শিরোনাম :
Logo হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপের ১৭তম আসর শুরু করবে বাংলাদেশ Logo ইবিতে শিক্ষার্থীকে হুমকির অভিযোগ, মানহানির পাল্টা অভিযোগ দায়ের সহ-সমন্বয়কের Logo কয়রায় যৌথ অভিযানে জব্দকৃত ৭০০ কেজি কাকড়া অবমুক্ত Logo চলচ্চিত্র নায়ক সংগ্রাম খান এবার “লস্কর” সিনেমায় Logo জাপানের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তিনটি ড্রোন শনাক্ত Logo মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে ছয় জন পুণ্যার্থী নিহত Logo বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪ জনের অবস্থা গুরুতর Logo পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটির আনন্দ মিছিল Logo আগামীকাল বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস Logo শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বীরগঞ্জে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

গাজা নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব আনছে আরব দেশগুলো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে ভূখণ্ডটি দখলের পরিকল্পনা করেছেন বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে। তার এ প্রস্তাব আরব দেশগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্রুত বিকল্প উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এ মাসেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতৃত্বে ফিলিস্তিন পুনর্গঠন তহবিল গঠনের মতো বিভিন্ন খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি হামাসকে পাশ কাটিয়ে একটি নতুন চুক্তির দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে পাঁচটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজার ফিলিস্তিনিদের জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসন করা হবে। তবে কায়রো ও আম্মান তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়াবে।

রয়টার্সের ১৫টি সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরব এ পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি হতাশ। কারণ, গাজা দখলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের শর্ত বাতিল হয়ে যাবে, যা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সৌদির কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে।

এ সংকটের সমাধানে মিসর একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। এর মূল বিষয়বস্তু হলো, হামাসকে বাদ দিয়ে গাজার শাসন পরিচালনার জন্য একটি জাতীয় ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন করা। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় গাজার পুনর্গঠন এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া।

এই প্রস্তাব রিয়াদে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিদের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি আরব সম্মেলনে এ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

এ সংকট সমাধানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। জর্ডানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি যে, আমরা বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি এবং সৌদি যুবরাজ এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে, তিনি বৈশ্বিক রাজনীতিতে সৌদি আরবের অবস্থান আরও সুসংহত করতে কাজ করছেন।

এদিকে, ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “এই মুহূর্তে একমাত্র পরিকল্পনা ট্রাম্পের। তবে তাদের যদি আরও ভালো বিকল্প থাকে, এখনই তা উপস্থাপন করা উচিত।”

আরব দেশগুলোর মুখপাত্ররা এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপের ১৭তম আসর শুরু করবে বাংলাদেশ

গাজা নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব আনছে আরব দেশগুলো

আপডেট সময় : ১০:১৬:৪২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে ভূখণ্ডটি দখলের পরিকল্পনা করেছেন বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে। তার এ প্রস্তাব আরব দেশগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্রুত বিকল্প উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এ মাসেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতৃত্বে ফিলিস্তিন পুনর্গঠন তহবিল গঠনের মতো বিভিন্ন খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি হামাসকে পাশ কাটিয়ে একটি নতুন চুক্তির দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে পাঁচটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজার ফিলিস্তিনিদের জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসন করা হবে। তবে কায়রো ও আম্মান তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়াবে।

রয়টার্সের ১৫টি সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরব এ পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি হতাশ। কারণ, গাজা দখলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের শর্ত বাতিল হয়ে যাবে, যা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সৌদির কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে।

এ সংকটের সমাধানে মিসর একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। এর মূল বিষয়বস্তু হলো, হামাসকে বাদ দিয়ে গাজার শাসন পরিচালনার জন্য একটি জাতীয় ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন করা। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় গাজার পুনর্গঠন এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া।

এই প্রস্তাব রিয়াদে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিদের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি আরব সম্মেলনে এ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

এ সংকট সমাধানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। জর্ডানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি যে, আমরা বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি এবং সৌদি যুবরাজ এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে, তিনি বৈশ্বিক রাজনীতিতে সৌদি আরবের অবস্থান আরও সুসংহত করতে কাজ করছেন।

এদিকে, ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “এই মুহূর্তে একমাত্র পরিকল্পনা ট্রাম্পের। তবে তাদের যদি আরও ভালো বিকল্প থাকে, এখনই তা উপস্থাপন করা উচিত।”

আরব দেশগুলোর মুখপাত্ররা এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।