শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

ব্রণের সমস্যায় করণীয়

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৫২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে
মুখের অবাঞ্ছিত একটি সমস্যা ব্রণ। সুন্দর মুখশ্রীর ওপর ব্রণের প্রভাব বিরক্তির কারণ বটে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিলে ব্রণের সমস্যা এড়ানো যায়।

ব্রণ প্রথম দেখা দেয় বয়ঃসন্ধির সময়। ছেলেদের ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সে ও মেয়েদের ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে যে যে কানো বয়সেই তা হতে পারে। ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যেতে থাকে। তবে অনেকের ৩০-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থেকেই যায়। ব্রণ সাধারণত মুখে দেখা গেলেও পিঠে, ঘাড়ে ও বুকেও হতে পারে।

ত্বকে অনেক সিবাসিয়াস গ্রন্থি থাকে, যা থেকে সব সময় সিবাম নামক এক ধরনের তৈলাক্ত রস নিঃসৃত হয়। লোমকূপ দিয়ে এই সিবাম বের হয়ে ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে বিধায় ত্বকে নরম, মসৃণ ও তৈলাক্ত ভাব আসে। যদি কোনো কারণে সিবামের নিঃসরণ বৃদ্ধি ঘটে এবং লোমের গোড়ায় বিদ্যমান কেরটিন (এক ধরনের প্রোটিনজাতীয় পদার্থ) ধুলাবালির সঙ্গে মিশে সেখানকার ছিদ্রপথ বা নির্গমনের পথ বন্ধ করে দেয়, তখন সিবাম বের হতে না পেরে জমা হয়ে ব্রণ হিসেবে প্রকাশ পায়।

ব্রণ হওয়ার আরো কিছু কারণ হলো- টিনএজারদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকালে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য, মাসিক বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন, কসমেটিক, বিশেষ করে ঘন ঘন ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার বা কড়া মেকআপের প্রভাব, বেশি আবেগ, অত্যধিক গরম বা বেশি ঘর্মাক্ত হওয়া, তেলতেলে চুল ও মাথার খুশকি, মানসিক চাপ ও পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো বা হাতের ওপর মুখ রেখে ঘুমানো, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্টেরয়েড, খিঁচুনি বা মানসিক রোগের ওষুধ ইত্যাদির প্রভাব, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব ও নারীদের মাসিক ঋতুস্রাবের সঙ্গেও ব্রণের সম্পর্ক রয়েছে।

ধরন : ব্রণের নানা ধরন রয়েছে। ছোট ছোট গোল ফুসকুড়ি, লালচে ছোট ছোট গোটা, আবার পুঁজপূর্ণ বড় বড় চাকাও হতে পারে। ব্রণ টিপলে ভাতের দানার মতো বের হয়ে আসে। কিছু ব্রণ খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়। এতে ত্বকে ছিদ্রও দেখা দিতে পারে।

লেখক : চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল, গ্রিন রোড, ঢাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

ব্রণের সমস্যায় করণীয়

আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৫২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মুখের অবাঞ্ছিত একটি সমস্যা ব্রণ। সুন্দর মুখশ্রীর ওপর ব্রণের প্রভাব বিরক্তির কারণ বটে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিলে ব্রণের সমস্যা এড়ানো যায়।

ব্রণ প্রথম দেখা দেয় বয়ঃসন্ধির সময়। ছেলেদের ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সে ও মেয়েদের ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে যে যে কানো বয়সেই তা হতে পারে। ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যেতে থাকে। তবে অনেকের ৩০-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থেকেই যায়। ব্রণ সাধারণত মুখে দেখা গেলেও পিঠে, ঘাড়ে ও বুকেও হতে পারে।

ত্বকে অনেক সিবাসিয়াস গ্রন্থি থাকে, যা থেকে সব সময় সিবাম নামক এক ধরনের তৈলাক্ত রস নিঃসৃত হয়। লোমকূপ দিয়ে এই সিবাম বের হয়ে ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে বিধায় ত্বকে নরম, মসৃণ ও তৈলাক্ত ভাব আসে। যদি কোনো কারণে সিবামের নিঃসরণ বৃদ্ধি ঘটে এবং লোমের গোড়ায় বিদ্যমান কেরটিন (এক ধরনের প্রোটিনজাতীয় পদার্থ) ধুলাবালির সঙ্গে মিশে সেখানকার ছিদ্রপথ বা নির্গমনের পথ বন্ধ করে দেয়, তখন সিবাম বের হতে না পেরে জমা হয়ে ব্রণ হিসেবে প্রকাশ পায়।

ব্রণ হওয়ার আরো কিছু কারণ হলো- টিনএজারদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকালে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য, মাসিক বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন, কসমেটিক, বিশেষ করে ঘন ঘন ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার বা কড়া মেকআপের প্রভাব, বেশি আবেগ, অত্যধিক গরম বা বেশি ঘর্মাক্ত হওয়া, তেলতেলে চুল ও মাথার খুশকি, মানসিক চাপ ও পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো বা হাতের ওপর মুখ রেখে ঘুমানো, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্টেরয়েড, খিঁচুনি বা মানসিক রোগের ওষুধ ইত্যাদির প্রভাব, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব ও নারীদের মাসিক ঋতুস্রাবের সঙ্গেও ব্রণের সম্পর্ক রয়েছে।

ধরন : ব্রণের নানা ধরন রয়েছে। ছোট ছোট গোল ফুসকুড়ি, লালচে ছোট ছোট গোটা, আবার পুঁজপূর্ণ বড় বড় চাকাও হতে পারে। ব্রণ টিপলে ভাতের দানার মতো বের হয়ে আসে। কিছু ব্রণ খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়। এতে ত্বকে ছিদ্রও দেখা দিতে পারে।

লেখক : চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল, গ্রিন রোড, ঢাকা।