শিরোনাম :
Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী

চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:০০:৩৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সাথে আরও তিন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক।

ছেলুন জোয়ার্দ্দারসহ দুদকের নজরে থাকা অন্য তিনজন হলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখর। অভিযোগ আছে, সরকারে থাকাবস্থায় দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা সম্পদ অর্জন এবং পাচার করেছেন তারা।

সূত্রে জানা যায়, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টানা ৪ বারের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আয় ও সম্পদের পরিমাণ ছিল বেশ কম। সে সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার। ১৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। বর্তমানে নগদ টাকাসহ ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক সোলায়মান হক।

সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ১৫ বছরে তার স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে প্রায় ছয় গুণ। ২০০৮ সালে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ ১০ হাজার ১০ টাকা। বর্তমানে তার স্ত্রী ৪ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক।
এছাড়া ছেলুন জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩ তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল ‘জোয়ার্দ্দার কুটির’ নামীয় বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির অর্থে প্রায় ৮০-১০০টি এসি/ননএসি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক, তার স্ত্রী ও নিজ নামে সঞ্চয়পত্র, ১টি প্রাডো গাড়িসহ তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

চুয়াডাঙ্গার এই সাবেক সংসদ সদস্যের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৮ সালে যখন সংসদ নির্বাচন করেন, তখন ছেলুন জোয়ার্দ্দারের স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার। ৫ বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালের নির্বাচনে সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৫ টাকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ টাকার। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণ পাওয়া যায়।

তবে নির্বাচনী হলফনামায় ছেলুন জোয়ার্দ্দার যে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন, বাস্তবে তা অসম্পূর্ণ ও সঠিক নয় বলে অভিযোগ বিশ্লেষকদের। তারা বলেন, ছেলুন জোয়ার্দ্দার টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। যার সবকিছু তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। শুধু তিনিই নয়, তার স্ত্রী, ভাই, ভাতিজাসহ আত্মীয়-স্বজনরাও বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করে অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছেন বিদেশে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি 

চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

আপডেট সময় : ০৩:০০:৩৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সাথে আরও তিন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক।

ছেলুন জোয়ার্দ্দারসহ দুদকের নজরে থাকা অন্য তিনজন হলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখর। অভিযোগ আছে, সরকারে থাকাবস্থায় দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা সম্পদ অর্জন এবং পাচার করেছেন তারা।

সূত্রে জানা যায়, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টানা ৪ বারের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আয় ও সম্পদের পরিমাণ ছিল বেশ কম। সে সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার। ১৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। বর্তমানে নগদ টাকাসহ ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক সোলায়মান হক।

সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ১৫ বছরে তার স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে প্রায় ছয় গুণ। ২০০৮ সালে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ ১০ হাজার ১০ টাকা। বর্তমানে তার স্ত্রী ৪ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক।
এছাড়া ছেলুন জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩ তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল ‘জোয়ার্দ্দার কুটির’ নামীয় বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির অর্থে প্রায় ৮০-১০০টি এসি/ননএসি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক, তার স্ত্রী ও নিজ নামে সঞ্চয়পত্র, ১টি প্রাডো গাড়িসহ তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

চুয়াডাঙ্গার এই সাবেক সংসদ সদস্যের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৮ সালে যখন সংসদ নির্বাচন করেন, তখন ছেলুন জোয়ার্দ্দারের স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার। ৫ বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালের নির্বাচনে সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৫ টাকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ টাকার। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণ পাওয়া যায়।

তবে নির্বাচনী হলফনামায় ছেলুন জোয়ার্দ্দার যে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন, বাস্তবে তা অসম্পূর্ণ ও সঠিক নয় বলে অভিযোগ বিশ্লেষকদের। তারা বলেন, ছেলুন জোয়ার্দ্দার টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। যার সবকিছু তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। শুধু তিনিই নয়, তার স্ত্রী, ভাই, ভাতিজাসহ আত্মীয়-স্বজনরাও বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করে অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছেন বিদেশে।