পাচার হওয়া অর্থ অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে আনবো: প্রধান উপদেষ্টা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:২৬:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

পাচার হয়ে যাওয়া টাকা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ দেখা করতে এলে প্রত্যাশার কথা জানান ড. ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চুরি করা টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়। আমরা অবশ্যই এটি করবো।’

ড. ইউনূসের সঙ্গে হেলেন লাফেভের বিদায়ী সাক্ষাৎ ছিল আজ। একজন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে লাফেভের দায়িত্ব পালন ও সেবার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।

এ সময় জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে হেলেন লাফেভ বলেন, ‘আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুব গর্বিত।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিকেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ ক্যাম্প থেকে উত্তর আমেরিকার দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করছে।

আলোচনায় বিচারিক সংস্কার, দক্ষিণ এশীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, স্বৈরচারী সরকার আমলে বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা, বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সংস্কার এবং শ্রম সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে।

লাফেভ জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে অর্থ উদ্ধার এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে।

তার সরকার ব্যাপক শ্রম সংস্কার করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পাচার হওয়া অর্থ অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে আনবো: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৭:২৬:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

পাচার হয়ে যাওয়া টাকা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ দেখা করতে এলে প্রত্যাশার কথা জানান ড. ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চুরি করা টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়। আমরা অবশ্যই এটি করবো।’

ড. ইউনূসের সঙ্গে হেলেন লাফেভের বিদায়ী সাক্ষাৎ ছিল আজ। একজন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে লাফেভের দায়িত্ব পালন ও সেবার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।

এ সময় জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে হেলেন লাফেভ বলেন, ‘আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুব গর্বিত।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিকেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ ক্যাম্প থেকে উত্তর আমেরিকার দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করছে।

আলোচনায় বিচারিক সংস্কার, দক্ষিণ এশীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, স্বৈরচারী সরকার আমলে বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা, বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সংস্কার এবং শ্রম সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে।

লাফেভ জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে অর্থ উদ্ধার এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে।

তার সরকার ব্যাপক শ্রম সংস্কার করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।