শিরোনাম :
Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo বই মাসের শ্রেষ্ঠ সারথি পুরস্কার পাচ্ছেন জয়ন্তী ভৌমিক Logo সহপাঠীদের সাথে পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু Logo রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন Logo ইবিতে যোগ হচ্ছে ইলেকট্রিক কার সেবা Logo সংযোগ সড়কহীনতায় দুর্ভোগে উত্তর সেঙ্গুয়া-আশারকোটা এলাকার মানুষ” Logo রাকসুতে গণযোগাযোগ বিভাগ থেকেই লড়বেন ভিপিসহ ২২ জন প্রার্থী Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ

বৃষ্টি-বাতাসে নাকাল চুয়াডাঙ্গা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয় এ জেলায়। থেমে থেমে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি মুষলধারে বৃষ্টি চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে বাতাসের তীব্রতাও দেখা গেছে।

টানা বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল সন্ধ্যারাত পর্যন্ত জেলায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৭ কিলোমিটার। তবে এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে, টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানের নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে সে পানি নামতে শুরু করে।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বের হননি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছে হকার, ইজিবাইক চালক ও শ্রমিকরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সকাল ১০টার পরে খুলেছে। অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন লোকজন।

শহরের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক সজিব উদ্দীন বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় ঘুরছি। কিন্তু সেভাবে যাত্রী নেই রাস্তায়। আবার বৃষ্টির কারণে কোনো দিকে যেতেও পারছি না। অনেক ইজিবাইক চালক বৃষ্টির কারণে ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না।
শহরের বাসিন্দা মাহমুদুল আলম বলেন, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর হলেও অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সড়কও অনেকটা ফাঁকা। অটোরিকশা-অটোবাইকের সংখ্যাও খুবই কম।
শহরের ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ বলেন, গত রাত থেকে টানা বৃষ্টি। সকালে দোকান খুলেছি দেরিতে। কারণ ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। একান্ত দরকার ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে শুরু করেছে।
আবহাওয়া সূত্রে অফিস জানা গেছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের সব বিভাগের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিও হতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বৃষ্টি-বাতাসে নাকাল চুয়াডাঙ্গা

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয় এ জেলায়। থেমে থেমে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি মুষলধারে বৃষ্টি চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে বাতাসের তীব্রতাও দেখা গেছে।

টানা বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল সন্ধ্যারাত পর্যন্ত জেলায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৭ কিলোমিটার। তবে এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে, টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানের নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে সে পানি নামতে শুরু করে।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বের হননি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছে হকার, ইজিবাইক চালক ও শ্রমিকরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সকাল ১০টার পরে খুলেছে। অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন লোকজন।

শহরের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক সজিব উদ্দীন বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় ঘুরছি। কিন্তু সেভাবে যাত্রী নেই রাস্তায়। আবার বৃষ্টির কারণে কোনো দিকে যেতেও পারছি না। অনেক ইজিবাইক চালক বৃষ্টির কারণে ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না।
শহরের বাসিন্দা মাহমুদুল আলম বলেন, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর হলেও অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সড়কও অনেকটা ফাঁকা। অটোরিকশা-অটোবাইকের সংখ্যাও খুবই কম।
শহরের ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ বলেন, গত রাত থেকে টানা বৃষ্টি। সকালে দোকান খুলেছি দেরিতে। কারণ ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। একান্ত দরকার ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে শুরু করেছে।
আবহাওয়া সূত্রে অফিস জানা গেছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের সব বিভাগের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিও হতে পারে।