শিরোনাম :
Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন

অনর্গল গালি দিতে পারা মেয়েদের গুণ!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:২২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮১৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কোন বয়েসে আপনি প্রথম গালাগালি দিয়েছিলেন মনে পড়ে? ছোট থেকেই আপনি নিশ্চয়ই শুনে আসছেন মুখে খারাপ কথা একদম আনা উচিত নয়। যারা গালাগালি দেয়, তারা খারাপ লোক। আর মেয়েরা গালাগাল দেবে? ওরে বাবা! ছেলেদের মুখ খারাপ করা যদিও বা চলতে পারে, মেয়েরা তো খারাপ কথা বলতেই পারবেন না। ছোট থেকেই আমরা এই সব শিখে এসেছি। গালাগালি বা খিস্তি যারা দেয় তারা অভদ্রের দলে পড়ে। এদের তিরস্কারই প্রাপ্য। এদের সঙ্গে মেলামেশা করাই উচিত নয়।

এই শিক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে দিলেন একদল গবেষক। ম্যাসাচুসেটস্ কলেজ অফ লিবারাল আর্টস্ এবং মারিস্ট কলেজের গবেষকরা বলছেন, যারা অনর্গল খিস্তি করতে পারে তারা অন্যদের থেকে অনেক স্মার্ট। তাদের শব্দভাণ্ডার অনেক বেশি। আর তারা কথাবার্তাতেও অনেক বেশি পারদর্শী।

বিজ্ঞানীরা কন্ট্রোলড ওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন টেস্টের মাধ্যমে একটি পরীক্ষা চালান। এই পরীক্ষার মাধ্যমে মূলত কার শব্দভাণ্ডার কত সমৃদ্ধ, তার পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার পরে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় এক মিনিটে যত পারে তত গালাগালি দিতে।

পরীক্ষার শেষে দেখা যায়, যারা সহজে খিস্তি দিতে পারছে তারা সাধারণ শব্দও জানে অনেক বেশি।

এই গবেষণা থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। এসব ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের থেকে অনেক এগিয়ে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যেসব মেয়েরা বেশি মুখ খারাপ করেছে, তারা ছেলেদের থেকে বেশি শব্দ জানে।

অধ্যাপক টনি ম্যাকনারির কথায়, পুরুষদের একরকম ভাষা আর মহিলাদের ভাষা আলাদা, এই ধারণাই ভুল। মেয়েরা একরকম ভাষা বলবে, ছেলেরা একরকম বলবে- এই ধারণাও ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ

অনর্গল গালি দিতে পারা মেয়েদের গুণ!

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:২২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

কোন বয়েসে আপনি প্রথম গালাগালি দিয়েছিলেন মনে পড়ে? ছোট থেকেই আপনি নিশ্চয়ই শুনে আসছেন মুখে খারাপ কথা একদম আনা উচিত নয়। যারা গালাগালি দেয়, তারা খারাপ লোক। আর মেয়েরা গালাগাল দেবে? ওরে বাবা! ছেলেদের মুখ খারাপ করা যদিও বা চলতে পারে, মেয়েরা তো খারাপ কথা বলতেই পারবেন না। ছোট থেকেই আমরা এই সব শিখে এসেছি। গালাগালি বা খিস্তি যারা দেয় তারা অভদ্রের দলে পড়ে। এদের তিরস্কারই প্রাপ্য। এদের সঙ্গে মেলামেশা করাই উচিত নয়।

এই শিক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে দিলেন একদল গবেষক। ম্যাসাচুসেটস্ কলেজ অফ লিবারাল আর্টস্ এবং মারিস্ট কলেজের গবেষকরা বলছেন, যারা অনর্গল খিস্তি করতে পারে তারা অন্যদের থেকে অনেক স্মার্ট। তাদের শব্দভাণ্ডার অনেক বেশি। আর তারা কথাবার্তাতেও অনেক বেশি পারদর্শী।

বিজ্ঞানীরা কন্ট্রোলড ওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন টেস্টের মাধ্যমে একটি পরীক্ষা চালান। এই পরীক্ষার মাধ্যমে মূলত কার শব্দভাণ্ডার কত সমৃদ্ধ, তার পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার পরে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় এক মিনিটে যত পারে তত গালাগালি দিতে।

পরীক্ষার শেষে দেখা যায়, যারা সহজে খিস্তি দিতে পারছে তারা সাধারণ শব্দও জানে অনেক বেশি।

এই গবেষণা থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। এসব ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের থেকে অনেক এগিয়ে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যেসব মেয়েরা বেশি মুখ খারাপ করেছে, তারা ছেলেদের থেকে বেশি শব্দ জানে।

অধ্যাপক টনি ম্যাকনারির কথায়, পুরুষদের একরকম ভাষা আর মহিলাদের ভাষা আলাদা, এই ধারণাই ভুল। মেয়েরা একরকম ভাষা বলবে, ছেলেরা একরকম বলবে- এই ধারণাও ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে।