শিরোনাম :
Logo আগস্টে ঢাকায় আসতে পারেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী Logo সরকারি নথিতে ভয়াবহ মারণাস্ত্র ব্যবহারের চিত্র Logo তেঁতুলিয়ায় সড়ক বিহীন স্থানে সেতু নির্মাণ, দুদকের অভিযান। Logo চুয়াডাঙ্গায় গণপূর্ত অফিসের গাছ কেটে ভাগবাটোয়ারা : চার কর্মচারীকে শোকজ Logo চুয়াডাঙ্গার ইসলামপাড়ায় যুবতীর মরদেহ উদ্ধার: রহস্য Logo জীবননগরে সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন বিএনপি নেতা Logo খুবির শিক্ষাক্রম ও মনোরম পরিবেশে আকৃষ্ট দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা Logo খুবির রিসার্চ এডভাইজারি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo শতভাগ আবাসন ও রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণার দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন Logo মহেশপুরের কুশাডাঙ্গা বটতলায় ‘ইত্যাদি’-এর ধারণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:০০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে
প্রায় ১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) একটি রিটের আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

পরে আইনজীবীরা বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সর্বোচ্চ আদালত আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ২৭তম বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনকে ৯০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে।

নিয়োগের আগে হঠাৎ মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিতদের আপিলের ওপর শুনানি (১৯ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়। আজ ছিল রায় ঘোষণার দিন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৮ জুন ২৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিপিএসসি। মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি। এই ফলাফলের ভিত্তিতে বিপিএসসি বিভিন্ন ক্যাডারে তিন হাজার ৫৬৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলার মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বিপিএসসি মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তিনটি রিট আবেদন করেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। রিটে প্রাথমিক শুনানির পর ২০০৭ সালের ২২ জুলাই হাইকোর্ট বিপিএসসির সিদ্ধান্তের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুল জারির সাত দিন পর অর্থাৎ ২৯ জুলাই থেকে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে বিপিএসসি। শেষ হয় ২০০৮ সালের ১৮ মে। এর দেড় মাস পর ৩ জুলাই হাইকোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেন। রায়ে প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলে বিপিএসসির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। এই রায়ের পর ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে বিপিএসসি।

এতে তিন হাজার ২৩৯ জন উত্তীর্ণ হন। কিন্তু প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক হাজার ১১৪ জন দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় আর উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সাতটি রিট আবেদন করেন অনুত্তীর্ণরা। ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন। চূড়ান্ত শুনানির পর ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর ও ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগস্টে ঢাকায় আসতে পারেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ

আপডেট সময় : ১১:৫২:০০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রায় ১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) একটি রিটের আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

পরে আইনজীবীরা বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সর্বোচ্চ আদালত আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ২৭তম বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনকে ৯০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে।

নিয়োগের আগে হঠাৎ মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিতদের আপিলের ওপর শুনানি (১৯ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়। আজ ছিল রায় ঘোষণার দিন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৮ জুন ২৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিপিএসসি। মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি। এই ফলাফলের ভিত্তিতে বিপিএসসি বিভিন্ন ক্যাডারে তিন হাজার ৫৬৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলার মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বিপিএসসি মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তিনটি রিট আবেদন করেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। রিটে প্রাথমিক শুনানির পর ২০০৭ সালের ২২ জুলাই হাইকোর্ট বিপিএসসির সিদ্ধান্তের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুল জারির সাত দিন পর অর্থাৎ ২৯ জুলাই থেকে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে বিপিএসসি। শেষ হয় ২০০৮ সালের ১৮ মে। এর দেড় মাস পর ৩ জুলাই হাইকোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেন। রায়ে প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলে বিপিএসসির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। এই রায়ের পর ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে বিপিএসসি।

এতে তিন হাজার ২৩৯ জন উত্তীর্ণ হন। কিন্তু প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক হাজার ১১৪ জন দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় আর উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সাতটি রিট আবেদন করেন অনুত্তীর্ণরা। ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন। চূড়ান্ত শুনানির পর ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর ও ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।