এনবিআর কর্মকর্তার ৭ বছর কারাদণ্ড !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা আশিকুর রহমানের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৭ এর বিচারক মুন্সি রফিউল আলম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার দুদকের পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা জানান, আদালত রায়ে ৭ বছর কারাদণ্ডের মধ্যে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ের আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল হক মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটিতে ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক অজয় কুমার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপ কর কমিশনারের কার্যালয়, সার্কেল-১০৪ এ আশিকুর রহমান অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় জনৈক শেখ মিজানুর রজমানের ২০১১-২০১২ করবর্ষের আয়কর নথি নিষ্পত্তি করে দেওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরপর ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আশিকুর রহমান অগ্রিম ২৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। পরে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে শেখ মিজানুর রজমান বিষয়টি দুদককে অবহিত করেন। পরে ওই বছর ২০ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের সময় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয় আশিকুর রহমানকে। ওই সময় তার কাছে আরো ২৯ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া যায়। এরপরই দুদক মামলাটি দায়ের করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

এনবিআর কর্মকর্তার ৭ বছর কারাদণ্ড !

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা আশিকুর রহমানের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৭ এর বিচারক মুন্সি রফিউল আলম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার দুদকের পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা জানান, আদালত রায়ে ৭ বছর কারাদণ্ডের মধ্যে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ের আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল হক মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটিতে ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক অজয় কুমার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপ কর কমিশনারের কার্যালয়, সার্কেল-১০৪ এ আশিকুর রহমান অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় জনৈক শেখ মিজানুর রজমানের ২০১১-২০১২ করবর্ষের আয়কর নথি নিষ্পত্তি করে দেওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরপর ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আশিকুর রহমান অগ্রিম ২৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। পরে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে শেখ মিজানুর রজমান বিষয়টি দুদককে অবহিত করেন। পরে ওই বছর ২০ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের সময় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয় আশিকুর রহমানকে। ওই সময় তার কাছে আরো ২৯ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া যায়। এরপরই দুদক মামলাটি দায়ের করেন।