সহকর্মীদের ‘টপলেস ভিডিও’ পাঠিয়ে বিপাকে এসপি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৪০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ চালাচালি এই সময়ে অনেকেই করে থাকেন।  আর তা করতে গিয়েই বেজায় বিপাকে পড়লেন ভারতের এক এসপি।  সহকর্মীদেরই পাঠিয়ে বসলেন টপলেস ভিডিও।  শেষমেশ বন্ধুর বাচ্চার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কোনোমতে রক্ষা পেলেন তিনি।

ঘটনাটি ভারতের মোহালির সাহিবজাদা অজিত সিং নগর বা এসএএস নগরের।  পরমিন্দর সিং ভন্ডল নামে ওই এসপি একটি ভিডিও পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।  তা খুলে তো চোখ কপালে সহকর্মীদের।  কেননা সে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক টপলেস নারী টেবিলের উপর নাচানাচি করছেন।  খোদ এসপি এই মেসেজ পাঠিয়েছেন দেখে সকলেই একটু অবাক হন।  কেননা সাইবার ক্রাইমের নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের আপত্তিকর ভিডিও পাঠানোও শাস্তিযোগ্য অপারাধ।

মুহূর্তেই অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পারেন এসপি।  ওই গ্রুপে পুলিশ অফিসারদের পাশাপাশি ছিলেন সাংবাদিকরাও।  এসপি এই ভিডিও পাঠানোর পরই অনেকে আপত্তি তোলেন।  তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্ধুর ছেলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেন ওই এসপি।  ক্ষমা চেয়ে জানান, তিনি নয়, ওই বাচ্চাটিই ভুল করে ভিডিওটি গ্রুপে পাঠিয়েছে।  কিন্তু বাচ্চা কেন এ ধরনের ভিডিও পাঠাবে, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

সহকর্মীদের একজন অবশ্য জানাচ্ছেন, ভুল মানুষমাত্রই করে থাকেন তাই ক্ষমা করে দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।  তবে এসপির ঠিকঠাকভাবে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত বলেই মনে করছেন অনেকে।  গ্রুপ অ্যাডমিন এক সাংবাদিক।  তিনি জানাচ্ছেন, উনি যখন ক্ষমা চেয়েই নিয়েছেন  তখন ব্যাপারটা এখানেই থেমে যাওয়া উচিত।  যদিও সাইবার অপরাধ রুখতে যে পুলিশের দ্বারস্থ হয় সাধারণ মানুষ, তাঁর হাতেই কীভাবে এ কাজ হল, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সহকর্মীদের ‘টপলেস ভিডিও’ পাঠিয়ে বিপাকে এসপি !

আপডেট সময় : ০২:০৭:৪০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ চালাচালি এই সময়ে অনেকেই করে থাকেন।  আর তা করতে গিয়েই বেজায় বিপাকে পড়লেন ভারতের এক এসপি।  সহকর্মীদেরই পাঠিয়ে বসলেন টপলেস ভিডিও।  শেষমেশ বন্ধুর বাচ্চার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কোনোমতে রক্ষা পেলেন তিনি।

ঘটনাটি ভারতের মোহালির সাহিবজাদা অজিত সিং নগর বা এসএএস নগরের।  পরমিন্দর সিং ভন্ডল নামে ওই এসপি একটি ভিডিও পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।  তা খুলে তো চোখ কপালে সহকর্মীদের।  কেননা সে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক টপলেস নারী টেবিলের উপর নাচানাচি করছেন।  খোদ এসপি এই মেসেজ পাঠিয়েছেন দেখে সকলেই একটু অবাক হন।  কেননা সাইবার ক্রাইমের নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের আপত্তিকর ভিডিও পাঠানোও শাস্তিযোগ্য অপারাধ।

মুহূর্তেই অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পারেন এসপি।  ওই গ্রুপে পুলিশ অফিসারদের পাশাপাশি ছিলেন সাংবাদিকরাও।  এসপি এই ভিডিও পাঠানোর পরই অনেকে আপত্তি তোলেন।  তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্ধুর ছেলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেন ওই এসপি।  ক্ষমা চেয়ে জানান, তিনি নয়, ওই বাচ্চাটিই ভুল করে ভিডিওটি গ্রুপে পাঠিয়েছে।  কিন্তু বাচ্চা কেন এ ধরনের ভিডিও পাঠাবে, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

সহকর্মীদের একজন অবশ্য জানাচ্ছেন, ভুল মানুষমাত্রই করে থাকেন তাই ক্ষমা করে দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।  তবে এসপির ঠিকঠাকভাবে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত বলেই মনে করছেন অনেকে।  গ্রুপ অ্যাডমিন এক সাংবাদিক।  তিনি জানাচ্ছেন, উনি যখন ক্ষমা চেয়েই নিয়েছেন  তখন ব্যাপারটা এখানেই থেমে যাওয়া উচিত।  যদিও সাইবার অপরাধ রুখতে যে পুলিশের দ্বারস্থ হয় সাধারণ মানুষ, তাঁর হাতেই কীভাবে এ কাজ হল, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।