বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি,রাবি:
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক সংহতি জানান।
আন্দোলনে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজিব বলেন, আমরা যে আন্দোলনে দাঁড়িয়েছি, এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, কিন্তু ঢাকা কেন্দ্রিক বৈষম্য আমাদের সেই স্বপ্নে বাধা সৃষ্টি করছে। ইউজিসি ও পিএসসিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রতিনিধি নেই। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও বৈষম্যমূলক। আগামী রোববারের মধ্যে ইউজিসিতে অন্তত ১ জন এবং পিএসসিতে অন্তত ২ জন প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এই দাবি পূরণ না হলে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন বলেন, আমরা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে চেয়েছি বাংলাদেশের সমস্ত বৈষম্য দূর হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে গবেষকদের তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। বিগত দিনগুলোর কথা চিন্তা করলে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য হয়েছে কিন্তু এইবার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৭-১৮ জন নিয়োগ পেলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হইনি।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজ পর্যন্ত একজনকেও ইউজিসি বা পিএসসিতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এটা কি বৈষম্য নয়? এই কারণেই কি আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি? এই বৈষম্যকে দূর করতে আমাদের ছাত্র-শিক্ষকরা আন্দোলন করবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না এই বৈষম্য দূর করা করা হবে আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা চায় দেশের সবখানে বৈষম্য মুক্ত হোক।
এসময় বিভিন্ন বিভাগের অসংখ্য শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন