বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত

মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:১০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে সরকার।  এতে করে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে। পাশাপাশি বাড়বে  মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ। সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করে। অধ্যাদেশ দুটি হলো-মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।এ অধ্যাদেশের ফলে মোবাইল ফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিতে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে।

এত দিন মুঠোফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়বে।

শুল্ক-কর বৃদ্ধির তালিকায় আরও আছে ব্র্যান্ডের পোশাক, রেস্তোরার খাবার, টিস্যু, সিগারেট, বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, ফলের রস, যেকোনো ধরনের তাজা ফল, রং, ডিটারজেন্ট, পটেটো ফ্ল্যাকস, চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এ ছাড়া ভ্রমণ করও বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে, গত ১ জানুয়ারি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এনবিআরের প্রস্তাব পাস করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুল্ক-কর বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ

আপডেট সময় : ১০:৫৬:১০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে সরকার।  এতে করে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে। পাশাপাশি বাড়বে  মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ। সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করে। অধ্যাদেশ দুটি হলো-মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।এ অধ্যাদেশের ফলে মোবাইল ফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিতে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে।

এত দিন মুঠোফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়বে।

শুল্ক-কর বৃদ্ধির তালিকায় আরও আছে ব্র্যান্ডের পোশাক, রেস্তোরার খাবার, টিস্যু, সিগারেট, বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, ফলের রস, যেকোনো ধরনের তাজা ফল, রং, ডিটারজেন্ট, পটেটো ফ্ল্যাকস, চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এ ছাড়া ভ্রমণ করও বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে, গত ১ জানুয়ারি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এনবিআরের প্রস্তাব পাস করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুল্ক-কর বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।