শিরোনাম :
Logo আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।” Logo বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিতারা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা Logo যবিপ্রবিতে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় সাবেক চার ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়া’র ৮০ তম জন্মদিন পালিত Logo ইবিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন Logo শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতির সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo খালেদা জিয়ার জন্মদিনে উপলক্ষ্যে বেরোবিতে ছাত্রদলের দোয়া-মাহফিল Logo সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস

সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:১৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • ৭১৭ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তান চীন যৌথভাবে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছেএর সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বাংলাদেশওধারণা করা হচ্ছে সম্ভাব্য এই জোট দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে

কূটনৈতিক সূত্র মতে, ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে আলোচনাগুলো এখন অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। উভয় দেশই আঞ্চলিক সংযোগ ও ঐক্য বৃদ্ধির জন্য একটি নতুন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে বলে জানা গেছে।

চীনের কুনমিং শহরে গত ১৯ জুন অনুষ্ঠিত পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ছিল এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টারই অংশ। তিন দেশের সিনিয়র কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ভারতের নজর কেড়েছে বলে জানা গেছে।

এই নতুন উদ্যোগে প্রাক্তন সার্ক সদস্য দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যদিও ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে, কিন্তু তাদের স্বার্থের পার্থক্যের কারণে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশগুলো নতুন এই আঞ্চলিক জোটে যোগ দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

জোটের মূল লক্ষ্য হবে বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করা। যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়, তাহলে সার্ক কার্যত মৃত বলেই বিবেচিত হবে।

সার্ক দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতার কারণে অকার্যকর ছিল এবং শেষ সম্মেলনটি হয়েছিল প্রায় এক দশক আগে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে নির্ধারিত সম্মেলন ভারত বয়কট করলে সেটি বাতিল হয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশও ভারতের সঙ্গে একই অবস্থান নেয়।

সম্প্রতি সার্ক আরও এক ধাক্কা খায় যখন পেহেলগামে হামলার পর ভারত পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা বন্ধ করে দেয়।

বেশ কিছু মাস ধরেই পাকিস্তান ও চীন নতুন একটি আঞ্চলিক সংগঠন গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আসছে। তারা মনে করছে, একইমত দেশগুলোকে একত্রে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর জোট তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের স্বার্থের ভিন্নতা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) মতো অন্য আঞ্চলিক জোটেও সঠিকভাবে মিশে যেতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাম্প্রতিক দুটি ‘এসসিও’ সম্মেলনেই অংশ নেননি।

চীন ও রাশিয়ার উপস্থিতিতে ‘এসসিও’ প্রায়শই পশ্চিমা শক্তির বিকল্প একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হলেও ভারত ক্রমশ এজেন্ডার সঙ্গে একমত হতে পারছে না।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ও চীনের নেতৃত্বে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রচেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।”

সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও

আপডেট সময় : ০৭:০১:১৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

পাকিস্তান চীন যৌথভাবে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছেএর সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বাংলাদেশওধারণা করা হচ্ছে সম্ভাব্য এই জোট দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে

কূটনৈতিক সূত্র মতে, ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে আলোচনাগুলো এখন অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। উভয় দেশই আঞ্চলিক সংযোগ ও ঐক্য বৃদ্ধির জন্য একটি নতুন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে বলে জানা গেছে।

চীনের কুনমিং শহরে গত ১৯ জুন অনুষ্ঠিত পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ছিল এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টারই অংশ। তিন দেশের সিনিয়র কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ভারতের নজর কেড়েছে বলে জানা গেছে।

এই নতুন উদ্যোগে প্রাক্তন সার্ক সদস্য দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যদিও ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে, কিন্তু তাদের স্বার্থের পার্থক্যের কারণে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশগুলো নতুন এই আঞ্চলিক জোটে যোগ দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

জোটের মূল লক্ষ্য হবে বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করা। যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়, তাহলে সার্ক কার্যত মৃত বলেই বিবেচিত হবে।

সার্ক দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতার কারণে অকার্যকর ছিল এবং শেষ সম্মেলনটি হয়েছিল প্রায় এক দশক আগে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে নির্ধারিত সম্মেলন ভারত বয়কট করলে সেটি বাতিল হয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশও ভারতের সঙ্গে একই অবস্থান নেয়।

সম্প্রতি সার্ক আরও এক ধাক্কা খায় যখন পেহেলগামে হামলার পর ভারত পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা বন্ধ করে দেয়।

বেশ কিছু মাস ধরেই পাকিস্তান ও চীন নতুন একটি আঞ্চলিক সংগঠন গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আসছে। তারা মনে করছে, একইমত দেশগুলোকে একত্রে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর জোট তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের স্বার্থের ভিন্নতা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) মতো অন্য আঞ্চলিক জোটেও সঠিকভাবে মিশে যেতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাম্প্রতিক দুটি ‘এসসিও’ সম্মেলনেই অংশ নেননি।

চীন ও রাশিয়ার উপস্থিতিতে ‘এসসিও’ প্রায়শই পশ্চিমা শক্তির বিকল্প একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হলেও ভারত ক্রমশ এজেন্ডার সঙ্গে একমত হতে পারছে না।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ও চীনের নেতৃত্বে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রচেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।