শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি

জিজ্ঞাসা: লভ্যাংশ নির্ধারণ না করে ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

আমার নাম আবদুর রহমান সজল। বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায়। আমি পেশায় একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। আমি আলু, পেয়াজ, তরকারি ও ধানের মৌসুমে এগুলো ব্যবসা করি। ব্যবসার মৌসুমে আমার আত্মীয় স্বজনের অনেকেই আমাকে নগদ অর্থ দিয়ে বলেন, এটা তোমার ব্যবসায় বিনিয়োগ করো এবং আমাকে কিছু লভ্যাংশ দিয়ো। আমিও আমার লাভ অনুপাতে তাদেরকে অনির্দিষ্টভাবে কিছু লভ্যাংশ দেই। যেমন কোনো মাসে বেশি লাভ হলে আমি এক লাখে তিন থেকে চার হাজার টাকা দেই। আবার লাভ কম হলে এক হাজার থেকে ১৫শ টাকা দেই। এটা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। আমার জিজ্ঞাসা হলো, এভাবে অর্থ গ্রহণ ও লভ্যাংশ প্রদান করা কি জায়েজ?

ইসলামী শরিয়তের বিধান হলো, এক পক্ষের পুঁজি আর অন্যের শ্রম—যাকে মুদারাবা বলা হয় তার মূলনীতি হলো পুঁজিদাতা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের লভ্যাংশ শতকরা হারে নির্ধারিত হতে হবে। যেমন লাভের ৬০ শতাংশ পাবে বিনিয়োগকারী আর ৪০ শতাংশ পাবে ব্যবসায়ী। এর বিপরীতও হতে পারে এবং কম বেশি কোনো অংশ হতে পারে। যেহেতু প্রশ্নোক্ত চুক্তিতে শতকরা হার নির্ধারণ করা হয়নি; বরং লাভের কিছু অংশ দেওয়ার চুক্তি হয়েছে তাই এক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী আপনাদের মাঝে লাভ আধাআধি হারে ভাগ করতে হবে। অতএব আপনাকে লাভ হিসাবে যা দেওয়া হয়েছে তা যদি অর্জিত মুনাফার ৫০ শতাংশ হয় তবে তা নেওয়া বৈধ হয়েছে। আর যদি কম হয়ে থাকে তবে বাকি অংশ আপনি নিয়ে নিতে পারবেন। আর ৫০ শতাংশের বেশি দিয়ে থাকলে আপনার ফেরত দিতে হবে। উল্লেখ্য, এ ধরনের ব্যবসার পুরো হিসাব সংরক্ষণ করা জরুরি। যেন লভ্যাংশের বণ্টন যথাযথ হয়। (বাদায়িউস সানায়ে : ৫/১১১; আলবাহরুর রায়িক : ৭/২৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৪/২৮৫; রদ্দুল মুহতার : ৫/৬৪৮)

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া

জিজ্ঞাসা: লভ্যাংশ নির্ধারণ না করে ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করা

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আমার নাম আবদুর রহমান সজল। বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায়। আমি পেশায় একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। আমি আলু, পেয়াজ, তরকারি ও ধানের মৌসুমে এগুলো ব্যবসা করি। ব্যবসার মৌসুমে আমার আত্মীয় স্বজনের অনেকেই আমাকে নগদ অর্থ দিয়ে বলেন, এটা তোমার ব্যবসায় বিনিয়োগ করো এবং আমাকে কিছু লভ্যাংশ দিয়ো। আমিও আমার লাভ অনুপাতে তাদেরকে অনির্দিষ্টভাবে কিছু লভ্যাংশ দেই। যেমন কোনো মাসে বেশি লাভ হলে আমি এক লাখে তিন থেকে চার হাজার টাকা দেই। আবার লাভ কম হলে এক হাজার থেকে ১৫শ টাকা দেই। এটা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। আমার জিজ্ঞাসা হলো, এভাবে অর্থ গ্রহণ ও লভ্যাংশ প্রদান করা কি জায়েজ?

ইসলামী শরিয়তের বিধান হলো, এক পক্ষের পুঁজি আর অন্যের শ্রম—যাকে মুদারাবা বলা হয় তার মূলনীতি হলো পুঁজিদাতা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের লভ্যাংশ শতকরা হারে নির্ধারিত হতে হবে। যেমন লাভের ৬০ শতাংশ পাবে বিনিয়োগকারী আর ৪০ শতাংশ পাবে ব্যবসায়ী। এর বিপরীতও হতে পারে এবং কম বেশি কোনো অংশ হতে পারে। যেহেতু প্রশ্নোক্ত চুক্তিতে শতকরা হার নির্ধারণ করা হয়নি; বরং লাভের কিছু অংশ দেওয়ার চুক্তি হয়েছে তাই এক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী আপনাদের মাঝে লাভ আধাআধি হারে ভাগ করতে হবে। অতএব আপনাকে লাভ হিসাবে যা দেওয়া হয়েছে তা যদি অর্জিত মুনাফার ৫০ শতাংশ হয় তবে তা নেওয়া বৈধ হয়েছে। আর যদি কম হয়ে থাকে তবে বাকি অংশ আপনি নিয়ে নিতে পারবেন। আর ৫০ শতাংশের বেশি দিয়ে থাকলে আপনার ফেরত দিতে হবে। উল্লেখ্য, এ ধরনের ব্যবসার পুরো হিসাব সংরক্ষণ করা জরুরি। যেন লভ্যাংশের বণ্টন যথাযথ হয়। (বাদায়িউস সানায়ে : ৫/১১১; আলবাহরুর রায়িক : ৭/২৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৪/২৮৫; রদ্দুল মুহতার : ৫/৬৪৮)