সোমবার | ৩ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গার লতিফ শাহ ২০ বছর ধরে দুই টাকায় চা বিক্রি করছেন Logo বিধি সংশোধনের নামে ব্রাকসু নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ Logo পুরনো ফোন এক্সচেঞ্জ করতে চাইলে এই ভুলগুলো করবেন না Logo ফরিদগঞ্জে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর উদ্বোধন Logo জীবননগরে রাতে কৃষকের ৩ শতাধিক পেয়ারা গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা Logo সুদানে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি শাখা ছাত্রশক্তির অবস্থান কর্মসূচি Logo শিল্প-সাহিত্যে সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির গোল টেবিল বৈঠক Logo শাহজাদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত, আহত ১ Logo বরিশালের প্রাচীন ঐতিহ্য মিয়াবাড়ি মসজিদ Logo প্রতিকূলতার মধ্যেও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে ডিএমপি

আলমডাঙ্গায় ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামী মিনার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:২৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরের ব্যবসায়ী আজিজুল হত্যা মামলার দুইজন পুলিশের রিমান্ডের আওতায় আসলেও অন্যতম প্রধান আসামী মিনার এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় তিন দুর্বৃত্ত কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ব্যবসায়ী আজিজুল হককে। দু’দিনের মাথায় ৯ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজুল হক মারা যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ দু’জন আসামীকে গ্রফতার করে। তবে অন্যতম প্রধান আসামী মিনারকে পুলিশ দীর্ঘ দুই মাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে আজিজুলের পরিবারের সদস্যদের জীবন ঝুকির মধ্যে রয়েছে।

হত্যা মামলার বাদি নিহত আজিজুল হকের ছেলে নাজমুস সাকিব বলেন, আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের সাদাব্রীজ সংলগ্ন তার চাচা পাপ্পু হোসেনের ‘আশা ট্রেডার্স’ নামের ইলেক্ট্রনিক্সের একটি দোকান রয়েছে। গত ৭ আগস্ট বিকেলে দরজার একটি কবজা ফেরতের ঘটনায় সবুজ ও মোস্তাক নামের দু’জনের সাথে তার চাচা পাপ্পুর বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। তখন হাতাহাতিও হয়।

সাকিব জানান, হাতাহাতির ঘটনার সময় তার আব্বা ও চাচা রাজ্জাক কমিশনার আপোষের জন্য সন্ধ্যার পর দু’পক্ষকে বসার আহবান জানান। সন্ধ্যার পর দু’পক্ষ দোকানের সামনে বসে। আপোষের কথাবার্তা চলার মধ্যেই সবুজ ও মোস্তাকের বন্ধু জাহাঙ্গীর, সোহেল ও মিনার তার চাচা পাপ্পুকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এসময় তার পিতা আজিজুল হক ঠেকাতে গেলে তাকেও রামদা দিয়ে উপুর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তিন দুর্বৃত্ত। এরপর ওই রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় পিতা আজিজুল হককে প্রথমে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসার দু’দিনের মাথায় ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

সাকিব আরও জানান, তার বাবার কোন অপরাধ ছিল না। তিনি সাধারণ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু তিন দুর্বৃত্ত তাদের পরিবারের সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। তিনি তিন আসামী আলমডাঙ্গার আসাননগর পুর্বপাড়ার মৃত নাটোর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর, একই গ্রামের মিশকাত আলীর ছেলে সোহেল ও মৃত দাউদ আলীর ছেলে মিনারের উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন।

সাকিব বলেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার জাহাঙ্গীর ও সোহেল আদালতের মাধ্যমে থানায় তিনদিনের রিমান্ডে এসেছে। পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত ও পলাতক আসামী মিনারকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গার লতিফ শাহ ২০ বছর ধরে দুই টাকায় চা বিক্রি করছেন

আলমডাঙ্গায় ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামী মিনার

আপডেট সময় : ১২:৩০:২৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরের ব্যবসায়ী আজিজুল হত্যা মামলার দুইজন পুলিশের রিমান্ডের আওতায় আসলেও অন্যতম প্রধান আসামী মিনার এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় তিন দুর্বৃত্ত কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ব্যবসায়ী আজিজুল হককে। দু’দিনের মাথায় ৯ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজুল হক মারা যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ দু’জন আসামীকে গ্রফতার করে। তবে অন্যতম প্রধান আসামী মিনারকে পুলিশ দীর্ঘ দুই মাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে আজিজুলের পরিবারের সদস্যদের জীবন ঝুকির মধ্যে রয়েছে।

হত্যা মামলার বাদি নিহত আজিজুল হকের ছেলে নাজমুস সাকিব বলেন, আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের সাদাব্রীজ সংলগ্ন তার চাচা পাপ্পু হোসেনের ‘আশা ট্রেডার্স’ নামের ইলেক্ট্রনিক্সের একটি দোকান রয়েছে। গত ৭ আগস্ট বিকেলে দরজার একটি কবজা ফেরতের ঘটনায় সবুজ ও মোস্তাক নামের দু’জনের সাথে তার চাচা পাপ্পুর বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। তখন হাতাহাতিও হয়।

সাকিব জানান, হাতাহাতির ঘটনার সময় তার আব্বা ও চাচা রাজ্জাক কমিশনার আপোষের জন্য সন্ধ্যার পর দু’পক্ষকে বসার আহবান জানান। সন্ধ্যার পর দু’পক্ষ দোকানের সামনে বসে। আপোষের কথাবার্তা চলার মধ্যেই সবুজ ও মোস্তাকের বন্ধু জাহাঙ্গীর, সোহেল ও মিনার তার চাচা পাপ্পুকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এসময় তার পিতা আজিজুল হক ঠেকাতে গেলে তাকেও রামদা দিয়ে উপুর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তিন দুর্বৃত্ত। এরপর ওই রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় পিতা আজিজুল হককে প্রথমে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসার দু’দিনের মাথায় ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

সাকিব আরও জানান, তার বাবার কোন অপরাধ ছিল না। তিনি সাধারণ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু তিন দুর্বৃত্ত তাদের পরিবারের সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। তিনি তিন আসামী আলমডাঙ্গার আসাননগর পুর্বপাড়ার মৃত নাটোর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর, একই গ্রামের মিশকাত আলীর ছেলে সোহেল ও মৃত দাউদ আলীর ছেলে মিনারের উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন।

সাকিব বলেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার জাহাঙ্গীর ও সোহেল আদালতের মাধ্যমে থানায় তিনদিনের রিমান্ডে এসেছে। পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত ও পলাতক আসামী মিনারকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।