শিরোনাম :
Logo ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে পুতিনকে ১০-১২ দিনের সময় দিলেন ট্রাম্প Logo গ্যাসের সিলিন্ডারে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের সময় তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo পঞ্চগড়ের বোদায় ‘নিরাময় ক্লিনিকে’ওয়ার্ড বয়ের অপারেশন, শোচনীয় অবস্থায় রোগী Logo ভারতে যাওয়ার সময় যুবলীগ নেতা আটক Logo বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই সন্ত্রাসবাদের : মার্কিন দূতকে প্রধান উপদেষ্টা Logo সাংবাদিক সাইফুল সুমনের মায়ের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালন Logo কচুয়ার বিতারা বাজারে নতুন ব্রিজ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করলেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী Logo কয়রায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন Logo রাঙ্গামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি Logo বিমান বিধ্বস্তে মারা যাওয়া আট অজ্ঞাতনামা মৃত দেহের ডিএনএ প্রোফাইল তৈরির অনুমতি

চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:০০:৩৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সাথে আরও তিন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক।

ছেলুন জোয়ার্দ্দারসহ দুদকের নজরে থাকা অন্য তিনজন হলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখর। অভিযোগ আছে, সরকারে থাকাবস্থায় দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা সম্পদ অর্জন এবং পাচার করেছেন তারা।

সূত্রে জানা যায়, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টানা ৪ বারের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আয় ও সম্পদের পরিমাণ ছিল বেশ কম। সে সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার। ১৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। বর্তমানে নগদ টাকাসহ ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক সোলায়মান হক।

সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ১৫ বছরে তার স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে প্রায় ছয় গুণ। ২০০৮ সালে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ ১০ হাজার ১০ টাকা। বর্তমানে তার স্ত্রী ৪ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক।
এছাড়া ছেলুন জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩ তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল ‘জোয়ার্দ্দার কুটির’ নামীয় বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির অর্থে প্রায় ৮০-১০০টি এসি/ননএসি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক, তার স্ত্রী ও নিজ নামে সঞ্চয়পত্র, ১টি প্রাডো গাড়িসহ তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

চুয়াডাঙ্গার এই সাবেক সংসদ সদস্যের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৮ সালে যখন সংসদ নির্বাচন করেন, তখন ছেলুন জোয়ার্দ্দারের স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার। ৫ বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালের নির্বাচনে সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৫ টাকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ টাকার। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণ পাওয়া যায়।

তবে নির্বাচনী হলফনামায় ছেলুন জোয়ার্দ্দার যে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন, বাস্তবে তা অসম্পূর্ণ ও সঠিক নয় বলে অভিযোগ বিশ্লেষকদের। তারা বলেন, ছেলুন জোয়ার্দ্দার টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। যার সবকিছু তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। শুধু তিনিই নয়, তার স্ত্রী, ভাই, ভাতিজাসহ আত্মীয়-স্বজনরাও বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করে অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছেন বিদেশে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে পুতিনকে ১০-১২ দিনের সময় দিলেন ট্রাম্প

চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

আপডেট সময় : ০৩:০০:৩৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সাথে আরও তিন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক।

ছেলুন জোয়ার্দ্দারসহ দুদকের নজরে থাকা অন্য তিনজন হলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখর। অভিযোগ আছে, সরকারে থাকাবস্থায় দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা সম্পদ অর্জন এবং পাচার করেছেন তারা।

সূত্রে জানা যায়, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টানা ৪ বারের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আয় ও সম্পদের পরিমাণ ছিল বেশ কম। সে সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার। ১৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। বর্তমানে নগদ টাকাসহ ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক সোলায়মান হক।

সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ১৫ বছরে তার স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে প্রায় ছয় গুণ। ২০০৮ সালে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ ১০ হাজার ১০ টাকা। বর্তমানে তার স্ত্রী ৪ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক।
এছাড়া ছেলুন জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩ তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল ‘জোয়ার্দ্দার কুটির’ নামীয় বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির অর্থে প্রায় ৮০-১০০টি এসি/ননএসি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক, তার স্ত্রী ও নিজ নামে সঞ্চয়পত্র, ১টি প্রাডো গাড়িসহ তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

চুয়াডাঙ্গার এই সাবেক সংসদ সদস্যের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৮ সালে যখন সংসদ নির্বাচন করেন, তখন ছেলুন জোয়ার্দ্দারের স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার। ৫ বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালের নির্বাচনে সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৫ টাকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ টাকার। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণ পাওয়া যায়।

তবে নির্বাচনী হলফনামায় ছেলুন জোয়ার্দ্দার যে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন, বাস্তবে তা অসম্পূর্ণ ও সঠিক নয় বলে অভিযোগ বিশ্লেষকদের। তারা বলেন, ছেলুন জোয়ার্দ্দার টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। যার সবকিছু তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। শুধু তিনিই নয়, তার স্ত্রী, ভাই, ভাতিজাসহ আত্মীয়-স্বজনরাও বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করে অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছেন বিদেশে।