জেনে নিন বন্ধ অবস্থায়ও ব্রেনের ক্ষতি করছে স্মার্টফোন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:৩৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

স্মার্টফোন চোখের সামনে থাকলেই ক্ষতি হচ্ছে মানুষের ব্রেনের— সম্প্রতি এমনই এক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এক সায়েন্স জার্নাল ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজিউমার রিসার্চ’-এ। প্রায় ৮০০ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে নিয়ে পরীক্ষা চালান বৈজ্ঞানীরা। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল— সামনে স্মার্টফোনটি থাকলে একজন মানুষের কর্মদক্ষতা কতটা কমে, বা বাড়ে, তা যাচাই করা। এবং এই প্রেক্ষিতে একটি সহজ কাজ করতে বলা হয় অংশগ্রহণকারীদের।

পরীক্ষার পদ্ধতি-
প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে একটি কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে দেওয়া হয়। তাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়, যার জন্য গভীর মনঃসংযোগের প্রয়োজন ছিল। অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজনকে বলা হয় তাদের স্মার্টফোনটি কম্পিউটারের পাশেই উল্টা করে রেখে দিতে। কয়েকজনকে নির্দেশ দেওয়া হয় সেটি পাশের ঘরে রেখে দিতে। বাকিদের বলা হয়, সেটি পকেট বা নিজের ব্যাগে রেখে দিতে। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখার নির্দেশ ছিল। দেখা যায়, যাদের ফোনটি পাশের ঘরে ছিল, তারাই সব থেকে ভাল ফল করেছে। তার পরেই ছিল, তারা যাদের ফোন ছিল ব্যাগে।
এর থেকেই উত্তর খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, স্মার্টফোনটি চোখের সামনে থাকলেই কাজের ক্ষতি হয়। এবং একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয় মানুষের ব্রেনও। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে, ‘কগনিটিভ ক্যাপাসিটি’ কমে যাওয়া। এক্ষেত্রে যেমন হয়েছে সেই সব অংশগ্রহণকারীদের, যাদের মাবাইলটি পাশেই ছিল। অর্থাৎ, অংশগ্রহণকারী চেষ্টা করছে নিজের কাজে মনোনিবেশ করতে এবং একই সঙ্গে চেষ্টা করছে মোবাইলের দিকে আকর্ষিত না হতে। মোবাইলে কোন মেসেজ বা কল আসছে কিনা, তা নিয়ে ভাবনা অংশগ্রহণকারীর অবচেতনে রয়েই যায়।

সূত্র: এবেলা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জেনে নিন বন্ধ অবস্থায়ও ব্রেনের ক্ষতি করছে স্মার্টফোন !

আপডেট সময় : ১২:১৯:৩৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

স্মার্টফোন চোখের সামনে থাকলেই ক্ষতি হচ্ছে মানুষের ব্রেনের— সম্প্রতি এমনই এক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এক সায়েন্স জার্নাল ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজিউমার রিসার্চ’-এ। প্রায় ৮০০ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে নিয়ে পরীক্ষা চালান বৈজ্ঞানীরা। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল— সামনে স্মার্টফোনটি থাকলে একজন মানুষের কর্মদক্ষতা কতটা কমে, বা বাড়ে, তা যাচাই করা। এবং এই প্রেক্ষিতে একটি সহজ কাজ করতে বলা হয় অংশগ্রহণকারীদের।

পরীক্ষার পদ্ধতি-
প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে একটি কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে দেওয়া হয়। তাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়, যার জন্য গভীর মনঃসংযোগের প্রয়োজন ছিল। অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজনকে বলা হয় তাদের স্মার্টফোনটি কম্পিউটারের পাশেই উল্টা করে রেখে দিতে। কয়েকজনকে নির্দেশ দেওয়া হয় সেটি পাশের ঘরে রেখে দিতে। বাকিদের বলা হয়, সেটি পকেট বা নিজের ব্যাগে রেখে দিতে। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখার নির্দেশ ছিল। দেখা যায়, যাদের ফোনটি পাশের ঘরে ছিল, তারাই সব থেকে ভাল ফল করেছে। তার পরেই ছিল, তারা যাদের ফোন ছিল ব্যাগে।
এর থেকেই উত্তর খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, স্মার্টফোনটি চোখের সামনে থাকলেই কাজের ক্ষতি হয়। এবং একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয় মানুষের ব্রেনও। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে, ‘কগনিটিভ ক্যাপাসিটি’ কমে যাওয়া। এক্ষেত্রে যেমন হয়েছে সেই সব অংশগ্রহণকারীদের, যাদের মাবাইলটি পাশেই ছিল। অর্থাৎ, অংশগ্রহণকারী চেষ্টা করছে নিজের কাজে মনোনিবেশ করতে এবং একই সঙ্গে চেষ্টা করছে মোবাইলের দিকে আকর্ষিত না হতে। মোবাইলে কোন মেসেজ বা কল আসছে কিনা, তা নিয়ে ভাবনা অংশগ্রহণকারীর অবচেতনে রয়েই যায়।

সূত্র: এবেলা।