শিরোনাম :
Logo আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।” Logo বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিতারা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা Logo যবিপ্রবিতে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় সাবেক চার ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়া’র ৮০ তম জন্মদিন পালিত Logo ইবিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন Logo শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতির সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo খালেদা জিয়ার জন্মদিনে উপলক্ষ্যে বেরোবিতে ছাত্রদলের দোয়া-মাহফিল Logo সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস

মেহেরপুরে স্বাস্থ্য বিভাগে ২৫ বছর চাকরি করছেন ডা. অলোক কুমার দাস

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৫৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ অ্যান্ড এফপিও) ডা. অলোক কুমার দাস একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও মেহেরপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত। তিনি রাজনৈতিক নেতার মতোই আচরণ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৪ জুন তিনি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে যোগদান করেন। পরে বিভিন্ন মহলের তদবিরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। কিন্তু মেহেরপুরে তার চাকরির বয়স দুই যুগ পার হলেও তিনি আজও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরি করে চলেছেন।

ডা. অলোক কুমার দাস সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের দোহাই দিয়ে ও তার নাম ভাঙিয়ে নিজেকে পরিচিত করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষ কাজ করেছেন। বিভিন্ন মিডিয়াতে একাধিকবার তার নাম শোনা গিয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নৌকার প্রার্থীর জন্য রোগীদের কাছে ভোট চাওয়া এবং ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ডা. অলোক কুমার দাসকে জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি শোকজ করেছিল।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিপক্ষে যারা আওয়ামী লীগ করতেন, তাদের চিকিৎসা (সেবা ল্যাব) প্রতিষ্ঠানে ডা. অলোক কুমার দাসের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হতো। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক বন্ধ ও জরিমানা করা হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন মেহেরপুরে থাকার সুবাদে চাকরির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আধুনিক মানের বাড়ি নির্মাণ করেছেন। অলোক কুমার দাসের এত টাকার উৎস নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া অলোক কুমার দাস অবসরে চেম্বারে বসে যে রোগী দেখেন, সেই রোগীগুলো রিপোর্টের জন্য সনোল্যাবে পাঠিয়ে অর্থ বাণিজ্য করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ডা. অলোক কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেহেরপুরে ২৫ বছর ধরে চাকরি করছি এটা ঠিক, তবে রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার বিষয়টা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এক জায়গায় চাকরি করতে হলে সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা লাগে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।”

মেহেরপুরে স্বাস্থ্য বিভাগে ২৫ বছর চাকরি করছেন ডা. অলোক কুমার দাস

আপডেট সময় : ০১:০৪:৫৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪

মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ অ্যান্ড এফপিও) ডা. অলোক কুমার দাস একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও মেহেরপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত। তিনি রাজনৈতিক নেতার মতোই আচরণ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৪ জুন তিনি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে যোগদান করেন। পরে বিভিন্ন মহলের তদবিরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। কিন্তু মেহেরপুরে তার চাকরির বয়স দুই যুগ পার হলেও তিনি আজও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরি করে চলেছেন।

ডা. অলোক কুমার দাস সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের দোহাই দিয়ে ও তার নাম ভাঙিয়ে নিজেকে পরিচিত করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষ কাজ করেছেন। বিভিন্ন মিডিয়াতে একাধিকবার তার নাম শোনা গিয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নৌকার প্রার্থীর জন্য রোগীদের কাছে ভোট চাওয়া এবং ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ডা. অলোক কুমার দাসকে জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি শোকজ করেছিল।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিপক্ষে যারা আওয়ামী লীগ করতেন, তাদের চিকিৎসা (সেবা ল্যাব) প্রতিষ্ঠানে ডা. অলোক কুমার দাসের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হতো। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক বন্ধ ও জরিমানা করা হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন মেহেরপুরে থাকার সুবাদে চাকরির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আধুনিক মানের বাড়ি নির্মাণ করেছেন। অলোক কুমার দাসের এত টাকার উৎস নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া অলোক কুমার দাস অবসরে চেম্বারে বসে যে রোগী দেখেন, সেই রোগীগুলো রিপোর্টের জন্য সনোল্যাবে পাঠিয়ে অর্থ বাণিজ্য করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ডা. অলোক কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেহেরপুরে ২৫ বছর ধরে চাকরি করছি এটা ঠিক, তবে রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার বিষয়টা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এক জায়গায় চাকরি করতে হলে সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা লাগে।