ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে হুমকির অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে। তবে ওই অভিযোগকে ‘মিথ্যা অপপ্রচার’ দাবি করে মানহানির পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন গোলাম রব্বানী।
জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী বুরহান মিয়া হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
পাল্টা অভিযোগে রবিবার (২৭ জুলাই) সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী বুরহানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অপপ্রচার ও মানহানি’র অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদন দেন।
অভিযোগপত্রে রব্বানী বলেন, “বুরহান মিয়া আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এতে শুধু আমার ব্যক্তিগত সম্মানই ক্ষুণ্ন হয়নি, বরং হাজারো শহীদের আদর্শে গড়া সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কয়েকদিন আগে তাকে একটি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নিজের নাম ও নম্বর ব্যবহার করে কল দিয়েছিলাম। হুমকি দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে নিজ পরিচয় দিয়ে ফোন করার কথা নয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে আমার আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। তার অভিযোগপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে হেয় করা হয়েছে।”
অন্যদিকে, বুরহান মিয়ার অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই রাত ৮টা ৩ মিনিটে ০১৭৫১-৪৩৫৮১৮ নম্বর থেকে এক মিনিটের একটি ভয়েস কলের মাধ্যমে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ অনুসারে, কলদাতা পরিচয় গোপন রেখে বলেন—“তুমি ক্যাম্পাস থেকে সরাসরি পাশ করে বের হতে পারবা না। তুমি কোথায় থাকো, কার সঙ্গে থাকো (তোমার ভাবী ও দেড় বছরের ভাতিজা)—সব আমি জানি। সাবধানে থাকো, কখন কী হয় বলা যায় না।”
বুরহান অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত রব্বানী তাকে মিথ্যাভাবে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত বলেও অপপ্রচার চালিয়েছেন, যা তার ব্যক্তিগত সম্মান ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “আমরা উভয় পক্ষের অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টা যৌথভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”