বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

ওজন কমাতে চাইলে যেসব অভ্যাস এড়িয়ে চলা জরুরি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:০৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • ৭৯৫ বার পড়া হয়েছে

বর্তমানে শরীরচর্চা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। বাড়তি মেদ ঝরাতে কেউ ট্রেডমিলে ঘাম ঝরাচ্ছেন, তো কেউ খাবারে কাটছাঁট করছেন ক্যালরি মেপে। তবে শুধুমাত্র ডায়েট বা ব্যায়ামই যথেষ্ট নয়, কিছু বিজ্ঞানসম্মত বিষয় ঠিকভাবে না মানলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য না রাখলে ওজন না কমার সম্ভাবনা বেশি।

চলুন, জেনে নিই।

মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া

সবার শরীরের বিপাকহার একরকম হয় না। জিনগত কারণ ছাড়াও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এছাড়া শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা, খুব কম খাওয়া বা পেশির ঘাটতি থাকলেও মেটাবলিজম কমে যেতে পারে, ফলে ওজন কমানো কঠিন হয়।

কম ঘুম

ওজন কমাতে ঘুমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, বিপাকক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং শরীর চর্বি জমাতে শুরু করে। প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

রাতের খাবারের পরপরই ঘুমানো

খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুয়ে পড়লে হজম ঠিকমতো হয় না।বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবার ও ঘুমের মাঝে অন্তত ২–৩ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা উচিত। না হলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

নির্দিষ্ট কিছু রোগ

কিছু শারীরিক সমস্যা ওজন কমাতে বাধা তৈরি করতে পারে। যেমন—থাইরয়েড সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, হরমোনের অসামঞ্জস্য, স্লিপ অ্যাপনিয়া কিংবা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ইত্যাদি। ওজন কমাতে গিয়ে এসব সমস্যার চিকিৎসা করাও জরুরি।

ওষুধের প্রভাব

কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ ওজন কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন—জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ, খিঁচুনি, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক স্বাস্থ্য বা ডায়াবেটিসের ওষুধ। দীর্ঘদিন এসব ওষুধ সেবনে শরীরে চর্বি জমার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

তাই ওজন কমাতে শুধু ব্যায়াম বা ডায়েট নয়, জীবনযাত্রার নানা দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি নির্ধারণ করাই সবচেয়ে সঠিক পথ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

ওজন কমাতে চাইলে যেসব অভ্যাস এড়িয়ে চলা জরুরি

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:০৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

বর্তমানে শরীরচর্চা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। বাড়তি মেদ ঝরাতে কেউ ট্রেডমিলে ঘাম ঝরাচ্ছেন, তো কেউ খাবারে কাটছাঁট করছেন ক্যালরি মেপে। তবে শুধুমাত্র ডায়েট বা ব্যায়ামই যথেষ্ট নয়, কিছু বিজ্ঞানসম্মত বিষয় ঠিকভাবে না মানলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য না রাখলে ওজন না কমার সম্ভাবনা বেশি।

চলুন, জেনে নিই।

মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া

সবার শরীরের বিপাকহার একরকম হয় না। জিনগত কারণ ছাড়াও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এছাড়া শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা, খুব কম খাওয়া বা পেশির ঘাটতি থাকলেও মেটাবলিজম কমে যেতে পারে, ফলে ওজন কমানো কঠিন হয়।

কম ঘুম

ওজন কমাতে ঘুমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, বিপাকক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং শরীর চর্বি জমাতে শুরু করে। প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

রাতের খাবারের পরপরই ঘুমানো

খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুয়ে পড়লে হজম ঠিকমতো হয় না।বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবার ও ঘুমের মাঝে অন্তত ২–৩ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা উচিত। না হলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

নির্দিষ্ট কিছু রোগ

কিছু শারীরিক সমস্যা ওজন কমাতে বাধা তৈরি করতে পারে। যেমন—থাইরয়েড সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, হরমোনের অসামঞ্জস্য, স্লিপ অ্যাপনিয়া কিংবা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ইত্যাদি। ওজন কমাতে গিয়ে এসব সমস্যার চিকিৎসা করাও জরুরি।

ওষুধের প্রভাব

কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ ওজন কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন—জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ, খিঁচুনি, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক স্বাস্থ্য বা ডায়াবেটিসের ওষুধ। দীর্ঘদিন এসব ওষুধ সেবনে শরীরে চর্বি জমার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

তাই ওজন কমাতে শুধু ব্যায়াম বা ডায়েট নয়, জীবনযাত্রার নানা দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি নির্ধারণ করাই সবচেয়ে সঠিক পথ।