নেপালে মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় পানির তোড়ে হিমালয়ের একটি পাহাড়ি উপত্যকায় চীনের সঙ্গে দেশটির সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১৮ জন মানুষ ভেসে গেছে।
দেশটির একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি একথা জানায়।
রাসুওয়া জেলার প্রধান কর্মকর্তা অর্জুন পাউডেল জানিয়েছেন, ভোটেকোশি নদীর বন্যায় এক জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আরও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আছড়ে পড়া পানির প্রাচীর নেপাল ও চীনের সংযোগকারী প্রধান সেতুগুলোর একটিকেও ভেঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিখোঁজদের মধ্যে ১১ নেপালি এবং ছয় জন চীনা নাগরিক রয়েছেন।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায়ই মারাত্মক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা গত বছর বলেছিল যে, ক্রমবর্ধমান তীব্র বন্যা ও খরা ভবিষ্যতের ‘দুর্দশার সংকেত’।
কাঠমান্ডু-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সমন্বিত পর্বত উন্নয়ন কেন্দ্র (আইসিআইএমওডি) জুন মাসে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, এই বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীগুলো দুর্যোগের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।
আইসিআইএমওডি বলেছে, ‘তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের মতো পানি-সৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।























































