শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তোপের মুখে ব্লিঙ্কেন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:০৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে শেষ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন। এ সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের তোপের মুখে পড়েন তিনি। তাকে প্রশ্নবাণে জরজরিত করা হয়। এ সময় সেখানে হট্টগোলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাকর্মীদের দুই সাংবাদিককে জোর করে ধরে ওই কক্ষের বাইরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধ ঘিরে নিজের কূটনৈতিক তৎপরতার পক্ষে কথা বলছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তাঁকে প্রশ্ন করতে গিয়ে একের পর এক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন সাংবাদিকেরা।

স্যাম হুসেইনি নামের একজন সাংবাদিক চিৎকার করে বলেন, ‘অপরাধী! আপনি কেন হেগে নেই।’ দীর্ঘদিন বহির্বিশ্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সমালোচক হিসেবে পরিচিত এই স্বাধীন সাংবাদিক মূলত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং কক্ষে অচেনা এই সাংঘর্ষিক দৃশ্যের সমাপ্তি ঘটে নিরাপত্তাকর্মীরা হুসেইনিকে ধরে নেওয়ার মধ্য দিয়ে। তাঁরা এই সাংবাদিককে জোর করে কক্ষের বাইরে নেওয়ার সময়ও তিনি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের উদ্দেশে অবমাননাকর নানা প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন।

কয়েক দশক ধরে চলে আসা ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতে সর্বশেষ এই রক্তপাত শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। তখন থেকে ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র সরবরাহ ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসার জন্য সমালোচিত হয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।

গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মিকে করে গাজায় নিয়ে আসে। এরপর থেকে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল, যাতে ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ম্যাক্স ব্লুমেনথাল নামের আরেক সাংবাদিক ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘মে মাসে যখন একটি চুক্তি হয়েছিল তখন কেন আপনি বোমা পাঠিয়ে গিয়েছিলেন?’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনামুখর সংবাদমাধ্যম গ্রেজোনের সম্পাদক ব্লুমেনথালকেও নিরাপত্তাকর্মীরা ওই কক্ষের বাইরে নিয়ে যান।

আগামী সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বিদায় নিতে চলা অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নিজের বক্তব্য শেষে সাংবাদকিদের প্রশ্ন করতে বলেন। সে সময় তিনি ছিলেন খুবই শান্ত। কিন্তু এরপর তাঁকে একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটনে বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের বিব্রতকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ব্লিঙ্কেনকে। এই যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা ভার্জিনিয়ায় তাঁর বাসার সামনে কয়েক মাস ধরে ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন। তাঁরা দফায় দফায় ব্লিঙ্কেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গাড়িতে রক্তের প্রতীক হিসেবে লাল রং ছুড়ে মারতেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তোপের মুখে ব্লিঙ্কেন

আপডেট সময় : ১১:৩০:০৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে শেষ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন। এ সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের তোপের মুখে পড়েন তিনি। তাকে প্রশ্নবাণে জরজরিত করা হয়। এ সময় সেখানে হট্টগোলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাকর্মীদের দুই সাংবাদিককে জোর করে ধরে ওই কক্ষের বাইরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধ ঘিরে নিজের কূটনৈতিক তৎপরতার পক্ষে কথা বলছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তাঁকে প্রশ্ন করতে গিয়ে একের পর এক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন সাংবাদিকেরা।

স্যাম হুসেইনি নামের একজন সাংবাদিক চিৎকার করে বলেন, ‘অপরাধী! আপনি কেন হেগে নেই।’ দীর্ঘদিন বহির্বিশ্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সমালোচক হিসেবে পরিচিত এই স্বাধীন সাংবাদিক মূলত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং কক্ষে অচেনা এই সাংঘর্ষিক দৃশ্যের সমাপ্তি ঘটে নিরাপত্তাকর্মীরা হুসেইনিকে ধরে নেওয়ার মধ্য দিয়ে। তাঁরা এই সাংবাদিককে জোর করে কক্ষের বাইরে নেওয়ার সময়ও তিনি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের উদ্দেশে অবমাননাকর নানা প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন।

কয়েক দশক ধরে চলে আসা ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতে সর্বশেষ এই রক্তপাত শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। তখন থেকে ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র সরবরাহ ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসার জন্য সমালোচিত হয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।

গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মিকে করে গাজায় নিয়ে আসে। এরপর থেকে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল, যাতে ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ম্যাক্স ব্লুমেনথাল নামের আরেক সাংবাদিক ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘মে মাসে যখন একটি চুক্তি হয়েছিল তখন কেন আপনি বোমা পাঠিয়ে গিয়েছিলেন?’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনামুখর সংবাদমাধ্যম গ্রেজোনের সম্পাদক ব্লুমেনথালকেও নিরাপত্তাকর্মীরা ওই কক্ষের বাইরে নিয়ে যান।

আগামী সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বিদায় নিতে চলা অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নিজের বক্তব্য শেষে সাংবাদকিদের প্রশ্ন করতে বলেন। সে সময় তিনি ছিলেন খুবই শান্ত। কিন্তু এরপর তাঁকে একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটনে বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের বিব্রতকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ব্লিঙ্কেনকে। এই যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা ভার্জিনিয়ায় তাঁর বাসার সামনে কয়েক মাস ধরে ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন। তাঁরা দফায় দফায় ব্লিঙ্কেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গাড়িতে রক্তের প্রতীক হিসেবে লাল রং ছুড়ে মারতেন।