শুক্রবার | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা Logo বিজয় দিবসে প্যাপিরাস পাঠাগারের আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ Logo বিজয় দিবসে রাঙামাটি পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পুলিশ পরিবারকে সংবর্ধনা Logo সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফের ৪দিন ও তার ছেলের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপনে সিসিডিএ’র সক্রিয় অংশগ্রহণ Logo জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় চাঁদপুরে ব্র্যাকের ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান Logo রাঙামাটি জেলা পুলিশের সাইবার সাফল্য: হারানো ৫০ মোবাইল উদ্ধার, ফিরলো মালিকদের হাতে Logo চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন Logo শিক্ষানুরাগী ও মানবিক সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম রনি পেলেন মিজাফ বিজয় সম্মাননা

কুষ্টিয়ায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বসতঘর

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:৩৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

বন্যার পানিতে বাড়ির আশপাশের এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা চর থেকে শতাধিক গরু নিয়ে ১৬ দিন ধরে মেহেরপুরে অবস্থান করছেন চার জন গরুর মালিক। গতকাল সোমবার গাংনী উপজেলার মাইলমারী গ্রামের টেংরামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের মাঠে দেখা মেলে শতাধিক গরুসহ শফিকুল ইসলাম ও লিটন হোসেন নামের দু’জন মালিকের।

তারা জানান, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা চর এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় উপায় না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের ফেলে শতাধিক গরুর জীবন বাঁচাতে মেহেরপুর এলাকায় গত ১৬ দিন ধরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। গরুর দুধ বিক্রি করেই কিনছেন চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। যখন যে এলাকায় অবস্থান করেন, সেখানেই যে কারো বাড়িতে রান্নার কাজ চালিয়ে নেন। দু’জনে গরু চরানোতে ব্যস্ত সময় পার করেন আর বাকী দু’জনে ঘুমের ঘাটতি পূরণ আর রান্নার কাজ চালিয়ে নেন। এভাবে চলছে জীবন-যাপন।

সোনাতলার চর ডুবে যাওয়াতে ৪ জনের শতাধিক গরু নিয়ে তারা মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী ও গাংনী উপজেলার কাজীপুর, করমদী, তেঁতুলবাড়ীয়া, লক্ষ্মীনারায়নপুর, হিন্দা ও মাইলমারীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে অতিবাহিত করেছেন গত ১৬ টি দিন। কখনও মাঠে, কখনও মাচায়, কখনও বা বিদ্যালয়ের বারান্দার কোনে রাত কাটিয়েছেন এসব গরুর মালিকেরা। সন্ধা ঘনিয়ে আসলেই শতাধিক গরু নিয়ে পড়তে হয়েছে বিপদে। কারণ এতোগুলা গরুর খোঁয়াড় কিংবা গোয়াল ঘর না থাকায় মাঠের নির্দিষ্ট একটি খোলা যায়গায় সকল গরুর পা বেঁধে আটকে রাখা হয়। সারারাত মশার প্রকোপে কামড় সহ্য করে ভোর হলেই আবার বেরিয়ে পড়তে হয় গরু নিয়ে চরানোর উদ্দেশ্যে। ফাঁকা মাঠ ও বাগানসহ গ্রামীন কাঁচা সড়কগুলোতেই এসব গরু চরাতে হয়। মেহেরপুরের অন্য গ্রাম অপেক্ষা মাইলমারী এলাকায় ঘাসের পরিমাণ বেশি হওয়াতে এখানেই রয়েছেন কয়েকটি দিন। নিজ এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেলেই ফিরবেন এসব গরু নিয়ে।

রাতে গরু নিয়ে চোর-ডাকাত কিংবা সন্ত্রাসীদের কোন ঝামেলা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানান। তবে পরিবার-পরিজন কি অবস্থায় রয়েছেন তা নিয়ে টেনশনে রয়েছেন। কারণ বসতবাড়ি বাদে পুরো চর এলাকা পানির নিচে। কি খাচ্ছে কিভাবে রয়েছে এ নিয়েই যতোসব চিন্তা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বসতঘর

আপডেট সময় : ১২:২৮:৩৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

বন্যার পানিতে বাড়ির আশপাশের এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা চর থেকে শতাধিক গরু নিয়ে ১৬ দিন ধরে মেহেরপুরে অবস্থান করছেন চার জন গরুর মালিক। গতকাল সোমবার গাংনী উপজেলার মাইলমারী গ্রামের টেংরামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের মাঠে দেখা মেলে শতাধিক গরুসহ শফিকুল ইসলাম ও লিটন হোসেন নামের দু’জন মালিকের।

তারা জানান, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা চর এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় উপায় না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের ফেলে শতাধিক গরুর জীবন বাঁচাতে মেহেরপুর এলাকায় গত ১৬ দিন ধরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। গরুর দুধ বিক্রি করেই কিনছেন চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। যখন যে এলাকায় অবস্থান করেন, সেখানেই যে কারো বাড়িতে রান্নার কাজ চালিয়ে নেন। দু’জনে গরু চরানোতে ব্যস্ত সময় পার করেন আর বাকী দু’জনে ঘুমের ঘাটতি পূরণ আর রান্নার কাজ চালিয়ে নেন। এভাবে চলছে জীবন-যাপন।

সোনাতলার চর ডুবে যাওয়াতে ৪ জনের শতাধিক গরু নিয়ে তারা মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী ও গাংনী উপজেলার কাজীপুর, করমদী, তেঁতুলবাড়ীয়া, লক্ষ্মীনারায়নপুর, হিন্দা ও মাইলমারীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে অতিবাহিত করেছেন গত ১৬ টি দিন। কখনও মাঠে, কখনও মাচায়, কখনও বা বিদ্যালয়ের বারান্দার কোনে রাত কাটিয়েছেন এসব গরুর মালিকেরা। সন্ধা ঘনিয়ে আসলেই শতাধিক গরু নিয়ে পড়তে হয়েছে বিপদে। কারণ এতোগুলা গরুর খোঁয়াড় কিংবা গোয়াল ঘর না থাকায় মাঠের নির্দিষ্ট একটি খোলা যায়গায় সকল গরুর পা বেঁধে আটকে রাখা হয়। সারারাত মশার প্রকোপে কামড় সহ্য করে ভোর হলেই আবার বেরিয়ে পড়তে হয় গরু নিয়ে চরানোর উদ্দেশ্যে। ফাঁকা মাঠ ও বাগানসহ গ্রামীন কাঁচা সড়কগুলোতেই এসব গরু চরাতে হয়। মেহেরপুরের অন্য গ্রাম অপেক্ষা মাইলমারী এলাকায় ঘাসের পরিমাণ বেশি হওয়াতে এখানেই রয়েছেন কয়েকটি দিন। নিজ এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেলেই ফিরবেন এসব গরু নিয়ে।

রাতে গরু নিয়ে চোর-ডাকাত কিংবা সন্ত্রাসীদের কোন ঝামেলা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানান। তবে পরিবার-পরিজন কি অবস্থায় রয়েছেন তা নিয়ে টেনশনে রয়েছেন। কারণ বসতবাড়ি বাদে পুরো চর এলাকা পানির নিচে। কি খাচ্ছে কিভাবে রয়েছে এ নিয়েই যতোসব চিন্তা।