আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে খুলনা-৬ (পাইকগাছা–কয়রা) আসনে নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জেলা সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করায় এলাকায় আলোচনা নতুন মোড় নিয়েছে। গতকাল রাজধানীর বাংলামটরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন খুলনা জেলা এনসিপির নেতৃবৃন্দ।
পাইকগাছা–কয়রার উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চনা, ঘূর্ণিঝড়–জোয়ারের ঝুঁকি, নদীভাঙন, কর্মসংস্থানের অভাব এবং স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকার অভাব নিয়ে বহুদিন ধরে মানুষের ক্ষোভ জমছে। এসব বিষয় তুলে ধরে মাঠে সক্রিয় থাকার কারণে তরুণদের মধ্যে বাপ্পির প্রতি আস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
মনোনয়ন সংগ্রহ শেষে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন,
আমার পাইকগাছা ও কয়রার মানুষ আর প্রতিশ্রুতির নামে প্রতারিত হতে চাই না। তারা বাস্তব পরিবর্তন চাই—যে পরিবর্তন মানুষের জীবনমান উন্নত করবে। এবার তারা এলাকার নিজের ভাই ও সন্তানকেই সংসদে দেখতে চায়।
তিনি আরও বলেন,
দল-মত-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ পরিবর্তনের রাজনীতিতে বিশ্বাস স্থাপন করেছে। দেশবাসীর দোয়া চাই—খুলনা-০৬ আসনটি শাপলা-কলির বিজয় এনে দিতে পারলে মানুষের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
এনসিপির জেলা নেতারা জানান, সততা, জনপ্রিয়তা এবং মাঠের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় বাপ্পি এ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছেন। তাদের দাবি, পাইকগাছা–কয়রার ভোটাররা এইবার নতুন নেতৃত্বকে সামনে এনে পরিবর্তনের বার্তা দিতে প্রস্তুত।
স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মতে, বাপ্পির প্রার্থীতা ঘোষণা ও মনোনয়ন সংগ্রহের মধ্য দিয়ে খুলনা-৬ আসনে তরুণ নেতৃত্বের উত্থান ও উন্নয়নকেন্দ্রিক রাজনীতির নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।




















































