নিউজ ডেস্ক:
গোটা ভারত জুড়ে চলছে গো-মাংস বিতর্ক! ঘটছে মানুষ হত্যার মতো ঘটনাও। আর এমন পরিস্থিতিতে প্রাণে বাঁচতে সবজিই ভাল হয়তো চুপিসাড়ে অনেকেই এ কথা বলছেন। তাই চলুন জেনে নিই বিশ্বের সব থেকে পুরনো নিরামিষ রেস্তরাঁর গল্পটিও।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো নিরামিষ রেস্তরাঁটি সুইজারল্যান্ডের জুরিখে। হোটেলটির নাম- হস হিলটল। রেস্তরাঁটি অন্তত চার প্রজন্ম ধরে চালাচ্ছে একটি পরিবার।
১৮৯৮ সালে চালু হয়েছিল এই রেস্তরাঁ। রেস্তরাঁটি চালু করেন অ্যামব্রোসিয়াস হিলটল। ভাবলে অবাক হবেন গত ১১৯ বছর ধরে রেস্তরাঁটিতে প্রতিদিন ৫০০রও বেশি পদ রান্না হয় এবং সব নিরামিষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরামিষ পদ তৈরি হয় এখানে। যার মধ্যে উপমহাদেশের নিরামিষ পদ এখানকার ক্রেতাদের সবথেকে বেশি পছন্দ। তাই হিলটলের মেনুতে সবার প্রথমেই থাকে ভারতীয় খাবার।
১৯৫১ সালে ভারতের সঙ্গে জুরিখের এই রেস্তরাঁর এক অদ্ভুত যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সেই বছরই হোটেলের তখনকার মালকিন মারগ্রিথ ভারতে আসেন বিশ্ব নিরামিষ সম্মেলনে যোগ দিতে। সেখানেই ভারতীয় নিরামিষ রান্নার স্বাদে মুগ্ধ হন তিনি। শুধু তাই নয়। তখন তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়েরও। ১৯৫৩ সালে জুরিখের এই হোটেলে পা রাখেন মোরারজি।
বিশ্বের ৬০টি দেশ থেকে আসা কর্মী ও তিরিশ জন শেফের বেশ কয়েকজন ভারতীয়ও বটে। ১৯৩১ সালে প্রথম বিদ্যুৎ আসে এই হোটেলের রান্নাঘরে। আর আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হোটেলের পেজে নিজেদের মতামত দিতে পারেন ক্রেতারা। সেটা নেতিবাচক মন্তব্যও হতে পারে। তাকেও স্বাগত জানান হোটেল কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সালে রেস্তরাঁটির নাম ওঠে গিনেস বুকেও।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন