টাকার অভাবে কি সত্যি মারা যাবে শিশুটি ?

  • আপডেট সময় : ১২:৪১:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ফুটফুটে চেহারা, দেখে বোঝারই উপায় নেই আনিচুজ্জামান আইন জটিল রোগে আক্রান্ত। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ছয় মাস বয়সেই শিশুটির হৃদযন্ত্রে ছিদ্র ধরা পড়েছে। চিকিৎসক জানিয়ে দেন, দ্রুত অস্ত্রোপচার করা না হলে বড় ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু একে একে ছয় বছর পেরোলেও অস্ত্রোপচারের জন্য আড়াই লাখ টাকার জোগাড় করতে পারেননি আইনের দরিদ্র বাবা মো. কামারুজ্জামান।

আনিচুজ্জামান পরিবারের সবার সামনে ধীরে ধীরে শেষ পরিণতির দিকে এগোচ্ছে, যা দেখে গোপনে চোখের পানি ফেলছেন কামারুজ্জামানসহ পরিবারের সদস্যরা।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের কাষ্টসাগরা গ্রামে আনিচুজ্জামানের বসবাস। বাবা কামারুজ্জামান একটি পরিবহন কাউন্টারে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে পাঁচজনের সংসার। ৬ শতক জমির ওপর টিনশেড বাড়ি আর মাঠে ১৭ শতক জমি ছিল কামারুজ্জামানের। ছেলের চিকিৎসায় মাঠের জমি আগেই বিক্রি করতে হয়েছে; বাকি আছে বাড়িটি।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এ কে এম কামাল বলেন, শিশুটির দ্রুতই অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। যত সময় যাবে, ততই ঝুঁকি বাড়বে। বর্তমানে যে অবস্থা আছে, অস্ত্রোপচার করা হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব। এ জন্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা দরকার। বর্তমানে সাত বছর বয়সী আনিচুজ্জামান শুধু ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছে। অসুস্থ হওয়ায় বাড়িতেই সময় কাটে তার; স্কুলেও যেতে পারে না সে।

কালীচরণপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটির বাবা তাঁর কাছেও কয়েক দফা এসেছে। তিনি যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করেছেন। এমন ফুটফুটে একটা শিশু চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে, এমনটি হতে পারে না উল্লেখ করে মিজানুর সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

যোগাযোগ: ০১৭৩৬-৪৭৮৫০৬

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টাকার অভাবে কি সত্যি মারা যাবে শিশুটি ?

আপডেট সময় : ১২:৪১:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ফুটফুটে চেহারা, দেখে বোঝারই উপায় নেই আনিচুজ্জামান আইন জটিল রোগে আক্রান্ত। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ছয় মাস বয়সেই শিশুটির হৃদযন্ত্রে ছিদ্র ধরা পড়েছে। চিকিৎসক জানিয়ে দেন, দ্রুত অস্ত্রোপচার করা না হলে বড় ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু একে একে ছয় বছর পেরোলেও অস্ত্রোপচারের জন্য আড়াই লাখ টাকার জোগাড় করতে পারেননি আইনের দরিদ্র বাবা মো. কামারুজ্জামান।

আনিচুজ্জামান পরিবারের সবার সামনে ধীরে ধীরে শেষ পরিণতির দিকে এগোচ্ছে, যা দেখে গোপনে চোখের পানি ফেলছেন কামারুজ্জামানসহ পরিবারের সদস্যরা।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের কাষ্টসাগরা গ্রামে আনিচুজ্জামানের বসবাস। বাবা কামারুজ্জামান একটি পরিবহন কাউন্টারে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে পাঁচজনের সংসার। ৬ শতক জমির ওপর টিনশেড বাড়ি আর মাঠে ১৭ শতক জমি ছিল কামারুজ্জামানের। ছেলের চিকিৎসায় মাঠের জমি আগেই বিক্রি করতে হয়েছে; বাকি আছে বাড়িটি।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এ কে এম কামাল বলেন, শিশুটির দ্রুতই অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। যত সময় যাবে, ততই ঝুঁকি বাড়বে। বর্তমানে যে অবস্থা আছে, অস্ত্রোপচার করা হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব। এ জন্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা দরকার। বর্তমানে সাত বছর বয়সী আনিচুজ্জামান শুধু ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছে। অসুস্থ হওয়ায় বাড়িতেই সময় কাটে তার; স্কুলেও যেতে পারে না সে।

কালীচরণপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটির বাবা তাঁর কাছেও কয়েক দফা এসেছে। তিনি যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করেছেন। এমন ফুটফুটে একটা শিশু চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে, এমনটি হতে পারে না উল্লেখ করে মিজানুর সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

যোগাযোগ: ০১৭৩৬-৪৭৮৫০৬