শিরোনাম :
Logo শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টার সুস্থতা ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সভাপতির রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo লস্কর সিনেমার গানে জীবন ওয়াসিফ ও শেরপুরের কলি সাহা Logo সিরাজগঞ্জে এতিমদের জমি দখলে প্রভাবশালীদের টানাটানি Logo চাঁদপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo সাংবাদিক কবির হোসেন মিজি সম্পাদিত ছোট কাগজ জানালা’র মোড়ক উন্মোচন Logo একসময়ের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী সফিউল্লাহ এখন রিক্সা–সাইকেল মেকানিক Logo শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিল নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে: বদরুদ্দীন উমরের জবানবন্দি Logo ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব Logo ভোলার মুহাদ্দিস নোমানী হত্যার বিচারে ইবিতে মানববন্ধন Logo নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিনতাই, শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা

মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:১০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে সরকার।  এতে করে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে। পাশাপাশি বাড়বে  মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ। সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করে। অধ্যাদেশ দুটি হলো-মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।এ অধ্যাদেশের ফলে মোবাইল ফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিতে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে।

এত দিন মুঠোফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়বে।

শুল্ক-কর বৃদ্ধির তালিকায় আরও আছে ব্র্যান্ডের পোশাক, রেস্তোরার খাবার, টিস্যু, সিগারেট, বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, ফলের রস, যেকোনো ধরনের তাজা ফল, রং, ডিটারজেন্ট, পটেটো ফ্ল্যাকস, চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এ ছাড়া ভ্রমণ করও বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে, গত ১ জানুয়ারি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এনবিআরের প্রস্তাব পাস করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুল্ক-কর বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টার সুস্থতা ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সভাপতির রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ

আপডেট সময় : ১০:৫৬:১০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে সরকার।  এতে করে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে। পাশাপাশি বাড়বে  মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ। সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করে। অধ্যাদেশ দুটি হলো-মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।এ অধ্যাদেশের ফলে মোবাইল ফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিতে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে।

এত দিন মুঠোফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়বে।

শুল্ক-কর বৃদ্ধির তালিকায় আরও আছে ব্র্যান্ডের পোশাক, রেস্তোরার খাবার, টিস্যু, সিগারেট, বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, ফলের রস, যেকোনো ধরনের তাজা ফল, রং, ডিটারজেন্ট, পটেটো ফ্ল্যাকস, চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এ ছাড়া ভ্রমণ করও বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে, গত ১ জানুয়ারি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এনবিআরের প্রস্তাব পাস করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুল্ক-কর বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।