শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। Logo ভাতগ্রামে ফ্রী রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হল Logo চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। Logo বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের বিরত রাখা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কয়রায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ৯ বছরের স্কুলছাত্রী আছিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু Logo জাতীয় পতাকা ও সংগীত অবমাননাকারি সুন্দরগঞ্জের মিরাজ আটক : মামলা দায়ের

মনের সাহস ও শক্তি বাড়াতে পড়বেন যে দোয়া

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকে অনেক দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি দোয়া হলো মানসিক জোর ও সাহস বৃদ্ধির দোয়া। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত জারির (রা.)-এর মানসিক অক্ষমতায় নবীজি (স.) তার জন্য দোয়া করেন। দোয়ার পর জারির (রা.) বড় একটি কাজে সক্ষমতার পরিচয় দেন।

দোয়াটি হলো اللهم ثبتني واجعلني هاديا مهديا উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি, ওয়াজআলনি হাদিয়াম মাহদিয়্যা’। অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে স্থির রাখুন, এবং আমাকে হেদায়াতপ্রাপ্ত ও হেদায়াতকারী বানিয়ে দিন।’

হজরত জারির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (স.) (তাকে) বলেছেন, তুমি কি জুল-খালাসাহকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করবে? সেটি ছিল একটি মূর্তি। লোকেরা এর পূজা করত। সেটিকে বলা হতো ইয়েমেনি কাবা।

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি অশ্বপৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে একটি থাবা মারলেন এবং দোয়াটি পড়লেন। তখন আমি আমারই গোত্র আহমাসের ৫০জন যোদ্ধাসহ বের হলাম।…তারপর আমি সেই মূর্তিটির কাছে গিয়ে সেটি জ্বালিয়ে ফেললাম।

এরপর আমি নবী (স.)-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রসুল, আল্লাহর কসম! আমি জুল-খালাসাহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পাঁচড়াযুক্ত উটের মতো করে আপনার কাছে এসেছি। তখন তিনি আহমাস গোত্র ও তার যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করলেন। (বুখারি ৬৩৩৩)

মনের সাহস বাড়াতে কিছু আমলও রয়েছে। যেমন- আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল থাকলে সাহস ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। হাসান বসরি (রহ) বলেন, ‘মালিকের ওপর বান্দার তাওয়াক্কুলের অর্থ, আল্লাহই তার নির্ভরতার স্থান—এ কথা সে মনে রাখবে।’ (জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম ৪৩৭)। তাওয়াক্কুলের সুফল নিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তলাক ৩)

এছাড়াও মনের ভয় দূর করতে এবং কষ্টকর দায়িত্ব সহজে পালন করতে ‘লা হাউলা ওয়ালা ক্বুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ (অর্থ: কোনো সামর্থ্য-শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া) এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর ১০০ বার ইয়া-মুহাইমিনু (হে রক্ষাকর্তা) পড়ার পরামর্শ দেন আলেমরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মনের সাহস ও শক্তি বাড়াতে পড়বেন যে দোয়া

আপডেট সময় : ০৩:১৬:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকে অনেক দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি দোয়া হলো মানসিক জোর ও সাহস বৃদ্ধির দোয়া। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত জারির (রা.)-এর মানসিক অক্ষমতায় নবীজি (স.) তার জন্য দোয়া করেন। দোয়ার পর জারির (রা.) বড় একটি কাজে সক্ষমতার পরিচয় দেন।

দোয়াটি হলো اللهم ثبتني واجعلني هاديا مهديا উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি, ওয়াজআলনি হাদিয়াম মাহদিয়্যা’। অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে স্থির রাখুন, এবং আমাকে হেদায়াতপ্রাপ্ত ও হেদায়াতকারী বানিয়ে দিন।’

হজরত জারির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (স.) (তাকে) বলেছেন, তুমি কি জুল-খালাসাহকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করবে? সেটি ছিল একটি মূর্তি। লোকেরা এর পূজা করত। সেটিকে বলা হতো ইয়েমেনি কাবা।

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি অশ্বপৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে একটি থাবা মারলেন এবং দোয়াটি পড়লেন। তখন আমি আমারই গোত্র আহমাসের ৫০জন যোদ্ধাসহ বের হলাম।…তারপর আমি সেই মূর্তিটির কাছে গিয়ে সেটি জ্বালিয়ে ফেললাম।

এরপর আমি নবী (স.)-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রসুল, আল্লাহর কসম! আমি জুল-খালাসাহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পাঁচড়াযুক্ত উটের মতো করে আপনার কাছে এসেছি। তখন তিনি আহমাস গোত্র ও তার যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করলেন। (বুখারি ৬৩৩৩)

মনের সাহস বাড়াতে কিছু আমলও রয়েছে। যেমন- আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল থাকলে সাহস ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। হাসান বসরি (রহ) বলেন, ‘মালিকের ওপর বান্দার তাওয়াক্কুলের অর্থ, আল্লাহই তার নির্ভরতার স্থান—এ কথা সে মনে রাখবে।’ (জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম ৪৩৭)। তাওয়াক্কুলের সুফল নিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তলাক ৩)

এছাড়াও মনের ভয় দূর করতে এবং কষ্টকর দায়িত্ব সহজে পালন করতে ‘লা হাউলা ওয়ালা ক্বুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ (অর্থ: কোনো সামর্থ্য-শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া) এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর ১০০ বার ইয়া-মুহাইমিনু (হে রক্ষাকর্তা) পড়ার পরামর্শ দেন আলেমরা।