নিউজ ডেস্ক:
সারা বিশ্ব যখন জনসংখ্যা কমাতে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করছে, পাকিস্তান তখন হাঁটছে একেবারেই অন্য পথে। ৯৬টি সন্তানের বাবা পাকিস্তানের তিন নাগরিক। দীর্ঘ ১৯ বছর পরে পাকিস্তানের জনগণনা শুরু হয়েছে। সেখানেই ধরা পড়েছে এই ব্যাপারটি। পাকিস্তানে জনসংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে, এই তথ্য আগেই প্রকাশ পেয়েছিল। এই বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল সে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কিন্তু এ সব বিষয় থেকে উদাসীন এই তিন পাকিস্তানি বাবা। তাদের মধ্যে এক বাবা জানান, ‘আল্লাহ বলেছেন, তাই জন্ম দিয়েছি। ’
“মানবসভ্যতা সৃষ্টি করেছেন আল্লা৷জন্ম-মৃত্যু তাঁরই হাতে৷স্বাভাবিক নিয়মের বিরুদ্ধে আমার কোনও হাত নেই। ” অকুণ্ঠে একথা জানালেন ২৭ সন্তানের বাবা গুলজান খান। একইসঙ্গে খান সাহেবের বক্তব্য, পারিবারিক শক্তি বৃদ্ধির জন্যই একের পর এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। ৫৭ বছর বয়সী খানের মতে , “ক্রিকেট খেলার জন্য আমার সন্তানদের কোনও বন্ধুর প্রয়োজন নেই৷ তারা নিজেরাই খেলতে পারে। ”
তবে খানকে ২৭ সন্তানের বাবা বলাটা বোধহয় ঠিক হবে না। এর চেয়ে বরং ‘সাড়ে ২৭’ সন্তানের পিতা বলাই ভাল। কারণ লাজুক মুখে খানের তিন নম্বর স্ত্রী জানালেন তিনি সন্তান সম্ভাবনা। খুব শীঘ্রই ২৭ ভাই-বোনের দলে নতুন এক সদস্য আসতে চলেছে। খানের ভাই মস্তান খান ওয়াজিরও কিন্তু কিছু কম নয়। দাদার থেকে একটু দূরে রয়েছে সে। বর্তমানে ২২ সন্তানের বাবা সে। খুশীর খবর ওয়াজিরের দ্বিতীয় স্ত্রীও সন্তান সম্ভাবনা।
আর ৩৮টি সন্তানের বাবা জান মহম্মদ ১০০টি সন্তানের বাবা হতে চান। তিনি বলেন, ‘”বাবা হতে গেলে বয়স কোনও ব্যাপার নয়, ইচ্ছাশক্তিই আসল। আমি আরও মুসলিম সন্তানকে জন্ম দিতে চাই, মুসলিম জাতির কলেবর বাড়াতে চাই, যাতে শত্রুরা মুসলিম সম্প্রদায়কে ভয় পায়। মুসলিম সম্প্রদায়ের উচিত আরও বেশি করে সন্তানের জন্ম দেওয়া। ”