পাত্র ইঞ্জিনিয়ার। মোটা বেতন।
মাথার ওপর পাকা ছাদ। নিশ্চিন্ত আশ্রয়। মেয়ের জন্য আর কিই বা চাই! ভেবেছিলেন কাজলের বাবা-মা। কে জানত, সেই আশ্রয়ই মাত্র সাত দিনে, কোল থেকে কেড়ে নেবে আদরের মেয়েকে?
বিয়ের বয়স মোটে সাত দিন। এরই মধ্যে শেষ একটি জীবন। আরেকজন, গরাদের ওপারে। বাড়ি আগে ছিল একতলা। বিয়ের কথাবার্তা শুরুর পরই, নতুন করে সব ভেঙেচুরে দোতলা তোলা হয়। সবটাই লিংকনের টাকায়। IBM-এ কর্মরত M.Tech ইঞ্জিনিয়ার ছেলের মাস গেলে পকেটে ঢুকত মোটা টাকা মাইনে। তাতেই ঠাঁটবাট। বৌভাতেও কম ধুমধাম হয়নি।
সব ছিল। মাথার ওপর ছাদ, ভাল ইনকাম। কিন্তু এরপরও চাহিদার শেষ ছিল না। তাই তো, ইঞ্জিনিয়ার ছেলের দরকার পড়ে, শ্বশুরবাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা পণ। নিজের টাকায় নয়, বৌয়ের বাড়ির টাকায় কিনতে হয় গাড়ি। আর দিতে না চাইলে! মারধর, অত্যাচার!
তবে বিয়ের আগে থেকেই বাড়িতে অশান্তি চলত। বাবা-ছেলের মধ্যেও ছিল বিবাদ। বাবা নারায়ণ দাস একসময় বিদেশে চাকরি করতেন। কলকাতায় ফিরে আসার পর বাগুইআটিতে বাড়ির সামনেই ছোট স্টেশনারি দোকান খোলেন। অভিযোগ, বছরখানেক আগে সেই দোকান বন্ধ করিয়ে দেয় ছেলে।