শিরোনাম :
Logo টেফনাফে অপার সম্ভাবনাময় সৌন্দর্য ও সীমান্ত বানিজ্য বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র Logo ছাত্রদলসহ অধিকাংশ সংগঠন ঢাবির হলে রাজনীতির পক্ষে, গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধের প্রস্তাব Logo ‘কাজ শেষ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই’, গাজা দখল পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহু Logo রিজার্ভ বেড়ে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলারে Logo যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ায় বিদেশ থেকে ফোনে তালাক Logo জাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ১৬ আগস্টের মধ্যে অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ Logo চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা স্ক্র্যাপের কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় বস্তু শনাক্ত Logo দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল Logo কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সেকেন্ড এ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ জারি Logo অগ্নিকাণ্ডের পর পুনরায় খুলে দেওয়া হল স্পেনের ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল

অগ্নিকাণ্ডের পর পুনরায় খুলে দেওয়া হল স্পেনের ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:৩৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫
  • ৭১০ বার পড়া হয়েছে

অগ্নিকাণ্ডের পর শনিবার সর্বসাধারণের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে স্পেনের কর্ডোভায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল। এই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটিতে শুক্রবার রাতে লাগা আগুনে যতসামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরীর মেয়র।

কর্দোভা থেকে এএফপি এ সংবাদ জানায়।

স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এর ধোঁয়া ও শিখা নির্গত হতে দেখা যায়। প্রায় ২ মিলিয়ন দর্শনার্থী প্রতি বছর এই ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শনটি পরিদর্শন করেন।

মেয়র হোসে মারিয়া বেলিদো স্প্যানিশ পাবলিক টেলিভিশনের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, অগ্নিকাণ্ড পুরো মসজিদ ক্যাথেড্রাল ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি মূলত একটি চ্যাপেলে সীমাবদ্ধ ছিল। যেখানে ছাদটি আগুন ও পানি ঢালার কারণে সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে। পাশাপাশি দুটি চ্যাপেলে ধোঁয়ার কারণে অলংকৃত বেদি ও শিল্পকর্মে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান প্রায় ৫০-৬০ বর্গমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শনিবার ঘটনাস্থলে এএফপি’র এক আলোকচিত্রী জানান, ভবনটি দেখার জন্য যখন মানুষ জড়ো হচ্ছিল, তখন একাধিক অগ্নিনির্বাপক যান ও পুলিশ ভবনের পাশের সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল।

‘আলমানজর নেভ’ নামে পরিচিত অংশটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কোমর উচ্চতার ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল।

কর্দোভার দমকল বিভাগের প্রধান ড্যানিয়েল মুনিওজ জানান, ধমকলকর্মীদের তৎপরতায় এমন বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভভ হয়েছে। আগুন নেভাতে ৩৫ জন দমকলকর্মী রাতভর কাজ করেন।

তিনি আরও জানান, ২০০১ সালে শেষবার অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ভবনটিতে প্রতিবছর অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যা এবার আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের সহায়তা করেছে। এই মহড়ার ফলে তারা ভবনের সব প্রবেশদ্বার, করিডোর এবং কোথায় তাদের পাইপ সংযুক্ত করতে হবে সবই তারা ভালোভাবে জানত।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি ও অন্যান্য পত্রিকা জানিয়েছে, ওই স্থাপনায় একটি যান্ত্রিক ঝাড়ু মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

৮ম থেকে ১০ম শতাব্দীর মধ্যে দক্ষিণ স্পেনের তখনকার মুসলিম শাসক উমায়্যাদ শাসক আবদ আর-রহমান এই স্থানটিতে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৩শ শতাব্দীতে ক্যাস্টিলের কিং ফেরদিনান্দ তৃতীয়ের অধীনে খ্রিস্টানরা স্পেন পুনরায় দখল করার পর এটি ক্যাথেড্রালে রূপান্তরিত হয় এবং পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে আর্কিটেকচারাল পরিবর্তন করা হয়।

১৯৮৪ সালে ইউনেস্কো এই ভবনটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেফনাফে অপার সম্ভাবনাময় সৌন্দর্য ও সীমান্ত বানিজ্য বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র

অগ্নিকাণ্ডের পর পুনরায় খুলে দেওয়া হল স্পেনের ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল

আপডেট সময় : ১০:৩২:৩৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫

অগ্নিকাণ্ডের পর শনিবার সর্বসাধারণের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে স্পেনের কর্ডোভায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল। এই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটিতে শুক্রবার রাতে লাগা আগুনে যতসামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরীর মেয়র।

কর্দোভা থেকে এএফপি এ সংবাদ জানায়।

স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এর ধোঁয়া ও শিখা নির্গত হতে দেখা যায়। প্রায় ২ মিলিয়ন দর্শনার্থী প্রতি বছর এই ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শনটি পরিদর্শন করেন।

মেয়র হোসে মারিয়া বেলিদো স্প্যানিশ পাবলিক টেলিভিশনের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, অগ্নিকাণ্ড পুরো মসজিদ ক্যাথেড্রাল ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি মূলত একটি চ্যাপেলে সীমাবদ্ধ ছিল। যেখানে ছাদটি আগুন ও পানি ঢালার কারণে সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে। পাশাপাশি দুটি চ্যাপেলে ধোঁয়ার কারণে অলংকৃত বেদি ও শিল্পকর্মে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান প্রায় ৫০-৬০ বর্গমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শনিবার ঘটনাস্থলে এএফপি’র এক আলোকচিত্রী জানান, ভবনটি দেখার জন্য যখন মানুষ জড়ো হচ্ছিল, তখন একাধিক অগ্নিনির্বাপক যান ও পুলিশ ভবনের পাশের সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল।

‘আলমানজর নেভ’ নামে পরিচিত অংশটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কোমর উচ্চতার ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল।

কর্দোভার দমকল বিভাগের প্রধান ড্যানিয়েল মুনিওজ জানান, ধমকলকর্মীদের তৎপরতায় এমন বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভভ হয়েছে। আগুন নেভাতে ৩৫ জন দমকলকর্মী রাতভর কাজ করেন।

তিনি আরও জানান, ২০০১ সালে শেষবার অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ভবনটিতে প্রতিবছর অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যা এবার আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের সহায়তা করেছে। এই মহড়ার ফলে তারা ভবনের সব প্রবেশদ্বার, করিডোর এবং কোথায় তাদের পাইপ সংযুক্ত করতে হবে সবই তারা ভালোভাবে জানত।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি ও অন্যান্য পত্রিকা জানিয়েছে, ওই স্থাপনায় একটি যান্ত্রিক ঝাড়ু মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

৮ম থেকে ১০ম শতাব্দীর মধ্যে দক্ষিণ স্পেনের তখনকার মুসলিম শাসক উমায়্যাদ শাসক আবদ আর-রহমান এই স্থানটিতে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৩শ শতাব্দীতে ক্যাস্টিলের কিং ফেরদিনান্দ তৃতীয়ের অধীনে খ্রিস্টানরা স্পেন পুনরায় দখল করার পর এটি ক্যাথেড্রালে রূপান্তরিত হয় এবং পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে আর্কিটেকচারাল পরিবর্তন করা হয়।

১৯৮৪ সালে ইউনেস্কো এই ভবনটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।