শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

পাকিস্তানের সঙ্গে নৌপথে সংযোগ শুরু, করাচি থেকে প্রথমবার এলো জাহাজ।

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:০২:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক :

প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ পথে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হলো। সোমবার (১১ নভেম্বর) পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। জাহাজটি ছিল করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে নোঙর করা প্রথম কোনো জাহাজ।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, পানামার পতাকাবাহী জাহাজটির নাম উয়ান জিয়াং ফা ঝান। করাচি থেকে আসা এ জাহাজে ৩৭০ একক কনটেইনার পণ্য ছিল। বাংলাদেশে জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘করাচি থেকে সরাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে, যা ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ। এ যাত্রা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে তুলে ধরেছে।’

এর মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তিনি বলেন, ‘সরাসরি শিপিং রুটটির কারণে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলে আরো সমন্বিত ও বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ কেবল বিদ্যমান বাণিজ্য প্রবাহকে ত্বরান্বিত করবে না, একই সঙ্গে ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় রফতানিকারকদের উভয় দিকের ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।’

জাহাজটি দুবাই হয়ে আসার পথে একাধিক বন্দরে ভিড়েছিল উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে আসার আগে পাকিস্তানের করাচি বন্দরেও ভিড়েছিল জাহাজটি। মঙ্গলবার জাহাজটি (১২ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে সমুদ্রপথে নিয়মিত রুট নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ভিন্ন চ্যানেলে না এনে চাল, পেঁয়াজ, ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, এমনকি পোশাকের কাঁচামাল সরাসরি আনা গেলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ। আবার পাটসহ অনেক পণ্যের রফতানিও ত্বরান্বিত হবে। সেজন্য এই নতুন রুট স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। কেননা যে কোনো ধরনের সংকীর্ণতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সুবিধা পাওয়ার পথকেও সংকুচিত করে তোলে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

পাকিস্তানের সঙ্গে নৌপথে সংযোগ শুরু, করাচি থেকে প্রথমবার এলো জাহাজ।

আপডেট সময় : ০৩:০২:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক :

প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ পথে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হলো। সোমবার (১১ নভেম্বর) পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। জাহাজটি ছিল করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে নোঙর করা প্রথম কোনো জাহাজ।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, পানামার পতাকাবাহী জাহাজটির নাম উয়ান জিয়াং ফা ঝান। করাচি থেকে আসা এ জাহাজে ৩৭০ একক কনটেইনার পণ্য ছিল। বাংলাদেশে জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘করাচি থেকে সরাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে, যা ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ। এ যাত্রা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে তুলে ধরেছে।’

এর মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তিনি বলেন, ‘সরাসরি শিপিং রুটটির কারণে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলে আরো সমন্বিত ও বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ কেবল বিদ্যমান বাণিজ্য প্রবাহকে ত্বরান্বিত করবে না, একই সঙ্গে ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় রফতানিকারকদের উভয় দিকের ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।’

জাহাজটি দুবাই হয়ে আসার পথে একাধিক বন্দরে ভিড়েছিল উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে আসার আগে পাকিস্তানের করাচি বন্দরেও ভিড়েছিল জাহাজটি। মঙ্গলবার জাহাজটি (১২ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে সমুদ্রপথে নিয়মিত রুট নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ভিন্ন চ্যানেলে না এনে চাল, পেঁয়াজ, ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, এমনকি পোশাকের কাঁচামাল সরাসরি আনা গেলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ। আবার পাটসহ অনেক পণ্যের রফতানিও ত্বরান্বিত হবে। সেজন্য এই নতুন রুট স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। কেননা যে কোনো ধরনের সংকীর্ণতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সুবিধা পাওয়ার পথকেও সংকুচিত করে তোলে।