বিতর্কিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ব্রিটেন, আতঙ্কে চীন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:০০:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ চীন সাগর। আর আমেরিকার পর এবার বিতর্কিত সেই অঞ্চলে আগামী বছর যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ব্রিটেন। গত বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালোন। এদিকে, ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুব্ধ চীন। বেইজিং পুরো বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছে বলেও জানানো হয়েছে।

এসময় ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা আগামী বছর ওই অঞ্চলে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর আশা করছি। জাহাজ ঠিক কোথায় মোতায়েন করা হবে তা এখনো স্থির হয়নি। ‘ তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীন নৌ চলাচলের অধিকার আছে এবং আমরা এর মহড়া দেবো। ‘

বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে স্বাধীন নৌ-চলাচলের মহড়ার কথা উল্লেখ করে মাইকেল ফ্যালন বলেন, গত বছর ওই অঞ্চলে জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় ৪টি বোমারু বিমান পাঠায় ব্রিটেন। সাগরে এবার নিজেদের জোরদার উপস্থিতি বোঝাতে আরো শক্তি বাড়াবে ব্রিটেন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গত অক্টোবরে দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধ বিমান আরএএফ টাইফুন উড়িয়েছি। আগামীতেও কোনো সময় সুযোগ পেলে ফের বোমারু বিমান ওড়ানো হবে ওই এলাকায়। আমাদের বিমান কিংবা জাহাজ যখন সেখানে থাকবে তখনই আমরা তা করব। ‘

উল্লেখ্য, জ্বালানি সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলটি পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে বেইজিং। একই দাবি করছে প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামও।

এদিকে, সাগরের সেই বিতর্কিত অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ এবং সামরিক ঘাঁটি তৈরি করায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে চীন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিতর্কিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ব্রিটেন, আতঙ্কে চীন !

আপডেট সময় : ১২:০০:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ চীন সাগর। আর আমেরিকার পর এবার বিতর্কিত সেই অঞ্চলে আগামী বছর যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ব্রিটেন। গত বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালোন। এদিকে, ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুব্ধ চীন। বেইজিং পুরো বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছে বলেও জানানো হয়েছে।

এসময় ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা আগামী বছর ওই অঞ্চলে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর আশা করছি। জাহাজ ঠিক কোথায় মোতায়েন করা হবে তা এখনো স্থির হয়নি। ‘ তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীন নৌ চলাচলের অধিকার আছে এবং আমরা এর মহড়া দেবো। ‘

বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে স্বাধীন নৌ-চলাচলের মহড়ার কথা উল্লেখ করে মাইকেল ফ্যালন বলেন, গত বছর ওই অঞ্চলে জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় ৪টি বোমারু বিমান পাঠায় ব্রিটেন। সাগরে এবার নিজেদের জোরদার উপস্থিতি বোঝাতে আরো শক্তি বাড়াবে ব্রিটেন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গত অক্টোবরে দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধ বিমান আরএএফ টাইফুন উড়িয়েছি। আগামীতেও কোনো সময় সুযোগ পেলে ফের বোমারু বিমান ওড়ানো হবে ওই এলাকায়। আমাদের বিমান কিংবা জাহাজ যখন সেখানে থাকবে তখনই আমরা তা করব। ‘

উল্লেখ্য, জ্বালানি সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলটি পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে বেইজিং। একই দাবি করছে প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামও।

এদিকে, সাগরের সেই বিতর্কিত অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ এবং সামরিক ঘাঁটি তৈরি করায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে চীন।