এবার সারদায় প্রশিক্ষণরত ৫৯ এসআইকে শোকজ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৫৯ ক্যাডেট উপপরিদর্শকের (এসআই) কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজড) দেয়া হয়েছে।

সোমবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় নতুন করে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ওই এসআইদের সবাই ৪০তম ক্যাডেট-২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত।

প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচই করার কারণে সম্প্রতি ওই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজের পর জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এবার প্রশিক্ষণ হলে শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসার কারণে ৫৯ জন এসআইকে শোকজ করা হয়েছে।

শুক্রবার পুলিশ একাডেমির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

একাডেমি সূত্র জানায়, সোমবার অক্টোবর ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় আরও ৪৯ জনকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) মো. তারেক বিন রশিদ কারণ দর্শানোর নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন।

বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণরত এক এসআইকে দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একাডেমির চেমনি মেমোরিয়াল হলে আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওপর প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের ক্লাস ছিল। প্রশিক্ষণ চলাকালে পরিদর্শক পদমর্যাদার চারজন প্রশিক্ষক দেখতে পান, সিটে বসার সময় ওই এসআই শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। একজন প্রশিক্ষক বারবার শৃঙ্খলার সঙ্গে বসতে বললেও তিনি নির্দেশ অমান্য ও কর্ণপাত না করে বসা নিয়ে হইচই করতে থাকেন।

নোটিশে আরও বলা হয়, পাঠদান চলাকালে এই এসআইয়ের ক্লাসে কোনো মনোযোগ ছিল না এবং পাশাপাশি বসে কথা বলছিলেন। এ জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই বিধি অনুযায়ী কেন তাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি দেয়া হবে না, তা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই এসআইকে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে সোমবার ১০ এসআইকে দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের একটি কপি পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, যেসব অভিযোগে বৃহস্পতিবার এসআইদের নোটিশ দেয়া হয়েছে, একই অভিযোগ ছিল সোমবারের চিঠিতেও। চিঠিতে বলা হয়, ১৬ অক্টোবর ওই একই সময়ে জিমনেসিয়ামে ‘এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং ইন অর্ডার টু ফেইস পলিটিক্যাল এইমড’ বিষয়ে ক্লাস ছিল। সেদিন বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে ছিলেন পুলিশ একাডেমির সাবেক অধ্যক্ষ মো. নজিবুর রহমান। সেদিন এই এসআই শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে এলোমেলোভাবে বসেন এবং হইচই করেন। তাকেও তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো কথা বলতে চাননি সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা। তিনি হেড কোয়াটারে এ বিষয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

এবার সারদায় প্রশিক্ষণরত ৫৯ এসআইকে শোকজ

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৫৯ ক্যাডেট উপপরিদর্শকের (এসআই) কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজড) দেয়া হয়েছে।

সোমবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় নতুন করে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ওই এসআইদের সবাই ৪০তম ক্যাডেট-২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত।

প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচই করার কারণে সম্প্রতি ওই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজের পর জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এবার প্রশিক্ষণ হলে শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসার কারণে ৫৯ জন এসআইকে শোকজ করা হয়েছে।

শুক্রবার পুলিশ একাডেমির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

একাডেমি সূত্র জানায়, সোমবার অক্টোবর ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় আরও ৪৯ জনকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) মো. তারেক বিন রশিদ কারণ দর্শানোর নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন।

বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণরত এক এসআইকে দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একাডেমির চেমনি মেমোরিয়াল হলে আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওপর প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের ক্লাস ছিল। প্রশিক্ষণ চলাকালে পরিদর্শক পদমর্যাদার চারজন প্রশিক্ষক দেখতে পান, সিটে বসার সময় ওই এসআই শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। একজন প্রশিক্ষক বারবার শৃঙ্খলার সঙ্গে বসতে বললেও তিনি নির্দেশ অমান্য ও কর্ণপাত না করে বসা নিয়ে হইচই করতে থাকেন।

নোটিশে আরও বলা হয়, পাঠদান চলাকালে এই এসআইয়ের ক্লাসে কোনো মনোযোগ ছিল না এবং পাশাপাশি বসে কথা বলছিলেন। এ জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই বিধি অনুযায়ী কেন তাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি দেয়া হবে না, তা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই এসআইকে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে সোমবার ১০ এসআইকে দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের একটি কপি পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, যেসব অভিযোগে বৃহস্পতিবার এসআইদের নোটিশ দেয়া হয়েছে, একই অভিযোগ ছিল সোমবারের চিঠিতেও। চিঠিতে বলা হয়, ১৬ অক্টোবর ওই একই সময়ে জিমনেসিয়ামে ‘এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং ইন অর্ডার টু ফেইস পলিটিক্যাল এইমড’ বিষয়ে ক্লাস ছিল। সেদিন বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে ছিলেন পুলিশ একাডেমির সাবেক অধ্যক্ষ মো. নজিবুর রহমান। সেদিন এই এসআই শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে এলোমেলোভাবে বসেন এবং হইচই করেন। তাকেও তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো কথা বলতে চাননি সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা। তিনি হেড কোয়াটারে এ বিষয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।