বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া

‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শহীদ আবু সাঈদের অবদান বাংলাদেশ ভুলবে না’

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:০০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা অধ্যাপক ইউনূসকে তাদের বাবা-মায়ের সালাম ও শুভকামনার বার্তা জানান।

সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূস যখন আবু সাঈদসহ অন্যান্য শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন, তখন তার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে রমজান আলী বলেন, ‘আপনি বিপ্লবে আবু সাঈদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছেন, এবং প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার একদিন পর রংপুরে আমাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমরা সম্মানিত বোধ করেছি।’

বুধবার, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে গার্ড স্যালুট দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই। রমজান আলী বলেন, ‘সৈন্যরা আমাদের গার্ড স্যালুট দিয়েছে, তখন যে অনুভূতি হয়েছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’

শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই বৈঠকে আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন এবং হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তারা শহীদ আবু সাঈদের নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা এবং গ্রামের জন্য একটি ‘মডেল মসজিদ’ ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার আশা প্রকাশ করেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে সহায়তা চাওয়ার কথা জানান তারা।

ছোট ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘ফাউন্ডেশনটি দরিদ্র ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সহায়তার জন্য কাজ করবে।’

অধ্যাপক ইউনূস শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশকে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ জাতির জন্য যা করেছেন তা বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না। তার আত্মত্যাগ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল।’

অধ্যাপক ইউনূস শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘তাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। আমি সবসময় তোমাদের সঙ্গে আছি। তোমাদের বাবা-মাকে আমার সালাম জানাবে।’

গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। অধ্যাপক ইউনূস ৯ আগস্ট রংপুরে গিয়ে আবু সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ

‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শহীদ আবু সাঈদের অবদান বাংলাদেশ ভুলবে না’

আপডেট সময় : ০৭:২২:০০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা অধ্যাপক ইউনূসকে তাদের বাবা-মায়ের সালাম ও শুভকামনার বার্তা জানান।

সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূস যখন আবু সাঈদসহ অন্যান্য শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন, তখন তার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে রমজান আলী বলেন, ‘আপনি বিপ্লবে আবু সাঈদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছেন, এবং প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার একদিন পর রংপুরে আমাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমরা সম্মানিত বোধ করেছি।’

বুধবার, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে গার্ড স্যালুট দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই। রমজান আলী বলেন, ‘সৈন্যরা আমাদের গার্ড স্যালুট দিয়েছে, তখন যে অনুভূতি হয়েছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’

শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই বৈঠকে আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন এবং হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তারা শহীদ আবু সাঈদের নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা এবং গ্রামের জন্য একটি ‘মডেল মসজিদ’ ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার আশা প্রকাশ করেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে সহায়তা চাওয়ার কথা জানান তারা।

ছোট ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘ফাউন্ডেশনটি দরিদ্র ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সহায়তার জন্য কাজ করবে।’

অধ্যাপক ইউনূস শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশকে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ জাতির জন্য যা করেছেন তা বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না। তার আত্মত্যাগ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল।’

অধ্যাপক ইউনূস শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘তাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। আমি সবসময় তোমাদের সঙ্গে আছি। তোমাদের বাবা-মাকে আমার সালাম জানাবে।’

গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। অধ্যাপক ইউনূস ৯ আগস্ট রংপুরে গিয়ে আবু সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন।