নিউজ ডেস্ক:
দিনভর নাটক শেষে রাতে অবশেষে রবি শাস্ত্রীতেই সিলমোহর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের। নতুন কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর নামই ঘোষণা বিসিসিআইয়ের। আগামী ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিরাটদের দায়িত্বে শাস্ত্রী। তবে বিরাটদের দায়িত্বে দ্বিতীয় ইনিংসের পথটা যে রবি শাস্ত্রীর ফুল বিছানো নয়, তা সহকারী কোচ নির্বাচনে স্পষ্ট।
বোলিং কোচ হিসেবে জাহির খান ও বিদেশে ব্যাটিং পরামর্শদাতা (পড়তে হবে কোচ) হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়কে জুড়ে দেয়া হলো শাস্ত্রীর সঙ্গে।
কিন্তু তার আগে কোচের নাম ঘোষণাকে ঘিরে দিনভর নাটক চলল। মঙ্গলবার দিনকে চারভাগে ভাগ করলে কোচ নিয়ে একেবারে চার দফা নাটক। প্রথমে সকালে বোর্ডের প্রশাসক কমিটি বোর্ডের মাধ্যমে সৌরভদের অ্যাডভাইসারি কমিটিকে নির্দেশ দেয় মঙ্গলবার কোচের নাম ঘোষণার।
এরপর দুপুরে হঠাৎই গুঞ্জন ভারতীয় দলের কোচ হচ্ছেন রবি শাস্ত্রী। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায়, যে শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলন করে এটিকে ভুল খবর বলে জানাতে বাধ্য হন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরী।
কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যায় কলকাতায় ফিরে সৌরভ গাঙ্গুলি জানান, এখনো কোচ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রাতে অবশেষে রবি শাস্ত্রীর নাম ঘোষণা বিসিসিআইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি সিকে খন্নার। তিনি বলেন, ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটির সুপারিশ মেনে রবি শাস্ত্রীকেই কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাহির খানকে বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হল। তিনি যোগ করেন, বিদেশ সফরে দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত হবেন রাহুল দ্রাবিড়। বিশেষ করে, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফরে।
বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের সূত্রের মতে, শাস্ত্রীকে নিয়ে সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির মনে কিছুটা অনিচ্ছা ছিল। সৌরভ হলেন বোর্ডের তিন-সদস্যের ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির অন্যতম, যার অন্য দুজন হলেন শচিন টেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। জানা গিয়েছে, শচিনই সৌরভকে বোঝান দলের ইচ্ছা অনুযায়ী, শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে নিয়োগ করতে।
তবে বিরাটের পছন্দের প্রার্থীকে কোচ হিসেবে আসীন করার পাশাপাশি জুড়ে দেয়া হলো জাহির খান ও রাহুল দ্রাবিড়কে। যা দেখে ক্রিকেট মহলের মত, এক ঢিলে দুই পাখিই তো মারল সৌরভদের পরামর্শদাতা কমিটি।
কারণ বিরাটদের পছন্দের শাস্ত্রীকেই দায়িত্ব দেয়া হলো। সঙ্গে দুটি হেভিওয়েট নাম জুড়ে দিয়ে শাস্ত্রীকেই তো ঘুরিয়ে চাপে ফেলে দেয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর রবি একাই নিতে পারবেন না। জাহির-দ্রাবিড়ের পরামর্শ তাকে নিতেই হবে।
শুধু তাই নয়, আগামী দেড় বছর বেশির ভাগই বিদেশের মাটিতে খেলবে ভারত। ফলে রাহুলের পরামর্শকে গুরুত্ব দিতেই হবে রবি শাস্ত্রীকে। অর্থাৎ কাঁটা বিছানো পথেই যে বিরাটদের সংসারে কামব্যাক হলো রবি শাস্ত্রীর।