শিরোনাম :
Logo আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের নেতৃত্বেই প্রয়োজন : খুবি উপাচার্য Logo বিশ্বের বড় কমেডি উৎসব সৌদি আরবে Logo রাবিতে ভর্তিতে জালিয়াতির অভিযোগে ১ শিক্ষার্থী আটক Logo মতলবে হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র পক্ষে লিফলেট বিতরণ Logo ব্যান্ডশিল্পী রাতুল মারা গেছেন Logo গাজায় বোমা হামলা ও অনাহারে আরও ৭১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু Logo যবিপ্রবিতে শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষা যাত্রায় শুভেচ্ছা ও প্রত্যাবর্তনে সংবর্ধনা- ২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo প্রধানমন্ত্রী পদে একজন ১০ বছরের বেশি নয়, একমত সব দল Logo থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বললেন ট্রাম্প Logo চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কর্মসূচি শুরু জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ, পুরো পৌর এলাকায় চলবে স্প্রে কার্যক্রম

হাসিনা সহযোগীদের সম্পদ তদন্তের জন্য যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের অনুরোধ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:১৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী সরকারের সদস্যদের সম্পদের খোঁজ করতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলছেন, হাসিনার শাসনামলে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে কমপক্ষে ২ লাখ কোটি টাকা বা ১৭০০ কোটি ডলার বিদেশে সরানোর বিষয়ে তদন্ত করছে নতুন প্রশাসন।

আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে যেসব দেশের সাহায্য চেয়েছেন, যুক্তরাজ্য তার একটি।

তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, সম্পদ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও এ ধরনের সম্পদ পাচার হয়ে থাকতে পারে।

গভর্নরের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য সরকার খুবই সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছে। দেশটির হাইকমিশনার গভর্নেরর অফিসে গিয়েছিলেন এবং তারা ব্যাপক প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। গভর্নর আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রীর মালিকানাধীন ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তির অর্থের তহবিলের উৎস শনাক্ত করতে চায়। এই সম্পদ যেন পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে, তার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য চাইবে বাংলাদেশ।

এ নিয়ে ব্রিটিশ কর্মকর্তারাও বাংলাদেশ সরকারের সাহায্য চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত তথ্য জানাতে চাননি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের পাশাপাশি বিভিন্ন গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে হাসিনা ও তার সরকারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। যদিও বাংলাদেশের কঠোর মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ নীতি রয়েছে, যার অধীনে নাগরিকরা প্রতিবছর মাত্র কয়েক হাজার ডলার বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এ বিষয়ে গভর্নর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অজান্তে এত ব্যাপক আকারের চুরি সংঘটিত হতে পারে না। তবে এ বিষয়ে হওয়া তদন্তগুলো এখনও ‘প্রাথমিক পর্যায়ে’ রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আসা এসব অভিযোগ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নতুন লেবার সরকারের জন্য জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ, ব্রিটেনের নতুন এই লেবার সরকারের সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক শেখ হাসিনার ভাগনি। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের অনুরোধের জবাব দেননি টিউলিপ।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে ব্রিটেনের সাহায্যের জন্য ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এ দেশ থেকে চুরি করা এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধার করতে যাচ্ছে। এটি এ সরকারের অগ্রাধিকারগুলোর একটি।

বিগত আওয়ামী আমল অর্থাৎ শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনকালে ভোটে কারচুপি, অধিকার লঙ্ঘন এবং ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। হাসিনার দল আওয়ামী লীগের মিত্রদের বৈদেশিক সম্পদের বিষয়টি বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপকভাবে চর্চিত। চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউকে বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানির মালিকানাধীন ব্রিটিশ রিয়েল এস্টেট পোর্টফোলিওকে ‘অঘোষিত সম্পদ’-এর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছিল, কর্তৃপক্ষের বিষয়টি তদন্ত করা উচিত।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই রাজনীতিবিদের অবৈধ সম্পদের বিশাল সাম্রাজ্যের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য। যুক্তরাজ্যে কোম্পানি হাউসের করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে ব্লুমবার্গ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল।

এতে বলা হয়, গত জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। তবে ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতির পদে ছিলেন তিনি।

যদিও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, তার মক্কেলের ‘লুকানোর কিছু নেই’ এবং তিনি কিছু চুরি করেননি। আজমালুল হোসেন আরও বলেন, ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরী একজন চতুর্থ প্রজন্মের ব্যবসায়ী, যিনি রাজনীতিতে আসার আগেই ১৯৯০-এর দশকে তাঁর সম্পদ অর্জন শুরু করেন। ’  সাবেক এ মন্ত্রী চলতি বছরের শুরুর দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বিদেশে থাকা তাঁর এসব সম্পদ এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড থেকে।

শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, তদন্ত হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার সহযোগীদের বিষয়ে তথ্য পরিষ্কার হবে। তিনি দাবি করেন, ‘(নতুন সরকার) সবকিছুতেই বিশাল দুর্নীতি হিসেবে দেখানোর চেষ্টা এবং তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করছে। ’

এ নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারে মন্তব্য হলো, নিজেদের দীর্ঘস্থায়ী নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পারস্পরিক আইনি সহায়তার অনুরোধ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করবে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের নেতৃত্বেই প্রয়োজন : খুবি উপাচার্য

হাসিনা সহযোগীদের সম্পদ তদন্তের জন্য যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের অনুরোধ

আপডেট সময় : ১১:২৯:১৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী সরকারের সদস্যদের সম্পদের খোঁজ করতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলছেন, হাসিনার শাসনামলে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে কমপক্ষে ২ লাখ কোটি টাকা বা ১৭০০ কোটি ডলার বিদেশে সরানোর বিষয়ে তদন্ত করছে নতুন প্রশাসন।

আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে যেসব দেশের সাহায্য চেয়েছেন, যুক্তরাজ্য তার একটি।

তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, সম্পদ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও এ ধরনের সম্পদ পাচার হয়ে থাকতে পারে।

গভর্নরের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য সরকার খুবই সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছে। দেশটির হাইকমিশনার গভর্নেরর অফিসে গিয়েছিলেন এবং তারা ব্যাপক প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। গভর্নর আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রীর মালিকানাধীন ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তির অর্থের তহবিলের উৎস শনাক্ত করতে চায়। এই সম্পদ যেন পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে, তার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য চাইবে বাংলাদেশ।

এ নিয়ে ব্রিটিশ কর্মকর্তারাও বাংলাদেশ সরকারের সাহায্য চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত তথ্য জানাতে চাননি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের পাশাপাশি বিভিন্ন গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে হাসিনা ও তার সরকারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। যদিও বাংলাদেশের কঠোর মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ নীতি রয়েছে, যার অধীনে নাগরিকরা প্রতিবছর মাত্র কয়েক হাজার ডলার বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এ বিষয়ে গভর্নর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অজান্তে এত ব্যাপক আকারের চুরি সংঘটিত হতে পারে না। তবে এ বিষয়ে হওয়া তদন্তগুলো এখনও ‘প্রাথমিক পর্যায়ে’ রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আসা এসব অভিযোগ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নতুন লেবার সরকারের জন্য জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ, ব্রিটেনের নতুন এই লেবার সরকারের সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক শেখ হাসিনার ভাগনি। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের অনুরোধের জবাব দেননি টিউলিপ।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে ব্রিটেনের সাহায্যের জন্য ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এ দেশ থেকে চুরি করা এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধার করতে যাচ্ছে। এটি এ সরকারের অগ্রাধিকারগুলোর একটি।

বিগত আওয়ামী আমল অর্থাৎ শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনকালে ভোটে কারচুপি, অধিকার লঙ্ঘন এবং ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। হাসিনার দল আওয়ামী লীগের মিত্রদের বৈদেশিক সম্পদের বিষয়টি বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপকভাবে চর্চিত। চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউকে বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানির মালিকানাধীন ব্রিটিশ রিয়েল এস্টেট পোর্টফোলিওকে ‘অঘোষিত সম্পদ’-এর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছিল, কর্তৃপক্ষের বিষয়টি তদন্ত করা উচিত।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই রাজনীতিবিদের অবৈধ সম্পদের বিশাল সাম্রাজ্যের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য। যুক্তরাজ্যে কোম্পানি হাউসের করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে ব্লুমবার্গ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল।

এতে বলা হয়, গত জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। তবে ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতির পদে ছিলেন তিনি।

যদিও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, তার মক্কেলের ‘লুকানোর কিছু নেই’ এবং তিনি কিছু চুরি করেননি। আজমালুল হোসেন আরও বলেন, ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরী একজন চতুর্থ প্রজন্মের ব্যবসায়ী, যিনি রাজনীতিতে আসার আগেই ১৯৯০-এর দশকে তাঁর সম্পদ অর্জন শুরু করেন। ’  সাবেক এ মন্ত্রী চলতি বছরের শুরুর দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বিদেশে থাকা তাঁর এসব সম্পদ এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড থেকে।

শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, তদন্ত হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার সহযোগীদের বিষয়ে তথ্য পরিষ্কার হবে। তিনি দাবি করেন, ‘(নতুন সরকার) সবকিছুতেই বিশাল দুর্নীতি হিসেবে দেখানোর চেষ্টা এবং তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করছে। ’

এ নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারে মন্তব্য হলো, নিজেদের দীর্ঘস্থায়ী নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পারস্পরিক আইনি সহায়তার অনুরোধ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করবে না।