শিরোনাম :
Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার

পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে প চলছে ওয়াশ ব্লক স্থাপন।

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

আল মাহমুদ দোলন (পঞ্চগড়)

পঞ্চগড়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চলছে ওয়াশ ব্লক স্থাপনের কাজ। এতে শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির পাশাপাশি নিশ্চিত হবে সুস্বাস্থ্য। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (পিইডিপি-৪) আওতায় ২০২৩ সালের মার্চ ও আগস্ট মাসে শুরু হওয়া ওয়াশ ব্লক নির্মাণ কাজ এখন চলছে পুরোদমে। ইতোমধ্যেই কিছু বিদ্যালয়ে পুরো কাজ শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে, বাকিগুলোও আগামী জানুয়ারী মাসে হস্তান্তরের লক্ষে পুরোদমে চলছে কাজ। যা এসব স্কুলে পড়া কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবাণুমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জেলার বোদা উপজেলার বামাকালী, ভাষাই নগর, কান্তমনি, ও চন্দনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মিত ওয়াশ ব্লকগুলো হস্তান্তরের পর শিক্ষার্থীদের মাঝে লক্ষ্য করা গেছে বাধভাঙা উচ্ছ্বাস।

বামাকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবন্তী রানী রায় বলেন, “আগে ভালো মানের ওয়াশরুম না থাকায় এবং সুপেয় পানির অভাবে অসুস্থ হতাম। এখন ওয়াশ ব্লক পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।” একই মন্তব্য করেন ছাত্র নাহিদ ইসলামও।

চন্দনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, “মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়াশ ব্লক অত্যন্ত উপকারী। শিশুসুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান বাড়াতে এটি সরকারের একটি বড় সাফল্যও বটে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নন্দন প্রেসের সত্বাধীকারী সফিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় পড়ুয়া কোমলমতি শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে সরকারের নেওয়া এ মহান উদ্যোগ বাস্তবায়নে শতভাগ গুনগতমান নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর থেকে সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও জানান, “৫ আগষ্টের পূর্ব ও পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এসব কাজে নিয়োজিত কিছু মিস্ত্রি ও কর্মী ঠিকমত যোগদান করতে না পারায় কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। তবে কাজ ঠিকমত শেষ করতে ইতোমধ্যেই নতুন মিস্ত্রি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৫০টি কাজের মধ্যে ২১টি ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করেছি। ১৯টি কাজ ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ আগামী জানুয়ারির মধ্যেই শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।”

পঞ্চগড় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, বিদ্যালয় গুলোতে শিশুদের জন্য ওয়াশব্লক বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজের অগ্রগতি ও মান পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু হস্তান্তরও করা হয়েছে, বাকিগুলোর কাজ জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন সম্ভব হবে বলে আশা করছি।” উল্ল্যেখ্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (পিইডিপি-৪) আওতায় ২০২৩ সালের মার্চ ও আগস্ট মাসে জেলার মোট ৪৮৭ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু করা হয় ওয়াশ ব্লক স্থাপনের কাজ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ৪১২টির কাজ, এবং আগামী বছরের শুরুতে বাকি ৭৫টির কাজ শেষে হস্তান্তর করা হবে। এবং এতে করে জেলার ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ও শিক্ষার মান বাড়াতে তা অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগস :

কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট

পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে প চলছে ওয়াশ ব্লক স্থাপন।

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আল মাহমুদ দোলন (পঞ্চগড়)

পঞ্চগড়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চলছে ওয়াশ ব্লক স্থাপনের কাজ। এতে শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির পাশাপাশি নিশ্চিত হবে সুস্বাস্থ্য। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (পিইডিপি-৪) আওতায় ২০২৩ সালের মার্চ ও আগস্ট মাসে শুরু হওয়া ওয়াশ ব্লক নির্মাণ কাজ এখন চলছে পুরোদমে। ইতোমধ্যেই কিছু বিদ্যালয়ে পুরো কাজ শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে, বাকিগুলোও আগামী জানুয়ারী মাসে হস্তান্তরের লক্ষে পুরোদমে চলছে কাজ। যা এসব স্কুলে পড়া কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবাণুমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জেলার বোদা উপজেলার বামাকালী, ভাষাই নগর, কান্তমনি, ও চন্দনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মিত ওয়াশ ব্লকগুলো হস্তান্তরের পর শিক্ষার্থীদের মাঝে লক্ষ্য করা গেছে বাধভাঙা উচ্ছ্বাস।

বামাকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবন্তী রানী রায় বলেন, “আগে ভালো মানের ওয়াশরুম না থাকায় এবং সুপেয় পানির অভাবে অসুস্থ হতাম। এখন ওয়াশ ব্লক পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।” একই মন্তব্য করেন ছাত্র নাহিদ ইসলামও।

চন্দনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, “মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়াশ ব্লক অত্যন্ত উপকারী। শিশুসুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান বাড়াতে এটি সরকারের একটি বড় সাফল্যও বটে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নন্দন প্রেসের সত্বাধীকারী সফিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় পড়ুয়া কোমলমতি শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে সরকারের নেওয়া এ মহান উদ্যোগ বাস্তবায়নে শতভাগ গুনগতমান নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর থেকে সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও জানান, “৫ আগষ্টের পূর্ব ও পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এসব কাজে নিয়োজিত কিছু মিস্ত্রি ও কর্মী ঠিকমত যোগদান করতে না পারায় কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। তবে কাজ ঠিকমত শেষ করতে ইতোমধ্যেই নতুন মিস্ত্রি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৫০টি কাজের মধ্যে ২১টি ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করেছি। ১৯টি কাজ ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ আগামী জানুয়ারির মধ্যেই শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।”

পঞ্চগড় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, বিদ্যালয় গুলোতে শিশুদের জন্য ওয়াশব্লক বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজের অগ্রগতি ও মান পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু হস্তান্তরও করা হয়েছে, বাকিগুলোর কাজ জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন সম্ভব হবে বলে আশা করছি।” উল্ল্যেখ্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (পিইডিপি-৪) আওতায় ২০২৩ সালের মার্চ ও আগস্ট মাসে জেলার মোট ৪৮৭ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু করা হয় ওয়াশ ব্লক স্থাপনের কাজ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ৪১২টির কাজ, এবং আগামী বছরের শুরুতে বাকি ৭৫টির কাজ শেষে হস্তান্তর করা হবে। এবং এতে করে জেলার ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ও শিক্ষার মান বাড়াতে তা অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।