নিউজ ডেস্ক:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাদিকুল ইসলাম মিলনের নিখোঁজের ৫০ দিনেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার দুপুরে জবি ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য চত্বরের সামনে মিলনকে উদ্ধারের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
এতে বক্তারা বলেন, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে বারবার অভিযোগ করা হলেও তাকে উদ্ধারের ব্যাপারে লক্ষণীয় পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এ সময় মিলনকে উদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেন তারা।
মানববন্ধনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মিলনের বাবা বলেন, প্রায় দুই মাস হয়ে গেছে। কিন্তু থানা, পুলিশ, ডিবি কোথাও ছেলের সন্ধান পাননি। জবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, জবি প্রক্টর ইচ্ছা করলেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে পারেন।
এদিকে মানববন্ধনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের কোনো শিক্ষক অংশগ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষকদের বারবার অনুরোধ করার পরও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেনি। এ ব্যাপারে মিলনের বিভাগের শিক্ষক নূরে আলম আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আসলে আমরা শুনেছিলাম ওকে (মিলনকে) নাকি প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত ব্যাপারে আটক করা হয়েছে। তাই নীতিগত কারণে আমরা মানববন্ধনে অংশ নেয়নি। তবে খবরটি মিথ্যা ছিল।
আদাবর থানার উপপরিদর্শক ও মিলনের নিখোঁজের তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মিলনের পরিবার আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো খোঁজ পাওয়া মাত্রই তার পরিবারকে জানানো হবে।
জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদ বলেন, আমরা এ বিষয়ে যথেষ্ট তৎপরতা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে ডিএমপি কমিশনার বরাবর একটি লিখিত চিঠিও পাঠানো হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধকেও আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টার কোনো ঘাটতি নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে ভোরে মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কয়েকজন মিলনকে তুলে নিয়ে যায়। আটকের খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্বীকার করলে পরদিন মিলনের পরিবার আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এখন পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।