শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

অগ্নিকাণ্ডের পর পুনরায় খুলে দেওয়া হল স্পেনের ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:৩৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

অগ্নিকাণ্ডের পর শনিবার সর্বসাধারণের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে স্পেনের কর্ডোভায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল। এই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটিতে শুক্রবার রাতে লাগা আগুনে যতসামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরীর মেয়র।

কর্দোভা থেকে এএফপি এ সংবাদ জানায়।

স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এর ধোঁয়া ও শিখা নির্গত হতে দেখা যায়। প্রায় ২ মিলিয়ন দর্শনার্থী প্রতি বছর এই ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শনটি পরিদর্শন করেন।

মেয়র হোসে মারিয়া বেলিদো স্প্যানিশ পাবলিক টেলিভিশনের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, অগ্নিকাণ্ড পুরো মসজিদ ক্যাথেড্রাল ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি মূলত একটি চ্যাপেলে সীমাবদ্ধ ছিল। যেখানে ছাদটি আগুন ও পানি ঢালার কারণে সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে। পাশাপাশি দুটি চ্যাপেলে ধোঁয়ার কারণে অলংকৃত বেদি ও শিল্পকর্মে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান প্রায় ৫০-৬০ বর্গমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শনিবার ঘটনাস্থলে এএফপি’র এক আলোকচিত্রী জানান, ভবনটি দেখার জন্য যখন মানুষ জড়ো হচ্ছিল, তখন একাধিক অগ্নিনির্বাপক যান ও পুলিশ ভবনের পাশের সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল।

‘আলমানজর নেভ’ নামে পরিচিত অংশটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কোমর উচ্চতার ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল।

কর্দোভার দমকল বিভাগের প্রধান ড্যানিয়েল মুনিওজ জানান, ধমকলকর্মীদের তৎপরতায় এমন বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভভ হয়েছে। আগুন নেভাতে ৩৫ জন দমকলকর্মী রাতভর কাজ করেন।

তিনি আরও জানান, ২০০১ সালে শেষবার অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ভবনটিতে প্রতিবছর অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যা এবার আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের সহায়তা করেছে। এই মহড়ার ফলে তারা ভবনের সব প্রবেশদ্বার, করিডোর এবং কোথায় তাদের পাইপ সংযুক্ত করতে হবে সবই তারা ভালোভাবে জানত।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি ও অন্যান্য পত্রিকা জানিয়েছে, ওই স্থাপনায় একটি যান্ত্রিক ঝাড়ু মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

৮ম থেকে ১০ম শতাব্দীর মধ্যে দক্ষিণ স্পেনের তখনকার মুসলিম শাসক উমায়্যাদ শাসক আবদ আর-রহমান এই স্থানটিতে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৩শ শতাব্দীতে ক্যাস্টিলের কিং ফেরদিনান্দ তৃতীয়ের অধীনে খ্রিস্টানরা স্পেন পুনরায় দখল করার পর এটি ক্যাথেড্রালে রূপান্তরিত হয় এবং পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে আর্কিটেকচারাল পরিবর্তন করা হয়।

১৯৮৪ সালে ইউনেস্কো এই ভবনটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

অগ্নিকাণ্ডের পর পুনরায় খুলে দেওয়া হল স্পেনের ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল

আপডেট সময় : ১০:৩২:৩৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫

অগ্নিকাণ্ডের পর শনিবার সর্বসাধারণের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে স্পেনের কর্ডোভায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল। এই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটিতে শুক্রবার রাতে লাগা আগুনে যতসামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরীর মেয়র।

কর্দোভা থেকে এএফপি এ সংবাদ জানায়।

স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এর ধোঁয়া ও শিখা নির্গত হতে দেখা যায়। প্রায় ২ মিলিয়ন দর্শনার্থী প্রতি বছর এই ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শনটি পরিদর্শন করেন।

মেয়র হোসে মারিয়া বেলিদো স্প্যানিশ পাবলিক টেলিভিশনের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, অগ্নিকাণ্ড পুরো মসজিদ ক্যাথেড্রাল ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি মূলত একটি চ্যাপেলে সীমাবদ্ধ ছিল। যেখানে ছাদটি আগুন ও পানি ঢালার কারণে সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে। পাশাপাশি দুটি চ্যাপেলে ধোঁয়ার কারণে অলংকৃত বেদি ও শিল্পকর্মে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান প্রায় ৫০-৬০ বর্গমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শনিবার ঘটনাস্থলে এএফপি’র এক আলোকচিত্রী জানান, ভবনটি দেখার জন্য যখন মানুষ জড়ো হচ্ছিল, তখন একাধিক অগ্নিনির্বাপক যান ও পুলিশ ভবনের পাশের সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল।

‘আলমানজর নেভ’ নামে পরিচিত অংশটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কোমর উচ্চতার ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল।

কর্দোভার দমকল বিভাগের প্রধান ড্যানিয়েল মুনিওজ জানান, ধমকলকর্মীদের তৎপরতায় এমন বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভভ হয়েছে। আগুন নেভাতে ৩৫ জন দমকলকর্মী রাতভর কাজ করেন।

তিনি আরও জানান, ২০০১ সালে শেষবার অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ভবনটিতে প্রতিবছর অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যা এবার আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের সহায়তা করেছে। এই মহড়ার ফলে তারা ভবনের সব প্রবেশদ্বার, করিডোর এবং কোথায় তাদের পাইপ সংযুক্ত করতে হবে সবই তারা ভালোভাবে জানত।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি ও অন্যান্য পত্রিকা জানিয়েছে, ওই স্থাপনায় একটি যান্ত্রিক ঝাড়ু মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

৮ম থেকে ১০ম শতাব্দীর মধ্যে দক্ষিণ স্পেনের তখনকার মুসলিম শাসক উমায়্যাদ শাসক আবদ আর-রহমান এই স্থানটিতে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৩শ শতাব্দীতে ক্যাস্টিলের কিং ফেরদিনান্দ তৃতীয়ের অধীনে খ্রিস্টানরা স্পেন পুনরায় দখল করার পর এটি ক্যাথেড্রালে রূপান্তরিত হয় এবং পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে আর্কিটেকচারাল পরিবর্তন করা হয়।

১৯৮৪ সালে ইউনেস্কো এই ভবনটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।