জুলাই আন্দোলনে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদ আবু সাঈদ এর স্মরণে স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প, শহিদ আবু সাঈদ তোরণ, মিউজিয়াম ও শহিদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে এসব কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের ২ উপদেষ্টা। এর আগে সকালে শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শওকত আলীসহ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেইট থেকে শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি শোক র্যালি বের হয়ে মডার্ন মোড় প্রদক্ষিণ করে বেরোবির সাইদ গেইটে শেষ। এছাড়াও রংপুরের ২১ শহিদ পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টাগণ।
গত বছরের এদিনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে শহিদ হন বেরোবি ইংরেজি ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এরপর দেশব্যাপী আন্দোলন বেগবান হয়। একপর্যায়ে সেই আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ফলে ওই বছরের ৫ আগস্ট পতন ঘটে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের ১ম শাহাদতবার্ষিকী ও ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষ্যে দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জুলাই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিশ্বিবদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান-সহ অন্যান্য সরকারি, সামরিক কর্মকর্তারা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন , আমার কাছে মনে হয় আবু সাঈদ বিপ্লবের বীরশ্রেষ্ঠ। আমার কাছে মনে হয় আবু সাঈদের আদর্শটা ছিলো আমি সত্য ন্যায় আদর্শের পথে থাকব। হাজার হাজার অন্যায়কারী বেঁচে থাকার চেয়েও অনেক সম্মানের শ্রদ্ধার হলো আদর্শের পথে থেকে মরে যাওয়া৷ আবু সাঈদের বিচারকার্য শুরু হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের অন্তবর্তী সরকার আমলে হত্যার বিচার দেখে যাবেন।