মানুষ মরণশীল’ এই সত্যকে ধারণ করে পৃথিবীর নিয়মেই প্রতিটা মানুষকে মৃত্যুর হাত ধরে একদিন অনন্ত জীবনে চলে যেতে হয়। এই যে আমাদের পৃথিবীতে আসা এবং চলে যাওয়া, মাঝের এই সময়টা ব্যক্তির কর্মকান্ড পৃথিবীতে তাঁকে অনন্ত জীবন দান করে। ব্যক্তির ভালো কর্মকান্ড তাকে যেমনিভাবে সম্মানিত করে বাঁচিয়ে রাখে ঠিক তেমনিভাবে তার কু’কর্মের জন্যও তিনি অনন্তকাল বেঁচে থাকেন। ক্ষুদ্র এ জীবনে যে ক’জন ব্যক্তি পৃথিবীতে সৎকর্ম রেখে গেছেন তারা যুগযুগান্তর ধরে বেঁচে আছেন এবং অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন।
কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২৪১ টি গ্রামের সমাজ সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন,কচুয়ার কৃতি সন্তান,শিক্ষানুরাগী ও দানশীল ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম রনি। রফিকুল ইসলাম রনি একজন মানুষ যিনি শত বাধা ডিঙিয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা,সফল ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী এবং তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন সারথি।
তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে অনেক তরুণই হতে চান একজন সফল মানুষ, হতে চান মানবতার ফেরীওয়ালা। সামাজিক দায়বদ্ধতা তথা এলাকার সার্বিক উন্নয়নে রফিকুল ইসলাম রনির নিরলস প্রচেষ্টা যেন সাগরের স্রোতের মতই বহমান।
সাধারন মানুষের পাশে থাকার নিমিত্তে ইতোমধ্যেই তিনি স্ব-উদ্যোগে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ ও মাদ্রাসা, ঘর নির্মাণ,এতিমখানার জন্য পাকা ঘর,রাস্তার সংস্কারমূলক কাজ, অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য টিনশেডের ঘর নির্মাণ, আর্সেনিক মুক্ত নলকূপ স্থাপন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের কে বৃত্তি প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ,গুণীজনদেরকে সংবর্ধনা প্রদান,উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলো কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদেরকে উৎসাহিত করুন, বিভিন্ন এলাকায় মানুষের যাতায়াতের জন্য সাঁকো নির্মাণসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, শ্মশান সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষণে তার ভূমিকা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।
রফিকুল ইসলাম রনির উদ্যোগে নির্মাণাধীন রয়েছে এলাকার গরিব, দু:খী, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উদ্যোগে সাধ্যমত সহায়তা করে যাচ্ছেন নিয়মিত।
যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যেন রফিকুল ইসলাম রনির মানবিক চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কোনো রাজনৈতিক দলের পদ পদবী না থাকা স্বত্তেও ব্যক্তি উদ্যোগে সামর্থ্যে সবটুকু দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করায় পরিবার ও এলাকার সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গা করে নিয়েছেন পরোপকারী এই মানুষটি।
রফিকুল ইসলাম রনি জানান, সাধারন মানুষের পাশে থেকে সেবা করার মাঝে অন্যরকম এক আত্মতৃপ্তি রয়েছে । মানুষের পাশে থাকার মাঝে অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করে। ইনশাল্লাহ আমি যতদিন বেঁচে থাকবো কচুয়া অসহায় গরিব মানুষের পাশে থেকে সেবার পাশাপাশি কচুয়াকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে পরিচিত লাভ করার জন্য আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা নেই, আমার কষ্ট পরিশ্রম উপার্জন দিয়ে কচুয়া মানুষের জন্য সেবা করতে এসেছি। আমি সব সময় কচুয়া মানুষের জন্য সেবা করে যাবো।