এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিংড়ি চাষ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:০৬:৩৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • ৭১৯ বার পড়া হয়েছে

এবার চিংড়ি চাষে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থা। ভার্টিক্যাল ওশান্স নামের এই সংস্থার উৎপাদিত চিংড়ির স্বাদ প্রচলিত পদ্ধতিতে উৎপাদিত চিংড়ির চেয়ে ভালো বলে দাবি সংস্থাটির।

দুই বছর আগে চালু এআই দিয়ে চিংড়ি চাষের পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু করেছিল ভার্টিক্যাল ওশান্স। সেই চিংড়ির বাজারজাত শুরু হয়েছে।

চিংড়ির খামারটি সিঙ্গাপুর বন্দরের গুদামে অবস্থিত। খামারের ট্যাঙ্কে চিংড়ি প্রায় নিখুঁত পরিবেশে বেড়ে ওঠে। খোলা পরিবেশে প্রচলিত পদ্ধতিতে চাষ করে চিংড়ি বড় হতে যে সময় লাগে, ট্যাঙ্কে লাগে তার অর্ধেক।

এআই নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার সিস্টেম সারাক্ষণ মাছ চাষের ব্যবস্থাটির উপর নজর রাখে ও পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করে। পানিতে থাকা ক্যামেরা চিংড়ির বেড়ে ওঠার দিকে নজর রাখে। এই পদ্ধতিতে এত তথ্য সংগ্রহ হয় যে সেগুলো থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর একমাত্র ভরসা এআই সিস্টেম। সিউইড আর চিংড়ি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কিনা, তা নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের সমস্যা ছাড়ায় পদ্ধতিটি কাজ করছে। প্রচলিত চাষপদ্ধতির সঙ্গে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। কারণ, ঐ পদ্ধতিতে প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে।

সংস্থাটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জন ডিনার। প্রায় ১০ বছর চিংড়ি খাতে কাজ করার পর তার মনে হয়েছে প্রতিযোগিতামূলক দাম ও পরিবেশের কথা ভেবে নতুন চাষপদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন।

ডিনার দাবি করছেন, তার চিংড়ির স্বাদ অন্যগুলোর চেয়ে ভালো। ডিনারের দল ইতিমধ্যে এআই চাষপদ্ধতিতে মুরগি বা গরু পালনের পরিকল্পনা করছে। তবে তার আগে তারা নিজেদের চিংড়ির জাত উদ্ভাবন করতে চায়। এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ড থেকে ছোট চিংড়ি কেনা হচ্ছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, চাষবাসে নতুন পদ্ধতির যুগ শুরু হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে কৃষক হয়ে যাবে কম্পিউটার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কথায় আস্থা রাখতে চায় জামায়াত’

এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিংড়ি চাষ

আপডেট সময় : ০৬:০৬:৩৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪

এবার চিংড়ি চাষে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থা। ভার্টিক্যাল ওশান্স নামের এই সংস্থার উৎপাদিত চিংড়ির স্বাদ প্রচলিত পদ্ধতিতে উৎপাদিত চিংড়ির চেয়ে ভালো বলে দাবি সংস্থাটির।

দুই বছর আগে চালু এআই দিয়ে চিংড়ি চাষের পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু করেছিল ভার্টিক্যাল ওশান্স। সেই চিংড়ির বাজারজাত শুরু হয়েছে।

চিংড়ির খামারটি সিঙ্গাপুর বন্দরের গুদামে অবস্থিত। খামারের ট্যাঙ্কে চিংড়ি প্রায় নিখুঁত পরিবেশে বেড়ে ওঠে। খোলা পরিবেশে প্রচলিত পদ্ধতিতে চাষ করে চিংড়ি বড় হতে যে সময় লাগে, ট্যাঙ্কে লাগে তার অর্ধেক।

এআই নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার সিস্টেম সারাক্ষণ মাছ চাষের ব্যবস্থাটির উপর নজর রাখে ও পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করে। পানিতে থাকা ক্যামেরা চিংড়ির বেড়ে ওঠার দিকে নজর রাখে। এই পদ্ধতিতে এত তথ্য সংগ্রহ হয় যে সেগুলো থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর একমাত্র ভরসা এআই সিস্টেম। সিউইড আর চিংড়ি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কিনা, তা নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের সমস্যা ছাড়ায় পদ্ধতিটি কাজ করছে। প্রচলিত চাষপদ্ধতির সঙ্গে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। কারণ, ঐ পদ্ধতিতে প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে।

সংস্থাটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জন ডিনার। প্রায় ১০ বছর চিংড়ি খাতে কাজ করার পর তার মনে হয়েছে প্রতিযোগিতামূলক দাম ও পরিবেশের কথা ভেবে নতুন চাষপদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন।

ডিনার দাবি করছেন, তার চিংড়ির স্বাদ অন্যগুলোর চেয়ে ভালো। ডিনারের দল ইতিমধ্যে এআই চাষপদ্ধতিতে মুরগি বা গরু পালনের পরিকল্পনা করছে। তবে তার আগে তারা নিজেদের চিংড়ির জাত উদ্ভাবন করতে চায়। এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ড থেকে ছোট চিংড়ি কেনা হচ্ছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, চাষবাসে নতুন পদ্ধতির যুগ শুরু হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে কৃষক হয়ে যাবে কম্পিউটার।