শিরোনাম :
Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। Logo পাইকোশায় ধানের চাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিথ্যা মামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

কোটচাঁদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাটছেই না ডাক্তার সংকট, বিপাকে রোগীরা !

  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা বিরাজ করছে। জোড়াতালি দিয়ে চলছে সার্বিক চিকিৎসা কার্যক্রম। মূলত ডাক্তার সংকটই এখানকার প্রধান সমস্যা বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। যার ফলে সাধারন মানুষ ঠিকমত চিকিৎসা পাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে তাদের ছুটতে হচ্ছে বিকল্প পথে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ।

হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার আজিজুর রহমান জানান, বর্তমান ডাক্তার সংকট প্রধান সমস্যা। ৫০ শয্যার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ ২৭ টি পদের মধ্যে বর্তমান আছে ৬ জন। কনসালটেন্ট পদে একজনও নেই। মেডিকেল অফিসার ৬ জনের মধ্যে ৬ জনের মধ্যে ৪ জরুরী বিভাগে পাল্টাপাল্টি ডিউটি করে। বাকি ২ জনের মধ্যে ১ নিয়মিত আউটডোরে রোগী আউটডোরে প্রায় ৬ শতাধিক রোগী আসেন। ১/২ জন ডাক্তারের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে এসব রোগী দেখা সম্ভব হয় না। যার ফলে রোগীদের সমস্যা ও অভিযোগ থেকেই যায়।

তিনি জানান ৫০ শয্যা চালুর পর বর্তমানে টিএইচএ ডাক্তার মহিউদ্দীন আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নেন ওটি রুম চালু করার। কিন্তু কোন সার্জিক্যাল এনেস্থেসিস্ট না থাকায় টিএইচএ নিজেই এনেস্থেসিয়া এর কাজ করেন।

ডাক্তার বনি আমিন (মেডিক্যাল অফিসার) সার্জিক্যাল ডাক্তারের দায়িত্ব নেওয়ায় সপ্তাহে একদিন (মঙ্গলবার) নির্ধারিত সময়ে সিজারিয়ান ও এপেন্ডিস অপারেশন করা হয়। এছাড়া মেজর কোন অপারেশ করা যায় না। হাসপাতালে আগত রোগীদের অভিযোগ, এখানে ঠিকভাবে ডাক্তারের সাক্ষাত পাওয়া কষ্টকর। আউটডোরে ২/১ জন ডাক্তার যাই রোগী দেখেন তাতে দীর্ঘ লাইন ও সুষ্ঠুভাবে ডাক্তারের কাছে রোগের কথা জানানো সম্ভব হচ্ছে না। টিকিট কেটে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকে অনেকেই শেষ পযন্ত ফিরে যায়।

জরুরী বিভাগে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত কোন রোগী এলে ডাক্তার তাকে দেখার আগেই ওয়ার্ড বয় এবং উপস্থিত অন্যান্য কিছু ব্যাক্তি (কথিত ক্লিনিকের দালাল) বলে বসেন, এখানে হবে না, বাইরে নিয়ে যান। তারা ডাক্তারের দেখার সুযোগ পর্যন্ত দেয়না এবং কৌশলে ফুসলিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক

কোটচাঁদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাটছেই না ডাক্তার সংকট, বিপাকে রোগীরা !

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা বিরাজ করছে। জোড়াতালি দিয়ে চলছে সার্বিক চিকিৎসা কার্যক্রম। মূলত ডাক্তার সংকটই এখানকার প্রধান সমস্যা বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। যার ফলে সাধারন মানুষ ঠিকমত চিকিৎসা পাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে তাদের ছুটতে হচ্ছে বিকল্প পথে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ।

হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার আজিজুর রহমান জানান, বর্তমান ডাক্তার সংকট প্রধান সমস্যা। ৫০ শয্যার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ ২৭ টি পদের মধ্যে বর্তমান আছে ৬ জন। কনসালটেন্ট পদে একজনও নেই। মেডিকেল অফিসার ৬ জনের মধ্যে ৬ জনের মধ্যে ৪ জরুরী বিভাগে পাল্টাপাল্টি ডিউটি করে। বাকি ২ জনের মধ্যে ১ নিয়মিত আউটডোরে রোগী আউটডোরে প্রায় ৬ শতাধিক রোগী আসেন। ১/২ জন ডাক্তারের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে এসব রোগী দেখা সম্ভব হয় না। যার ফলে রোগীদের সমস্যা ও অভিযোগ থেকেই যায়।

তিনি জানান ৫০ শয্যা চালুর পর বর্তমানে টিএইচএ ডাক্তার মহিউদ্দীন আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নেন ওটি রুম চালু করার। কিন্তু কোন সার্জিক্যাল এনেস্থেসিস্ট না থাকায় টিএইচএ নিজেই এনেস্থেসিয়া এর কাজ করেন।

ডাক্তার বনি আমিন (মেডিক্যাল অফিসার) সার্জিক্যাল ডাক্তারের দায়িত্ব নেওয়ায় সপ্তাহে একদিন (মঙ্গলবার) নির্ধারিত সময়ে সিজারিয়ান ও এপেন্ডিস অপারেশন করা হয়। এছাড়া মেজর কোন অপারেশ করা যায় না। হাসপাতালে আগত রোগীদের অভিযোগ, এখানে ঠিকভাবে ডাক্তারের সাক্ষাত পাওয়া কষ্টকর। আউটডোরে ২/১ জন ডাক্তার যাই রোগী দেখেন তাতে দীর্ঘ লাইন ও সুষ্ঠুভাবে ডাক্তারের কাছে রোগের কথা জানানো সম্ভব হচ্ছে না। টিকিট কেটে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকে অনেকেই শেষ পযন্ত ফিরে যায়।

জরুরী বিভাগে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত কোন রোগী এলে ডাক্তার তাকে দেখার আগেই ওয়ার্ড বয় এবং উপস্থিত অন্যান্য কিছু ব্যাক্তি (কথিত ক্লিনিকের দালাল) বলে বসেন, এখানে হবে না, বাইরে নিয়ে যান। তারা ডাক্তারের দেখার সুযোগ পর্যন্ত দেয়না এবং কৌশলে ফুসলিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।