শিরোনাম :
Logo ১৬ জুলাই:নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাবিত হয় আন্দোলন Logo মিটফোর্ডে ব্যাবসায়ী হ’ত্যার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন মানববন্ধন সুসম্পন্ন Logo সাতক্ষীরায় সাবেক সচিব ও ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ঘের দখলের অভিযোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের বদলি Logo সিরাজদিখানে ঢাবির নবীন শিক্ষার্থীদের ঝিকুটের সংবর্ধনা ২৫ জুলাই Logo আজকের নামাজের সময়সূচি Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনা করতে চায় সরকার Logo চাঁদপুর পৌরসভার ১২৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা সমঝোতার চেষ্টা শাখা ছাত্রদলের, দফায় দফায় বৈঠক Logo তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নিন্দা

শেখ হাসিনা রাজনীতি করার জন্য আর ফিরতে পারবেন না: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:০৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা দেশে থাকা তার সমর্থকদের সরকারবিরোধী আন্দোলন করার জন্য উসকানি দিচ্ছেন জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমি তাদের বলতে চাই, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য আর ফিরতে পারবেন না। কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড়ানোর জন্যই তিনি ফিরবেন।

রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি টাইম ম্যাগাজিনকে বলেছিলাম শেখ হাসিনা একজন সাইকোপ্যাথ ও রক্তচোষা, তাই প্রমাণিত হলো। আমরা প্রথমে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই একটা আন্দোলন করছিলাম। সর্বপ্রথম সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ করে। আমরা বারবার আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলেছি কিন্তু তারা আমাদের বন্দুকের সামনে দাঁড় করিয়েছে। আপনারা দেখেছেন কীভাবে আমাদের গুম করা হয়েছে এবং তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর স্নাইপার দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে। সেদিন শেখ হাসিনা তার সব নেতাকর্মী এবং পুলিশ বাহিনীকে মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়ে কাউকে না জানিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার এই সিদ্ধান্তের কারণে সেদিন অনেক পুলিশ সদস্য মারা যান। এসব মৃত্যুর দায় শেখ হাসিনার।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন লড়াই সংগ্রামের কথা জানি। আবার এর উল্টোদিকে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দালালির কথাও জানি। আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বর্তমানে গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা উপভোগ করছে তা এর আগে বাংলাদেশে কখনো পারেনি।

গণমাধ্যম থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট এবং আকাঙ্ক্ষা পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের কারণ। এখনো আমাদের অনেক ভাই-বোনেরা আহত অবস্থায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। এখনো অনেকে শহীদ হচ্ছেন অথচ আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে সেই শহীদ এবং আহতদের কথা দিন দিন কমে আসছে। জনগণের স্মৃতি থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু গণমাধ্যম জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নিহত হিসেবে উল্লেখ করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের সকল প্রজ্ঞাপনে তাদেরকে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, দেশবাসী তাদেরকে শহীদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, সেখানে গণমাধ্যম তাদের শহীদ বলতে কার্পণ্য করছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়াসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১৬ জুলাই:নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাবিত হয় আন্দোলন

শেখ হাসিনা রাজনীতি করার জন্য আর ফিরতে পারবেন না: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

আপডেট সময় : ০৭:২৯:০৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

শেখ হাসিনা দেশে থাকা তার সমর্থকদের সরকারবিরোধী আন্দোলন করার জন্য উসকানি দিচ্ছেন জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমি তাদের বলতে চাই, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য আর ফিরতে পারবেন না। কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড়ানোর জন্যই তিনি ফিরবেন।

রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি টাইম ম্যাগাজিনকে বলেছিলাম শেখ হাসিনা একজন সাইকোপ্যাথ ও রক্তচোষা, তাই প্রমাণিত হলো। আমরা প্রথমে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই একটা আন্দোলন করছিলাম। সর্বপ্রথম সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ করে। আমরা বারবার আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলেছি কিন্তু তারা আমাদের বন্দুকের সামনে দাঁড় করিয়েছে। আপনারা দেখেছেন কীভাবে আমাদের গুম করা হয়েছে এবং তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর স্নাইপার দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে। সেদিন শেখ হাসিনা তার সব নেতাকর্মী এবং পুলিশ বাহিনীকে মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়ে কাউকে না জানিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার এই সিদ্ধান্তের কারণে সেদিন অনেক পুলিশ সদস্য মারা যান। এসব মৃত্যুর দায় শেখ হাসিনার।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন লড়াই সংগ্রামের কথা জানি। আবার এর উল্টোদিকে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দালালির কথাও জানি। আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বর্তমানে গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা উপভোগ করছে তা এর আগে বাংলাদেশে কখনো পারেনি।

গণমাধ্যম থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট এবং আকাঙ্ক্ষা পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের কারণ। এখনো আমাদের অনেক ভাই-বোনেরা আহত অবস্থায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। এখনো অনেকে শহীদ হচ্ছেন অথচ আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে সেই শহীদ এবং আহতদের কথা দিন দিন কমে আসছে। জনগণের স্মৃতি থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু গণমাধ্যম জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নিহত হিসেবে উল্লেখ করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের সকল প্রজ্ঞাপনে তাদেরকে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, দেশবাসী তাদেরকে শহীদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, সেখানে গণমাধ্যম তাদের শহীদ বলতে কার্পণ্য করছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়াসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।