শিরোনাম :
Logo ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে শোক দিবস পালন Logo বেরোবিতে শহিদ আবু সাঈদ মিউজিয়াম গেইট ও চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন Logo ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় আহত ১৬ Logo কিশোর অপরাধ দমনে চাঁদপুর জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থান কিশোর অপরাধের ভয়াবহ পরিণতি উপলব্ধি করতে পারেন কেবল ভুক্তভোগী পিতা-মাতা ………….মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চাঁদপুর-২ আসনে)” এমপি প্রার্থী মুফতী মানসুর আহমদ সাকী Logo রাজশাহীর বাগমারায় বজ্রপাতে যুবক নিহত Logo মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীসহ রাজশাহীতে ২০ জন আটক Logo কয়রায় জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo রাকসুর তফসিল আদায়ে দ্রুত মাঠে নামার ঘোষণা রাবি ছাত্রশিবির সভাপতির Logo ইসলামী ব্যাংকগুলো শরিয়া অনুসরণ করলে তাদের এ দুর্দশা হতো না

ভিসির পদত্যাগ ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের হুমকি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে উপাচার্যরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন, সেখানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র একটু ভিন্ন। এখানে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের পদত্যাগ রোধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনের হুমকি দিয়েছেন।

রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে ভিসির পদত্যাগ ঠেকাতে প্রশাসনিক ভবনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের কার্যালয় দখল করে রেখেছেন।

বিক্ষোভের এক পর্যায়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সময় নিয়েছেন। এর পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা খুবির প্রধান ফটক শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণে অবস্থান নেন।

জানা যায়, উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন কোটা আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কঠিন অবস্থার মুখেও সাহসের সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেননি কোনো পুলিশ, হতে দেননি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। ক্যাম্পাসে যাতে পুলিশ না ঢোকে সেজন্য সেই কঠিন চাপের মুখেও তিনি ছিলেন অনড়। সেইসময় প্রফেসর মাহমুদ হোসেনের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় উপাচার্য প্রফেসর মাহমুদ হোসেন অফিসে বসার একটি ছবির সাথে লেখেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো পুলিশ ঢুকবে না, এখানে আমিই প্রশাসন’। তার এমন বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনোবল আরো চাঙ্গা করে।

জানা যায়, ওই দিনের পর পুলিশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ খবর শোনার পরপরই উপাচার্য ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরকে থানায় পাঠান। নিজে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের পরিচালক ও সহকারী পরিচালকদের নির্দেশনা দেন যতক্ষণ শিক্ষার্থীদের থানা থেকে ছেড়ে না দেওয়া হয় ততক্ষণ সেখানে থাকতে।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি পদত্যাগের দাবি উঠলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবি তোলেননি কোনো শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের বিপদের সময় পাশে থাকা ভিসিকেই স্বপদে রাখতে চান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে শোক দিবস পালন

ভিসির পদত্যাগ ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের হুমকি

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪

সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে উপাচার্যরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন, সেখানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র একটু ভিন্ন। এখানে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের পদত্যাগ রোধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনের হুমকি দিয়েছেন।

রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে ভিসির পদত্যাগ ঠেকাতে প্রশাসনিক ভবনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের কার্যালয় দখল করে রেখেছেন।

বিক্ষোভের এক পর্যায়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সময় নিয়েছেন। এর পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা খুবির প্রধান ফটক শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণে অবস্থান নেন।

জানা যায়, উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন কোটা আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কঠিন অবস্থার মুখেও সাহসের সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেননি কোনো পুলিশ, হতে দেননি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। ক্যাম্পাসে যাতে পুলিশ না ঢোকে সেজন্য সেই কঠিন চাপের মুখেও তিনি ছিলেন অনড়। সেইসময় প্রফেসর মাহমুদ হোসেনের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় উপাচার্য প্রফেসর মাহমুদ হোসেন অফিসে বসার একটি ছবির সাথে লেখেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো পুলিশ ঢুকবে না, এখানে আমিই প্রশাসন’। তার এমন বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনোবল আরো চাঙ্গা করে।

জানা যায়, ওই দিনের পর পুলিশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ খবর শোনার পরপরই উপাচার্য ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরকে থানায় পাঠান। নিজে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের পরিচালক ও সহকারী পরিচালকদের নির্দেশনা দেন যতক্ষণ শিক্ষার্থীদের থানা থেকে ছেড়ে না দেওয়া হয় ততক্ষণ সেখানে থাকতে।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি পদত্যাগের দাবি উঠলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবি তোলেননি কোনো শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের বিপদের সময় পাশে থাকা ভিসিকেই স্বপদে রাখতে চান।