হোয়াটসঅ্যাপে স্ত্রীদের তালাক দিলেন দুই ভাই !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৫ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুই ভাই তালাক দিলেন তাদের নিজেদের স্ত্রীদের। যে হোয়াটসঅ্যাপে স্বামীদের সঙ্গে চ্যাট করতেন তারা, সেই হোয়াটসঅ্যাপেই তিন তালাকের মেসেজ পেতে হল তাদের। ভারতের হায়দ্রাবাদের দুই নারী হীনা ফতিমা এবং এবং মেহরিন নুরের সঙ্গে ঘটেছে এমন ঘটনা। হীনা ও মেহরিন দুজনেই থানায় এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয় হীনা ফাতিমা ও সাইদ ফয়াজউদ্দিন হুসেইনের। সাইদ বর্তমানে আমেরিকার বাসিন্দা। কয়েক সপ্তাহ আগে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তিন বার ‘তালাক’ লিখে হীনাকে ডিভোর্স দেন সাইদ। তবে পরে তিনি হীনাকে ডিভোর্সের কাগজপত্র পাঠান। কিন্তু তাদের এই বিচ্ছেদের অন্তিম ঘোষণা হয় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই।

অপরদিকে সাইদের ভাই মহম্মদ আবদুল আকিলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মেহরিন নুরের। বড় ভাইয়ের মতই হোয়াটসঅ্যাপে তিন তালাক লেখে মেহরিনকে ডিভোর্স দেন মহম্মদ আবদুল আকিল।

স্বামীদের থেকে এমন একতরফা তালাক পেয়ে, তাতে সম্মতি না নিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হীনা ও মেহরিন। হীনা তার স্বামীর উদ্দেশে বলেছেন, “শরিয়া আইনের মতে তুমি আমায় তালাক দিয়েছ, কিন্তু আমাদের সন্তানদের কে দেখবে? শরিয়া আইন কি সন্তানদের দেখভাল করতে শেখায় না?”

অন্যদিকে মেহরিন জানিয়েছেন মেহরিন জানিয়েছেন, “বিয়ের পর আমি জানতে পারলাম যে আমার স্বামীর আসল নাম হল উসমান কুরেশি। আর এখন কোনও কারণ না দেখিয়েই উনি আমায় তালাক দিয়েছেন। বিয়েকে ওরা একটা মজা বানিয়ে দিয়েছে”।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হোয়াটসঅ্যাপে স্ত্রীদের তালাক দিলেন দুই ভাই !

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৫ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুই ভাই তালাক দিলেন তাদের নিজেদের স্ত্রীদের। যে হোয়াটসঅ্যাপে স্বামীদের সঙ্গে চ্যাট করতেন তারা, সেই হোয়াটসঅ্যাপেই তিন তালাকের মেসেজ পেতে হল তাদের। ভারতের হায়দ্রাবাদের দুই নারী হীনা ফতিমা এবং এবং মেহরিন নুরের সঙ্গে ঘটেছে এমন ঘটনা। হীনা ও মেহরিন দুজনেই থানায় এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয় হীনা ফাতিমা ও সাইদ ফয়াজউদ্দিন হুসেইনের। সাইদ বর্তমানে আমেরিকার বাসিন্দা। কয়েক সপ্তাহ আগে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তিন বার ‘তালাক’ লিখে হীনাকে ডিভোর্স দেন সাইদ। তবে পরে তিনি হীনাকে ডিভোর্সের কাগজপত্র পাঠান। কিন্তু তাদের এই বিচ্ছেদের অন্তিম ঘোষণা হয় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই।

অপরদিকে সাইদের ভাই মহম্মদ আবদুল আকিলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মেহরিন নুরের। বড় ভাইয়ের মতই হোয়াটসঅ্যাপে তিন তালাক লেখে মেহরিনকে ডিভোর্স দেন মহম্মদ আবদুল আকিল।

স্বামীদের থেকে এমন একতরফা তালাক পেয়ে, তাতে সম্মতি না নিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হীনা ও মেহরিন। হীনা তার স্বামীর উদ্দেশে বলেছেন, “শরিয়া আইনের মতে তুমি আমায় তালাক দিয়েছ, কিন্তু আমাদের সন্তানদের কে দেখবে? শরিয়া আইন কি সন্তানদের দেখভাল করতে শেখায় না?”

অন্যদিকে মেহরিন জানিয়েছেন মেহরিন জানিয়েছেন, “বিয়ের পর আমি জানতে পারলাম যে আমার স্বামীর আসল নাম হল উসমান কুরেশি। আর এখন কোনও কারণ না দেখিয়েই উনি আমায় তালাক দিয়েছেন। বিয়েকে ওরা একটা মজা বানিয়ে দিয়েছে”।