বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

বাজেটে আশা দীর্ঘ, আশ্বাস সংক্ষিপ্ত : বিশ্বব্যাংক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আশা দীর্ঘ, কিন্তু আশ্বাস সংক্ষিপ্ত।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।

বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাজেটে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। এ লক্ষ্য পূরণে যে ধরনের সংস্কার বা পদক্ষেপ দরকার ছিল বাজেটে তা উল্লেখ করা হয়নি। অনেক লক্ষ্যমাত্রাই আশার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্তবতার সঙ্গে অনেক কিছুর মিল নেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিও ফান, ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ শেখ তানজিব ইসলাম, অ্যানালিস্ট সাবিহা সুবহা মোহনা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরিন এ মাহবুব প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ হোসেন বলেন, বাজেটে প্রবৃদ্ধি, সীমিত ঘাটতি, বৈদেশিক সহায়তা, রাজস্ব আদায়সহ যেসব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা হয়তো অর্জনের আশা করতেই পারি। কিন্ত এটা কীসের ভিত্তিতে হবে সেটা বাজেটে দেখছি না। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে যে ধরনের আর্থিক খাতসহ অন্যান্য সেক্টরে যেসব সংস্কারের প্রয়োজন ছিল তা দেখছি না। এজন্য এ বাজেটকে সংক্ষিপ্ত আশ্বাসের বাজেট বলছে বিশ্বব্যাংক।

জাহিদ হোসেন বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এসবের মধ্যে ব্যাংকিং সেক্টরে সুশাসন ও তদারকি বাড়াতে হবে। খেলাপি ঋণের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে হবে। বিদ্যুতের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।  সঞ্চয়পত্রে মাত্রাতিরিক্ত সুদ গুণতে হচ্ছে সরকারকে। এ অবস্থায় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সমন্বয় করতে হবে। মুদ্রা বিনিময় হারকে তার বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে দিতে হবে। একই সঙ্গে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন কোনো চমক নেই। সবকিছুই গতানুগতিক। রেমিট্যান্স খাতেও তেমন সুবাতাস নেই। এখন ১৪ শতাংশ নেতিবাক প্রভাব এ খাতে রয়েছে। বাজেট সংস্কারে স্বীকৃতি আছে, কিন্তু পদক্ষেপ নেই।

জাহিদ হোসেন বলেন, গত তিন বছর ধরে প্রথম পর্যায়ে এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতি ছিল। তবে পরবর্তী পর্যায়ে এটা দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চালে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ভাগ্যক্রমে তেলে লাভ হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ লোকসানে আছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় অনেক বেশি। এর প্রধান কারণ টেন্ডারিংয়ে প্রতিযোগিতা অনেক কম। তাই সরকারের উচিত ৮০ শতাংশ ই-টেন্ডারিং করা। এটা করতে পারলে টেন্ডারিংয়ে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন খরচ কমবে।

চালের দাম কমাতে সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সময়টা খুবই ক্রিটিক্যাল। চালের মজুত বাড়াতে হবে। চালের শুল্ক উঠে যাবে, এ টাইপের কথা বন্ধ করুন। দ্রুত বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিন।

তিনি বলেন, চালের মজুত কমে গেছে। এটার জন্য বাকিতে চাল আমদানি করার যে সুযোগ বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে, তা সময় উপযোগী। কেননা, আমদানির মাধ্যমে মজুত বাড়ালে ভালো হয়। যদি অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মজুত বাড়াতে হয়, তাহলে বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষকদের চাল-ধানের দাম দিতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

বাজেটে আশা দীর্ঘ, আশ্বাস সংক্ষিপ্ত : বিশ্বব্যাংক !

আপডেট সময় : ০২:১৩:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আশা দীর্ঘ, কিন্তু আশ্বাস সংক্ষিপ্ত।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।

বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাজেটে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। এ লক্ষ্য পূরণে যে ধরনের সংস্কার বা পদক্ষেপ দরকার ছিল বাজেটে তা উল্লেখ করা হয়নি। অনেক লক্ষ্যমাত্রাই আশার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্তবতার সঙ্গে অনেক কিছুর মিল নেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিও ফান, ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ শেখ তানজিব ইসলাম, অ্যানালিস্ট সাবিহা সুবহা মোহনা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরিন এ মাহবুব প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ হোসেন বলেন, বাজেটে প্রবৃদ্ধি, সীমিত ঘাটতি, বৈদেশিক সহায়তা, রাজস্ব আদায়সহ যেসব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা হয়তো অর্জনের আশা করতেই পারি। কিন্ত এটা কীসের ভিত্তিতে হবে সেটা বাজেটে দেখছি না। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে যে ধরনের আর্থিক খাতসহ অন্যান্য সেক্টরে যেসব সংস্কারের প্রয়োজন ছিল তা দেখছি না। এজন্য এ বাজেটকে সংক্ষিপ্ত আশ্বাসের বাজেট বলছে বিশ্বব্যাংক।

জাহিদ হোসেন বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এসবের মধ্যে ব্যাংকিং সেক্টরে সুশাসন ও তদারকি বাড়াতে হবে। খেলাপি ঋণের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে হবে। বিদ্যুতের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।  সঞ্চয়পত্রে মাত্রাতিরিক্ত সুদ গুণতে হচ্ছে সরকারকে। এ অবস্থায় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সমন্বয় করতে হবে। মুদ্রা বিনিময় হারকে তার বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে দিতে হবে। একই সঙ্গে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন কোনো চমক নেই। সবকিছুই গতানুগতিক। রেমিট্যান্স খাতেও তেমন সুবাতাস নেই। এখন ১৪ শতাংশ নেতিবাক প্রভাব এ খাতে রয়েছে। বাজেট সংস্কারে স্বীকৃতি আছে, কিন্তু পদক্ষেপ নেই।

জাহিদ হোসেন বলেন, গত তিন বছর ধরে প্রথম পর্যায়ে এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতি ছিল। তবে পরবর্তী পর্যায়ে এটা দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চালে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ভাগ্যক্রমে তেলে লাভ হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ লোকসানে আছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় অনেক বেশি। এর প্রধান কারণ টেন্ডারিংয়ে প্রতিযোগিতা অনেক কম। তাই সরকারের উচিত ৮০ শতাংশ ই-টেন্ডারিং করা। এটা করতে পারলে টেন্ডারিংয়ে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন খরচ কমবে।

চালের দাম কমাতে সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সময়টা খুবই ক্রিটিক্যাল। চালের মজুত বাড়াতে হবে। চালের শুল্ক উঠে যাবে, এ টাইপের কথা বন্ধ করুন। দ্রুত বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিন।

তিনি বলেন, চালের মজুত কমে গেছে। এটার জন্য বাকিতে চাল আমদানি করার যে সুযোগ বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে, তা সময় উপযোগী। কেননা, আমদানির মাধ্যমে মজুত বাড়ালে ভালো হয়। যদি অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মজুত বাড়াতে হয়, তাহলে বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষকদের চাল-ধানের দাম দিতে হবে।