শিরোনাম :
Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। Logo পাইকোশায় ধানের চাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিথ্যা মামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ Logo ইবিতে দুর্গাপূজার মধ্যে পরীক্ষা না নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি Logo চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo কয়রা হরিণের মাংস উদ্ধার Logo শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ইবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে নবগঠিত গভর্নিংবডি পরিচিতি ও মতবিনিময়ে ভরপুর ছিলো প্রাণের উচ্ছ্বাস

তথ্য কমিশন কার্যকর করতে অন্তর্বর্তী সরকার উদাসীন: তথ্য অধিকার ফোরাম

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই নেই তথ্য কমিশন। এর দায়ভার সরকারকে নিয়ে দ্রুত তথ্য কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে তথ্য কমিশনের কার্যকারিতা ও তথ্য অধিকার আইনের সংশোধনী নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তথ্য কমিশন কার্যকর নেই। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচন করে এটি কার্যকরের দাবি জানানো হয়েছে। তবে এতে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। একটি দেশে ছয় মাস ধরে কমিশন নেই, এটা বিব্রতকর। এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বর্তায়। তাদের এর জবাব দিতে হবে। একটা পর্যায়ে দলীয় ক‍্যাডার দিয়ে কমিশনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সরকার নিশ্চয়ই তা করবে না।

তথ্য কমিশনের নাম তথ্য কমিশন বাংলাদেশ করার প্রস্তাব করেছে তথ্য অধিকার ফোরাম। যত দ্রুত সম্ভব তথ্য সরবরাহ করতে আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে তারা।

এতে বলা হয়, আবেদনের ২০ দিনের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এটি বর্তমানে আছে ২০ কার্যদিবস। একাধিক কর্তৃপক্ষ হলে ৩০ দিনের মধ্যে তথ্য দিতে হবে। তথ্য প্রদানে অপারগ হলে ১০ দিনের মধ্যে তা জানাতে হবে। কমিশনে সংসদের দুজন প্রতিনিধি থাকেন, সংসদ কার্যকর না থাকলে এ দুজন প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য আইনে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রধান তথ্য কমিশনার বা কমিশনারের পদ শূন্য হলে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে হবে। বর্তমানে তথ্য প্রদানে আপিল কর্মকর্তার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া বিষয়টি আইনে নির্দিষ্ট করা নেই। তাই এটি সংশোধন করে উপধারা ২৪ (৩)–এর অধীন তথ্য প্রদানে নির্দেশিত হলে উপধারা (১) ও (২)–এর ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে এবং উপধারা (৪)–এর ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া তথ্য প্রদানে প্রতিবন্ধকতার দায়ে জরিমানা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক

তথ্য কমিশন কার্যকর করতে অন্তর্বর্তী সরকার উদাসীন: তথ্য অধিকার ফোরাম

আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই নেই তথ্য কমিশন। এর দায়ভার সরকারকে নিয়ে দ্রুত তথ্য কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে তথ্য কমিশনের কার্যকারিতা ও তথ্য অধিকার আইনের সংশোধনী নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তথ্য কমিশন কার্যকর নেই। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচন করে এটি কার্যকরের দাবি জানানো হয়েছে। তবে এতে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। একটি দেশে ছয় মাস ধরে কমিশন নেই, এটা বিব্রতকর। এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বর্তায়। তাদের এর জবাব দিতে হবে। একটা পর্যায়ে দলীয় ক‍্যাডার দিয়ে কমিশনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সরকার নিশ্চয়ই তা করবে না।

তথ্য কমিশনের নাম তথ্য কমিশন বাংলাদেশ করার প্রস্তাব করেছে তথ্য অধিকার ফোরাম। যত দ্রুত সম্ভব তথ্য সরবরাহ করতে আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে তারা।

এতে বলা হয়, আবেদনের ২০ দিনের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এটি বর্তমানে আছে ২০ কার্যদিবস। একাধিক কর্তৃপক্ষ হলে ৩০ দিনের মধ্যে তথ্য দিতে হবে। তথ্য প্রদানে অপারগ হলে ১০ দিনের মধ্যে তা জানাতে হবে। কমিশনে সংসদের দুজন প্রতিনিধি থাকেন, সংসদ কার্যকর না থাকলে এ দুজন প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য আইনে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রধান তথ্য কমিশনার বা কমিশনারের পদ শূন্য হলে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে হবে। বর্তমানে তথ্য প্রদানে আপিল কর্মকর্তার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া বিষয়টি আইনে নির্দিষ্ট করা নেই। তাই এটি সংশোধন করে উপধারা ২৪ (৩)–এর অধীন তথ্য প্রদানে নির্দেশিত হলে উপধারা (১) ও (২)–এর ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে এবং উপধারা (৪)–এর ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া তথ্য প্রদানে প্রতিবন্ধকতার দায়ে জরিমানা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।