত্ব নিন। অন্যের উপর তা চাপানোর চেষ্টা করবেন না। ভুল করলে তা মেনে নিন। নিজের ভুল স্বীকার করার মধ্যে কোনও হীনমন্যতা নেই।

১০। তর্ক নয়-

বস যখন কোনও কিছু নিয়ে সমালোচনা করছেন, তখন তা নিয়ে তাঁর সঙ্গে তর্ক-বিবাদ না করে একবার ভেবে দেখুন কেন এমন বলছেন তিনি।

১১। নতুনদের সম্মান-

নতুন কেউ কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলে তাঁকে স্বাগত জানান। সবসময় নিজেকে ব্যস্ত দেখাবেন না।

১২। মিটিংয়ের ম্যানার্স-

মিটিং চলাকালীন অন্যের কথার মাঝখানে কথা বলবেন না। কিছু বলার হলে যিনি কথা বলছেন, তাঁর কথা শেষ করতে দিন। মিটিংয়ের মাঝে উঠে যাবেন না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা

কর্মক্ষেত্রে সকলের ‘প্রিয়’ হয়ে উঠতে করণীয় !

আপডেট সময় : ১২:১৪:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অফিসের আদব-কায়দা বুঝিয়ে দেয় আপনার পেশাদার জীবনের পরিচয়। কীভাবে নিজেকে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন, এমন আরও অনেক কিছু বিষয় কাজের জগতে বেশ চ্যালেঞ্জিং।

আপনার বিনয় এবং শ্রদ্ধাপূর্ণ ব্যবহারই আপনাকে দেবে মর্যাদা।

কর্মক্ষেত্রে অন্যান্য কর্মীদের থেকে যোগ্য সম্মান আদায় করে নেওয়াটা আপনার ব্যবহারেই লুকিয়ে থাকে। তাই অফিসে ঠিক কী কী করবেন, আর কী কী করবেন না, তা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই কিছু পরামর্শ-

১। প্রথম দর্শন-

প্রথমদিনই আপনার স্বভাব, আচরণ অন্যদের পছন্দ হয়ে গেলে পুরনোদের সঙ্গে মিশে যাওয়াটা বেশ সহজ হয়ে যায়। কখনই অফিসে চিউইং গাম খাবেন না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে অফিসে আসুন। কাজের জায়গা পরিষ্কার রাখুন। শুরুতেই অযথা তর্কে-বিতর্কে জড়াবেন না।

২। সততা ও মর্যাদা-

সততা ও মর্যাদা নিয়ে কাজ করতে হবে। তার ফল নিশ্চয়ই ইতিবাচক হবে।

৩। অফিসে উপযোগী পোশাক পরুন-

আপনি কোন পেশায় আছেন, সেই অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করুন। ক্যাজুয়াল ওয়্যার নৈব নৈব চ। আর পোশাক পরিষ্কার হওয়া বাঞ্ছনীয়। কুঁচকে থাকা জামা-কাপড় একেবারেই পরবেন না। অবশ্যই ইস্ত্রি করবেন। এতেও আপনার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে।

৪। সুগন্ধী ব্যবহার-

বেশি উগ্র নয়, হালকা পারফিউম ব্যবহার করুন। এমন পারফিউম ব্যবহার করবেন না, যাতে অন্যদের অসুবিধে হয়। হাঁচি বা কাশতে গেলে অবশ্যই টিস্যু পেপার দিয়ে মুখ ঢেকে নিন।

৫। সহকর্মীকে সম্মান-

পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অন্য সবাইকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন। অন্য কেউ কথা বললে তার মাঝে কথা না বলার চেষ্টা করুন। যদি বলতেই হয়, অবশ্যই নিজেকে এক্সকিউজ করে নেবেন। স্পষ্ট করে নম্রভাবে কথা বলুন। কখনওই চেঁচামেচি করবেন না। সহকর্মীর সঙ্গে তর্ক হলেও কখনওই ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। পাশাপাশি অন্য কারও ঘরে ঢোকার আগে দরজায় অবশ্যই জিজ্ঞেস করে ঢুকবেন।

৬। বাকিদের প্রশংসা-

আপনার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন, সারাদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে তাঁরাও ধীরে ধীরে বন্ধু স্থানীয় ও আপন হয়ে ওঠেন। তাই মাঝেমধ্যে তাঁদের কাজের প্রশংসা করলে ভাল লাগবে। তবেই তাঁরাও আপনার প্রশংসা করবেন।

৭। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন-

শুধু অফিস ম্যানার্স বলে নয়, মানবিকতার খাতিরেও সবসময় সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকা ভাল। চেষ্টা করুন কো-অপারেটিভ হতে।

৮। সহকর্মীদের সমালোচনা-

এ বিষয়ে অত্যন্ত করুন সতর্ক থাকবেন, সমবেদনার সঙ্গে সমালোচনা করুন। সহকর্মীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা করবেন না। কোনও সহকর্মী ফোনে ব্যস্ত থাকাকালীন কিছু বলার থাকলে, তাঁর ঘাড়ের কাছে না দাঁড়িয়ে একটা নোট রেখে দিন।

৯। ভুল স্বীকার-

নিজের ভুলের দায়িত্ব নিন। অন্যের উপর তা চাপানোর চেষ্টা করবেন না। ভুল করলে তা মেনে নিন। নিজের ভুল স্বীকার করার মধ্যে কোনও হীনমন্যতা নেই।

১০। তর্ক নয়-

বস যখন কোনও কিছু নিয়ে সমালোচনা করছেন, তখন তা নিয়ে তাঁর সঙ্গে তর্ক-বিবাদ না করে একবার ভেবে দেখুন কেন এমন বলছেন তিনি।

১১। নতুনদের সম্মান-

নতুন কেউ কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলে তাঁকে স্বাগত জানান। সবসময় নিজেকে ব্যস্ত দেখাবেন না।

১২। মিটিংয়ের ম্যানার্স-

মিটিং চলাকালীন অন্যের কথার মাঝখানে কথা বলবেন না। কিছু বলার হলে যিনি কথা বলছেন, তাঁর কথা শেষ করতে দিন। মিটিংয়ের মাঝে উঠে যাবেন না।