নিউজ ডেস্ক:
সম্প্রতি সীমান্ত নিয়ে তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে আছে এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র ভারত-চীন। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উসকে চীন ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পাল্টা ভারতের অবস্থানও আরো কড়া। দুই দেশের সামরিক শক্তি নিয়ে চলছে তুল্যমূল্য আলোচনা।
কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র খবরে তুলে ধরা পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে- চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্সের কাছে মোট ২,৯৫৫ এয়ারক্রাফট রয়েছে। এর মধ্যে ১,২৭১টি ফাইটার এয়ারক্রাফট, ১,৩৮৫টি অ্যাটেক এয়ারক্রাফট, ৭৮২টি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট, ৩৫২টি ট্রেনার এয়ারক্রাফট, ২০৬টি অ্যাটেক হেলিকপ্টারসহ মোট ৯১২টি হেলিকপ্টার রয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের কাছে রয়েছে ৬৭৬টি ফাইটার এয়ারক্রাফট, ৮০৯টি অ্যাটেক এয়ারক্রাফট, ৮৫৭টি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট, ৩২৩টি ট্রেনার এয়ারক্রাফট, ১৬টি অ্যাটেক হেলিকপ্টারসহ ৬৬৬টি হেলিকপ্টার রয়েছে। এর মধ্যে যদি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে চীন ভারতের থেকে সব বিষয়েই এগিয়ে রয়েছে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি গ্রাউন্ড ফোর্সের কাছে রয়েছে ৬,৪৫৭টি যুদ্ধ ট্যাংক, ৪,৭৮৮টি সাঁজোয়াযুক্ত যুদ্ধযান, ১,৭১০টি স্বয়ংক্রিয় বাহন, ১,৭৭০টি রকেট প্রোজেক্টর। অন্যদিকে, ভারতের কাছে রয়েছে ৪,৪২৬টি যুদ্ধ ট্যাংক, ৬,৭০৪টি সাঁজোয়াযুক্ত যুদ্ধযান, ২৯০টি স্বয়ংক্রিয় বাহন এবং ২৯২টি রকেট প্রোজেক্টর। এক্ষেত্রেও চীন ভারতের থেকে এগিয়ে।
চীনের পিপলস্ লিবারেশন আর্মি নেভির (PLAN) কাছে একটি এয়ারক্রাফট কেরিয়ার, ৫১টি রণতরী, ১১টি ডেস্ট্রয়ার, ২৩টি যুদ্ধজাহাজ, ১৫ সাবমেরিন, ১৩৯টি পেট্রোল ক্রাফট এবং ৬টি মাইন ওয়ারফেয়ার শিপ। তবে এই এয়ারক্রাফটের বিষয়ে ভারত চীনের থেকে একটু এগিয়ে আছে।