শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

জিজ্ঞাসা: লভ্যাংশ নির্ধারণ না করে ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

আমার নাম আবদুর রহমান সজল। বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায়। আমি পেশায় একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। আমি আলু, পেয়াজ, তরকারি ও ধানের মৌসুমে এগুলো ব্যবসা করি। ব্যবসার মৌসুমে আমার আত্মীয় স্বজনের অনেকেই আমাকে নগদ অর্থ দিয়ে বলেন, এটা তোমার ব্যবসায় বিনিয়োগ করো এবং আমাকে কিছু লভ্যাংশ দিয়ো। আমিও আমার লাভ অনুপাতে তাদেরকে অনির্দিষ্টভাবে কিছু লভ্যাংশ দেই। যেমন কোনো মাসে বেশি লাভ হলে আমি এক লাখে তিন থেকে চার হাজার টাকা দেই। আবার লাভ কম হলে এক হাজার থেকে ১৫শ টাকা দেই। এটা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। আমার জিজ্ঞাসা হলো, এভাবে অর্থ গ্রহণ ও লভ্যাংশ প্রদান করা কি জায়েজ?

ইসলামী শরিয়তের বিধান হলো, এক পক্ষের পুঁজি আর অন্যের শ্রম—যাকে মুদারাবা বলা হয় তার মূলনীতি হলো পুঁজিদাতা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের লভ্যাংশ শতকরা হারে নির্ধারিত হতে হবে। যেমন লাভের ৬০ শতাংশ পাবে বিনিয়োগকারী আর ৪০ শতাংশ পাবে ব্যবসায়ী। এর বিপরীতও হতে পারে এবং কম বেশি কোনো অংশ হতে পারে। যেহেতু প্রশ্নোক্ত চুক্তিতে শতকরা হার নির্ধারণ করা হয়নি; বরং লাভের কিছু অংশ দেওয়ার চুক্তি হয়েছে তাই এক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী আপনাদের মাঝে লাভ আধাআধি হারে ভাগ করতে হবে। অতএব আপনাকে লাভ হিসাবে যা দেওয়া হয়েছে তা যদি অর্জিত মুনাফার ৫০ শতাংশ হয় তবে তা নেওয়া বৈধ হয়েছে। আর যদি কম হয়ে থাকে তবে বাকি অংশ আপনি নিয়ে নিতে পারবেন। আর ৫০ শতাংশের বেশি দিয়ে থাকলে আপনার ফেরত দিতে হবে। উল্লেখ্য, এ ধরনের ব্যবসার পুরো হিসাব সংরক্ষণ করা জরুরি। যেন লভ্যাংশের বণ্টন যথাযথ হয়। (বাদায়িউস সানায়ে : ৫/১১১; আলবাহরুর রায়িক : ৭/২৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৪/২৮৫; রদ্দুল মুহতার : ৫/৬৪৮)

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

জিজ্ঞাসা: লভ্যাংশ নির্ধারণ না করে ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করা

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আমার নাম আবদুর রহমান সজল। বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায়। আমি পেশায় একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। আমি আলু, পেয়াজ, তরকারি ও ধানের মৌসুমে এগুলো ব্যবসা করি। ব্যবসার মৌসুমে আমার আত্মীয় স্বজনের অনেকেই আমাকে নগদ অর্থ দিয়ে বলেন, এটা তোমার ব্যবসায় বিনিয়োগ করো এবং আমাকে কিছু লভ্যাংশ দিয়ো। আমিও আমার লাভ অনুপাতে তাদেরকে অনির্দিষ্টভাবে কিছু লভ্যাংশ দেই। যেমন কোনো মাসে বেশি লাভ হলে আমি এক লাখে তিন থেকে চার হাজার টাকা দেই। আবার লাভ কম হলে এক হাজার থেকে ১৫শ টাকা দেই। এটা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। আমার জিজ্ঞাসা হলো, এভাবে অর্থ গ্রহণ ও লভ্যাংশ প্রদান করা কি জায়েজ?

ইসলামী শরিয়তের বিধান হলো, এক পক্ষের পুঁজি আর অন্যের শ্রম—যাকে মুদারাবা বলা হয় তার মূলনীতি হলো পুঁজিদাতা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের লভ্যাংশ শতকরা হারে নির্ধারিত হতে হবে। যেমন লাভের ৬০ শতাংশ পাবে বিনিয়োগকারী আর ৪০ শতাংশ পাবে ব্যবসায়ী। এর বিপরীতও হতে পারে এবং কম বেশি কোনো অংশ হতে পারে। যেহেতু প্রশ্নোক্ত চুক্তিতে শতকরা হার নির্ধারণ করা হয়নি; বরং লাভের কিছু অংশ দেওয়ার চুক্তি হয়েছে তাই এক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী আপনাদের মাঝে লাভ আধাআধি হারে ভাগ করতে হবে। অতএব আপনাকে লাভ হিসাবে যা দেওয়া হয়েছে তা যদি অর্জিত মুনাফার ৫০ শতাংশ হয় তবে তা নেওয়া বৈধ হয়েছে। আর যদি কম হয়ে থাকে তবে বাকি অংশ আপনি নিয়ে নিতে পারবেন। আর ৫০ শতাংশের বেশি দিয়ে থাকলে আপনার ফেরত দিতে হবে। উল্লেখ্য, এ ধরনের ব্যবসার পুরো হিসাব সংরক্ষণ করা জরুরি। যেন লভ্যাংশের বণ্টন যথাযথ হয়। (বাদায়িউস সানায়ে : ৫/১১১; আলবাহরুর রায়িক : ৭/২৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৪/২৮৫; রদ্দুল মুহতার : ৫/৬৪৮)