শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা জাসাসের মানববন্ধন ফ্যাসিবাদের উত্থান আর এই বাংলার মাটিতে হবেনা ………শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo সিনিয়র আরসিওয়াই ফোরাম চাঁদপুর ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo সাজিদের মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল ইবি, শিক্ষার্থীদের তদন্ত ও নিরাপত্তার দাবি Logo সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo সড়ক দুর্ঘটনায় খুলনার জামায়াত নেতা নিহত Logo আজ গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে কারফিউ Logo জামায়াতের সমাবেশের জন্য প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা Logo কচুয়া প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo বরেন্দ্র জাদুঘর–ইংল্যান্ডের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা, প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু Logo নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মিলনমেলা

তথ্য কমিশন কার্যকর করতে অন্তর্বর্তী সরকার উদাসীন: তথ্য অধিকার ফোরাম

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই নেই তথ্য কমিশন। এর দায়ভার সরকারকে নিয়ে দ্রুত তথ্য কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে তথ্য কমিশনের কার্যকারিতা ও তথ্য অধিকার আইনের সংশোধনী নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তথ্য কমিশন কার্যকর নেই। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচন করে এটি কার্যকরের দাবি জানানো হয়েছে। তবে এতে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। একটি দেশে ছয় মাস ধরে কমিশন নেই, এটা বিব্রতকর। এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বর্তায়। তাদের এর জবাব দিতে হবে। একটা পর্যায়ে দলীয় ক‍্যাডার দিয়ে কমিশনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সরকার নিশ্চয়ই তা করবে না।

তথ্য কমিশনের নাম তথ্য কমিশন বাংলাদেশ করার প্রস্তাব করেছে তথ্য অধিকার ফোরাম। যত দ্রুত সম্ভব তথ্য সরবরাহ করতে আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে তারা।

এতে বলা হয়, আবেদনের ২০ দিনের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এটি বর্তমানে আছে ২০ কার্যদিবস। একাধিক কর্তৃপক্ষ হলে ৩০ দিনের মধ্যে তথ্য দিতে হবে। তথ্য প্রদানে অপারগ হলে ১০ দিনের মধ্যে তা জানাতে হবে। কমিশনে সংসদের দুজন প্রতিনিধি থাকেন, সংসদ কার্যকর না থাকলে এ দুজন প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য আইনে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রধান তথ্য কমিশনার বা কমিশনারের পদ শূন্য হলে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে হবে। বর্তমানে তথ্য প্রদানে আপিল কর্মকর্তার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া বিষয়টি আইনে নির্দিষ্ট করা নেই। তাই এটি সংশোধন করে উপধারা ২৪ (৩)–এর অধীন তথ্য প্রদানে নির্দেশিত হলে উপধারা (১) ও (২)–এর ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে এবং উপধারা (৪)–এর ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া তথ্য প্রদানে প্রতিবন্ধকতার দায়ে জরিমানা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা জাসাসের মানববন্ধন ফ্যাসিবাদের উত্থান আর এই বাংলার মাটিতে হবেনা ………শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

তথ্য কমিশন কার্যকর করতে অন্তর্বর্তী সরকার উদাসীন: তথ্য অধিকার ফোরাম

আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই নেই তথ্য কমিশন। এর দায়ভার সরকারকে নিয়ে দ্রুত তথ্য কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে তথ্য কমিশনের কার্যকারিতা ও তথ্য অধিকার আইনের সংশোধনী নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তথ্য কমিশন কার্যকর নেই। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচন করে এটি কার্যকরের দাবি জানানো হয়েছে। তবে এতে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। একটি দেশে ছয় মাস ধরে কমিশন নেই, এটা বিব্রতকর। এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বর্তায়। তাদের এর জবাব দিতে হবে। একটা পর্যায়ে দলীয় ক‍্যাডার দিয়ে কমিশনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সরকার নিশ্চয়ই তা করবে না।

তথ্য কমিশনের নাম তথ্য কমিশন বাংলাদেশ করার প্রস্তাব করেছে তথ্য অধিকার ফোরাম। যত দ্রুত সম্ভব তথ্য সরবরাহ করতে আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে তারা।

এতে বলা হয়, আবেদনের ২০ দিনের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এটি বর্তমানে আছে ২০ কার্যদিবস। একাধিক কর্তৃপক্ষ হলে ৩০ দিনের মধ্যে তথ্য দিতে হবে। তথ্য প্রদানে অপারগ হলে ১০ দিনের মধ্যে তা জানাতে হবে। কমিশনে সংসদের দুজন প্রতিনিধি থাকেন, সংসদ কার্যকর না থাকলে এ দুজন প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য আইনে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রধান তথ্য কমিশনার বা কমিশনারের পদ শূন্য হলে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে হবে। বর্তমানে তথ্য প্রদানে আপিল কর্মকর্তার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া বিষয়টি আইনে নির্দিষ্ট করা নেই। তাই এটি সংশোধন করে উপধারা ২৪ (৩)–এর অধীন তথ্য প্রদানে নির্দেশিত হলে উপধারা (১) ও (২)–এর ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে এবং উপধারা (৪)–এর ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া তথ্য প্রদানে প্রতিবন্ধকতার দায়ে জরিমানা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।